রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কি?

অধুনা বাংলায় কিছু বুদ্ধি(হীন, পর)জীবিদের কাছে আধুনিকতার মানদন্ড ইসলামবিরোধীতা। এরা সত্যের প্রতি নিবিড় বিতৃষ্ণাবশতঃ রাষ্ট্র বা সমাজের কোন কোণে ইসলামের আভাস পেলেই ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে তা অপনোদনে সচেষ্ট হয়। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বা সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকার বিষয়ে একটি আলোচনার প্রয়াস নিলাম, উদ্দেশ্যপূরণ আল্লাহর ইচ্ছায়।
১.
পৃথিবীর অন্যান্য তাবত ধর্মের সাথে ইসলামের একটি বড় পার্থক্য – একে ‘ধর্ম’ বলা হলেও আসলে এটি একটি ‘দ্বীন’ বা জীবনবিধান, যাতে মানুষের জীবনের যাবতীয় কার্যক্রমের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা আছে। স্বাভাবিকভাবেই সমাজ বা রাষ্ট্রের অধিপতিরা যদি ইসলাম গ্রহণ করে তবে কিভাবে তারা সমাজ ও দেশকে নেতৃত্ব দেবে তা স্বয়ং রসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপন জীবনে দেখিয়ে গেছেন। তাই পাশ্চাত্য দর্শন ‘ধর্ম ব্যক্তিগত’ হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের ক্ষেত্রে খাটলেও ইসলামের ক্ষেত্রে খাটেনা। ইসলাম ব্যক্তিগত এবং ব্যষ্টিক, ঐকান্তিক ও সামাজিক। মুসলিম যখন রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকে তখন সে ইসলামকে ঘরে রেখে আসেনা বরং তার অধীনের সবার উপরে ইসলামের শিক্ষা প্রয়োগ করে কারণ সে বিশ্বাস করে শাসিতের উপরে তার নিজের ইচ্ছা প্রয়োগ করার চাইতে আল্লাহর ইচ্ছা প্রয়োগ করা শাসিত ও শাসক উভয়ের জন্যই অধিক কল্যাণপ্রসূ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় – গত শতকে পশ্চিমে নৈতিকতার যে বিধিনিষেধ ছিল তা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যক্তিস্বাধীনতা চর্চার নাম উঠিয়ে দেয়। ফলে একটি শতক পার না হতেই ধর্ষণ আর যৌন নির্যাতনের মত সামাজিক অনাচার ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ইতালির বা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিংবা আইএমএফ এর মাথারা ভিনগ্রহ থেকে আসেনি, এরা ঐ সমাজেরই প্রতিনিধি মাত্র। বিয়ে বহির্ভূত যৌনাচার সমাজের একক পরিবার প্রথাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিষণ্ণতা, আত্মহত্যা আর ডেমোগ্রাফিক উইন্টারের মত সমস্যাগুলোর ফলাফল যখন মানুষ আগামী শতাব্দীতে আরো প্রকটভাবে উপলব্ধি করবে তখন সে হয়ত আবার ধর্মের কাছে, নৈতিকতার কাছে ফিরে যাবে ব্যক্তিস্বাধীনতার বন্যায় ডুবন্ত মানবতাকে রক্ষা করতে। কিন্তু ইতিমধ্যে মানবতার যে ক্ষতিটা হয়ে যাবে তার দায়ভার নেবে কে? অন্য সব কিছুর কথা বাদ দিয়ে শুধু এইডসের পিছনে বিশ্বমানবতার যে পরিমাণ সম্পদ ও মেধা খরচ হচ্ছে তা রক্ষা করা যেত শুধুমাত্র ধর্মভিত্তিক নৈতিক অনুশাসনটিকে রাষ্ট্রীয় রূপ দিলেই। কিন্তু রাষ্ট্র মানুষের যৌনাচারকে যবে থেকে অবাধ করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তবে থেকেই এমন এক ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের সে জন্ম দিয়েছে যাকে বধ করতে সে নিজেই অক্ষম।
এ ক্ষেত্রে একজন মুসলিম শাসক মানুষ এবং সমাজের ভবিষ্যত নিয়ে ‘ট্রায়াল এন্ড এররে’ না গিয়ে সৃষ্টিকর্তার বিধানগুলো নির্মোহচিত্তে সমাজে আরোপ করে। এই আইনকে লুচ্চা-লম্পটদের কাছে মধ্যযুগীয় আরব বর্বরতা, নারী নিষ্পেশন, মানব মুক্তির অন্তরায় মনে হলেও গণতান্ত্রিক সমীকরণে জনগণের অধিকাংশের জন্য এটাই মঙ্গলকর। কিন্তু মাংসভোজী শকুনের দল যখন আপন স্বার্থরক্ষার্থে তারস্বরে চিৎকার করে, তখন নিরীহ দোয়েলের ডাক কে শোনে?
