ভুতের বাচ্চা সোলায়মান (!)
মুসলিমরা ভুত-প্রেতে বিশ্বাস করে না। তবে জিন নামে একটা প্রাণী যে আছে তা আমরা কুর’আন ও হাদিস থেকে সরাসরি পাই। আল্লাহ কেবল ইবাদাতের জন্য মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আবার ইনসান বা মানুষ নামে যেমন একটি সুরা রয়েছে, জিন জাতির নামেও রয়েছে একটি। কুর’আনে বর্ণিত আল্লাহর একজন নবীর নাম সুলাইমান আলাইহিসসালাম। সুলাইমান আ. জিনদের ভাষা জানতেন। জিনদের আল্লাহ তার গোলাম বানিয়ে দিয়েছিলেন।
জিন সংক্রান্ত ইতিহাসের কারণে অলৌকিক কোনকিছুর সাথে সুলাইমান আ. এর নাম জুড়ে দেওয়া এক দীর্ঘকালের চর্চা। বাজারে বিভিন্ন শিরক মিশ্রিত ‘সোলেমানী তাবিজের কেতাব’ পাওয়া যায় যার সাথে ইসলাম বা সুলাইমান আ. এর কোন যোগসূত্র নেই। আরব্য রজনীর উপন্যাসেও সিনবাদের তলোয়ারটার নাম ‘সোলেমানী তলোয়ার’।
লেখক জাফর ইকবাল শিশু কিশোরদের জন্য বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কিংবা কিশোর গল্প ও উপন্যাস লিখে থাকেন। হরহামেশা তার গল্পে দেখা যায় দাড়ি টুপিওয়ালা ব্যক্তিটা বাচ্চাদের দেখতে পারে না, রাগী ও বদমেজাজি হয়, কুচক্রী হয়, দেশবিরোধী হয়।
এবারের বইমেলায় তার একটা বই বেরিয়েছে- ‘ভুতের বাচ্চা সোলায়মান’ নামে। এর আগে শিশুকিশোরদের জন্য নায়কসূলভ রবিন, সন্তু, নায়ীরা, রাশা, টুনটুনি ইত্যাদি নানা চরিত্রবাহী বইয়ের নামকরণে এসব নামকে বিজ্ঞানী, বুদ্ধিমান, পরোপকারী ইত্যাদি বহু বিশেষণে আখ্যায়িত করলেও ‘ভুতের বাচ্চা’টার নাম হিসেবে তিনি সুলাইমান আ.কে চামে ব্যঙ্গ করার স্পর্ধা রাখলেন। সাথে বইয়ের প্রচ্ছদে ইসলামি পোশাকে একজনকে দেখানোও হয়েছে।
আল্লাহর একজন নবী হলেন মানব জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিদের একজন- যিনি আল্লাহর মনোনীত। সুলাইমান আ. এর নবুয়্যাত শুধু মুসলিমরা কেন খ্রিষ্টান, ইহুদী সবাই অবিসংবাদিতভাবে বিশ্বাস করেন। লেখক জাফর ইকবাল কতিপয় বাচ্চাদের কাছে কল্পকাহিনী লিখে সুনাম কুড়িয়ে ভুলে গেছেন সুলাইমান আ. কে ছিলেন। তার একটা পশমের তুলনা আমি আপনি জাফর-কবির কেউ হওয়ার যোগ্যতা রাখি না।
‘স্লো পয়জনিং’ বলে ব্রেইন ওয়াশিং এর একটা টার্মের কথা আমরা সবাই জানি। জাফর সাহেব বাচ্চা-কাচ্চাদের মগজ ধোলাই বেশ সুক্ষ্মভাবেই করার স্পর্ধা দেখাতে চান।
– Abu Zuwainah
এটাই চেতনা…. এটাই আধুনিক সভ্যতা ……
সম্মানিতদের অপমানিত করে ……
আর নিকৃষ্টদের সম্মান করে..,…
আর যারা কুরআন ও হাদিস দিয়ে নিজেকে
পরিচালিত করে….. তাদেরকে কেউ চেনেইনা……