সংবাদ

ফিলিস্তিনকে ১৩৭ দেশের স্বীকৃতি

একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি নাম। নতুন স্বীকৃতিদাতা দেশটির নাম ভ্যাটিকান। আর এ নিয়ে বিশ্বের ১৩৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনের সঙ্গে বিশ্বের যে দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে সেগুলোকে সবুজ রং করে গোটা বিশ্বের মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোন দেশ কবে স্বীকৃতি দিয়েছে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সবুজ দেশগুলোর তালিকায় আছে বাংলাদেশও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সব সময় ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এসেছেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ নভেম্বর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ। সে বছর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের ঘোষণা দেওয়ার পর বছর ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, চীন, আফগানিস্তান, ইরাক, সৌদি আরব, সুদানসহ বেশ কিছু দেশও তাঁদের স্বীকৃতি দেয়।

বিশ্বের মোট ১৯৬ মতান্তরে ১৯৫টি দেশের মধ্যে বেশির ভাগই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানো হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে। জাতিসংঘে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্তে সদস্য দেশগুলোর সমর্থনের পর তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়। তবে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর প্রস্তাবটিতে তুমুল বিরোধিতা করেছিল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে জানুয়ারিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। চলতি মাসেই এই আহ্বান জানান তিনি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জিমি কার্টার বলেন, ‘আমি আশা করি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে যথাযথ ভূমিকা রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেটা প্রেসিডেন্ট বদলের আগেই। তবে এ জন্য হাতে সময় খুব কম। কারণ নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যুগ শেষ হয়ে গেছে।’

আর সে কারণেই আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তটি নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কার্টার। ফিলিস্তিনের মাটিতে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণেরও সমালোচনা করেন তিনি। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনের নিজের মাটিতে প্রবেশ করে একের পর এক স্থাপনা বানিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে বারবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।

মন্তব্য করুন

Back to top button