রাষ্ট্র এবং ধর্মের বিচ্ছেদীকরণের মূল লুকিয়ে আছে পশ্চিমা সভ্যতার বিবর্তনের ইতিহাসে। ক্যাথলিক চার্চ রাজা কর্তৃক প্রজা শোষণ-উৎপীড়নকে ‘ঈশ্বরীয়’ তকমা দিয়ে জায়েজ করে দিয়েছিল। এর বদলে ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাসের বিপক্ষের যে কোন কিছুকেই রাষ্ট্র অতি কঠোরহস্তে দমন করত। ধর্মের নামে এহেন অনাচার ইউরোপীয়দের এতটাই ক্ষেপিয়ে তুলেছিল যে স্বৈরাচারীরা যেন কখনো ধর্মের নামে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে অধর্ম করতে না পারে সেজন্য তারা সেকুলারিজমের উদ্ভাবন করেছিল। সেকুলার মানে পার্থিব। সেকুলারিজম মানে সমাজ থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ধর্মকে ব্যক্তিগত পরিসরে পাঠিয়ে দেয়া। অবশ্য ইসলামবিরোধীরা ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’ বলে মত প্রকাশ করলেও তাদের একটা বড় অংশ নামায পড়া, দাড়ি রাখা বা পর্দা করার মত নিতান্ত ব্যক্তিগত ধর্ম পালনকে কটাক্ষ ও অনুৎসাহিত করে। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র যেখানকার মানুষরা নিজেদের বড়ই উদারচেতা ও গণতন্ত্রমণা বলে দাবী করে।
ধর্ম ও রাষ্ট্র কোন না কোন পর্যায়ে মিশবেই। রাষ্ট্রের প্রধানরা যখন শিখা অনির্বাণের সামনে মৌনী দাঁড়িয়ে থাকেন বা শহীদ বেদীতে নগ্নপায়ে ফুল অঞ্জলি দেন তখন সেটাও একটা ধর্মেরই অনুকরণ – সেটা কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। মানুষের ধর্মের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণের কারণে ফ্রান্স ছাড়া অন্য কোথাও প্রকৃত সেকুলারিজম দেখা যায়না। জার্মানি থেকে হল্যান্ড প্রায় সবখানেই আজ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলগুলোতে খ্রীষ্টের শিক্ষাটা না থাকলেও নামটা আছে। ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিবেশী দেশে শিবসেনার আস্ফালন শুনেও যারা বলেন আমাদের সংষ্কৃতি অভিন্ন, তারাও কল্যাণরাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা দিতে একটা ধর্মকেই চান। পার্থক্যটা হল আমাদের আলোক উৎস মুহাম্মদ (আল্লাহ তার উপর শান্তি বর্ষণ করুন), আর তাদের বাতিঘর শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিলুপ্ত ইসলামী শাসন ব্যবস্থা খিলাফাতে ইসলামের লেবাস থাকলেও কখনোই তাকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি। পোপের মত খলিফা স্রষ্টার প্রতিনিধি নন, জনগণের প্রতিনিধি মাত্র। তাই খলিফার কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতা নেই, আল্লাহর আইন রদ করার অধিকার নেই। খলিফা তার অনাচারকে ইসলামের মোড়কে ঢেকে জায়েজ করতে পারেননা। ফলে ভ্যাটিকানের অমনুষত্বের অনপনেয় কলঙ্ক মুসলিম খিলাফাতের ইতিহাসে নেই। আজও মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার ছিঁটেফোটা রয়ে গেছে সেখানে জনগণের কল্যাণে সরকারের সম্পদ ব্যয় হয়। গরীবকে চুষে দেশের খাঞ্জাচিখানা সমৃদ্ধ করার পাশ্চাত্য-রাজসিক মনোভাব সেখানে নেই। অপরদিকে বড়লোককে যা খুশি করবার এখতিয়ার দিয়ে বেহেশতে যাবার সনদ বিক্রি করবার ক্যাথলিক দুর্বৃত্তপনাটাও বিশুদ্ধ পাশ্চাত্য আবিষ্কার।
তাই একজন মুসলিমের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কোন বিতর্ক করার অবকাশ নেই। শুধু বিসমিল্লাহ নয়, রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা পুরোটাই ইসলাম অনুযায়ী হবে অর্থাৎ বাংলাদেশ একটি ইসলামী দেশ হবে এটাই হওয়া উচিত মুসলিমের কায়মনবাক্যের প্রার্থনা।
প্রসঙ্গত জ্ঞাতব্য যে ইসলাম জোর করে চাপিয়ে দেয়া কিছু পছন্দ করেনা। যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামের শাসন চায় তবেই আমাদের বর্তমান সংবিধান বদলে ক্বুর’আন এবং হাদিস ভিত্তিক সংবিধান আসবে। বোমা ফুটিয়ে, মানুষ মেরে বামদের বিপ্লব হয়, ইসলাম কায়িম হয়না। কল্যাণ আনতে কখনো অকল্যাণের পথে চলা উচিত না। ইসলাম চে গুয়েভারার দর্শনে চলেনা, মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুসরণে চলে।
২.
জাতীয়তাবাদ নয় বরং ধর্মই মানুষ সচেষ্ট হয়ে বেছে নেয়। জাতীয়তাবাদের পরিচয়টা হয় মানুষ জন্মসূত্রে পায় নয়ত বাবা-মার সূত্রে পায়। এটা ঠিক জাতিগত পরিচিতির মত ধর্মের প্রাথমিক পরিতিচিটাও মানুষ বাবা-মার কাছ থেকে পায়। কিন্তু আচরিত জীবনে মানুষ যা পালন করে এটা তার নিজের বেছে নেয়া। ফিরিঙ্গি রাণী শাসন করতো বলে আমার দাদা নিজেকে ব্রিটিশ রাজের গর্বিত অংশ ভাবেননি, পাকিরা মসনদে ছিল বলে আমার বাবা পাকিস্তানী পরিচয়ে বুক ফুলাননি। যদি কখনো ভারত এদেশ দখল করে নেয় তবে আমার ছেলেও নিজেকে ভারতমাতার সন্তান বলে দাবী করবেনা। আমরা মুসলিম – এটা আমাদের চয়েস। আমরা বাংলাদেশী বাই বার্থ – এটা আমাদের পরিচয়, নিছক পরিচয়। এটা আমাদের আদর্শের পরিমাপক নয়। যারা একটু খোলা মন রাখেন তারা ‘জাতের বড়াই’ লেখাটা পড়তে পারেন। ধর্ম যেমন জোর করে চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপার নয়, তেমন জাতীয়তাবোধটা ইনজেক্ট করে মগজে ঢুকিয়ে দেবার জিনিস নয়। জাতীয়তাবোধ নিয়ে যারা গলা ফাটান তাদের অধিকাংশই জাতীয়তাবোধ থেকে ব্যক্তিবোধে বেশি উজ্জীবিত থাকেন। আর ক্ষমতাধারীর নধর দেহকে পুষ্টি জোগাতে যা কিছু বিক্রি করা যায়, তার মধ্যে জাতীয়তাবোধ পয়লা নম্বরের পণ্য।
বাংলাদেশ বাঙালি ছাড়াও অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠির মাতৃভূমি। আরো আছে বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকেপড়া পাকিস্তানী যাদের পরবর্তী প্রজন্ম জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হলেও জাতিসূত্রে বিহারি এবং ভাষাসূত্রে উর্দুভাষী। সাওঁতাল, চাকমা, মারমা, গারো, ম্রো, মারমা, মং, হাজং, রাখাইন প্রায় সবারই নিজস্ব ভাষা আছে। গত দুই দশকে আরেকটি শ্রেণীর পয়দা হয়েছে যারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়বার সুবাদের বাংলা ভালো করে পড়তেও পারেনা। এরা বাংলার হাওয়া-জলে বড় হয়েও মননে হয় আমেরিকান নয়ত ইংরেজ। এদের সবার প্রধান ভাষা বাংলা নয়। তবে এদেরকে কেন আমরা বাংলা শিখতে বাধ্য করছি? কেন এদের বাংলায় সংবিধান পড়তে হবে, তাদের মাতৃভাষায় ‘দেশের সবচেয়ে বড় কিতাবটি’ তারা কেন পড়তে পারবেনা?
কারণটি খুব স্পষ্ট – বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ভাষা বাংলা বিধায় এদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ঠিক একই অতি সহজ যুক্তিতে এদেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম পালনের দাবী করে বলেই এখানকার রাষ্ট্রধর্ম হওয়া উচিত ইসলাম। এখনো তো কোন মোল্লা হিন্দু রবিঠাকুরের লেখা গানকে জাতীয় সঙ্গীত থেকে সরিয়ে দেবার দাবী তোলেনি। অথচ ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশের মানুষের জাতীয় সঙ্গীতে ইসলামের ‘ই’ নেই – এতে তার নিজেকে বঞ্চিত মনে হতেই পারে। বহু মানুষ কাঁঠালের গন্ধ শুকতে পারেনা, খাওয়া তো দূরে থাক; কই এরা তো কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসেবে মানিনা – এমন আন্দোলন করছেনা। আমরা ক’জন জাতীয় গাছের নাম জানি? জাতীয় খেলা খেলেছি? জাতীয় ফুল তুলেছি? জাতীয় পাখি চিনতে পারি? জাতীয় প্রতীক আঁকতে পারি? ইসলাম পালন করিনা বলেই সেটাকে জাতীয় ধর্ম থেকে সরিয়ে দিতে হবে এ যুক্তির পথে হাঁটলে ‘জাতীয়’ তকমাটা সব কিছু থেকেই খুলে ফেলতে হবে। কারণ কোন কিছুই একটি রাষ্ট্রের সবার জন্য পরমভাবে প্রযোজ্য নয়।
৩.
ইসলামের একটি মূলনীতি হল – যে নিজেকে মুসলিম দাবী করবে তাকে মুসলিম হিসেবেই গণ্য করতে হবে। তার কাজ-কর্ম যদি চরম ইসলাম বিরোধীও হয় তবু তাকে মুসলিম হিসেবে গণ্য করেই উপদেশ দিতে হবে, বোঝাতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশীভাগ মানুষ যে ধর্ম পালন করে তা ইসলাম নয়, হিন্দু নয়, খ্রীষ্টান বা বৌদ্ধ নয় – তার নাম অধর্ম। কিন্তু তাদের আমরা গণ্য করি তাদের কাজ দিয়ে নয়, তারা নিজেদের কি দাবী করছে তা দিয়ে। ব্যক্তির কাজের বিচার আল্লাহ সুবহানা তা’আলা করবেন, আমরা নই। একই মূলনীতি কিছুটা বড় পরিসরে রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এরশাদ আর জিয়া কেন অনৈসলামিক সংবিধানে ইসলামী পরশ বুলালেন সেটা অন্তর্যামী ভালো জানেন, আমরা ধরে নেই যে – রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজেদের মুসলিম বলে দাবী করে বলেই ইসলাম আমাদের রাষ্ট্রধর্ম। যিনি বলবেন এ দাবী সাধারণ মানুষ করেনি, দুই উর্দিপরা জেনারেল করেছে, তার জেনে রাখা উচিত আধুনিক গণতন্ত্রের পিতামহ আমেরিকাতেও জনগণের ইচ্ছার দাম নেই। দাম আছে জনগণ যাকে ক্ষমতায় পাঠাবে তার ইচ্ছার। সবখানেই স্বেচ্ছাচারীতা চলে, কোথাও স্বেচ্ছাচারী উড়ে এসে জুড়ে বসেন; আর কোথাও স্বেচ্ছাচার করবার অনুমতি চেয়ে ক্ষমতালোভীরা জনগণের দরজায় টোকা দিয়ে ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’ – এ মিথ্যা বাণীর সাদা মূলো দেখান।
আমাদের এক্স-এক্স প্রভুর আইনকাঠামোতে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধ বিধানের ঠাসবুনোট সংবিধানটি বিসমিল্লাহ বলে পড়া শুরু করলেই কি সব জায়েজ হয়ে যাবে? অবশ্যই না। তাহলে কি করা? বিসমিল্লাহ বাদ দিতে হবে নাকি এর সাথে সাংঘর্ষিক আইনগুলো? নামায পড়ে ঘুষ খাওয়াকে সাংঘর্ষিক মনে হওয়ায় কেউ যদি নামাযই ছেড়ে দেন তবে তিনি কি ঠিক পথে চললেন? বরং যদি কেউ নামায পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে বিবেকের তাড়নায় ঘুষ খাওয়া ছেড়ে দেন তবে তিনি আলোর দিকে হাটলেন। এখন আমরা ইসলামের ছোঁয়াটা অক্ষুণ্ণ রেখে ইসলামের দিকে, শান্তির দিকে এগিয়ে যাবো নাকি প্রতিবেশী ভারতের মত ধর্মনিরপেক্ষতার ভেক ধরে সংখ্যালঘুদের জ্যন্ত পোড়ানোর আয়োজন করবো এটা আমাদের বিবেকমান মানুষদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
– শরীফ আবু হায়াত অপু