প্রসঙ্গ : কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে প্রতিদিন ৫০০+ মানুষকে ইফতার করানো
বিবিসি বাংলা থেকে একটা খবর হয়েছে, কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে প্রতিদিন ৫০০+ মানুষকে ইফতার করানো হয়।
চমৎকার উদ্যোগ। ফেবুতে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ পছন্দ করেছে খবরটা, প্রায় ২৫ হাজার শেয়ার।
দুই বছর আগে রাঙামাটির লংগেদুতে গিয়েছিলাম ইফতার অথবা কম্বল বিতরণের কাজে। একটা পাহাড়ে গেলাম বৌদ্ধ কিয়াং দেখতে। শান্তিবাহিনীর (সেনাবাহিনী নয় কিন্তু) অনুমতি নেওয়া ছিল আগেই।
পাহাড়টার ওপরে এক চিলতে সমতল এলাকা। সেখানে এক সময় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। একটা পুলিশ ফাঁড়ি আর একটা মাসজিদ-ও ছিল।
ক্যাম্প নেই এখন। মাসজিদটা ভেঙে ফেলা হয়েছে, বৌদ্ধ কিয়াং–ঠিক সে জায়গাটাতেই।
কমলা গেরুয়া পরা সন্ন্যাসীর সাথে কথা হলো বেশ কিছুক্ষণ। তাকে দাওয়াত দিলাম আমাদের বিতরণ অনুষ্ঠানে আসার। তিনি রাজি হলেন না, সমস্যা আছে।
ধারে-কাছে দুটো ছেলে ঘুরছিল। সম্ভাষণ করে তাদের সাথে হাত মেলাতে চাইলাম, তারা কথা না বলে উলটো হাঁটা ধরল। তাদের পিঠে রোপ ব্যাগ। সেখান থেকে ধাতব ঝনঝনানি।
যে বৌদ্ধরা ঢাকায় মুসলিমদের ইফতার দেয় সেই বৌদ্ধরা মাসজিদ ভেঙে তাদের উপাসনালয় বানায়।
খাগড়াছড়ি শহরে গিয়েছিলাম। একটা কিয়াং থেকে মাগরিবের সময় পুরো একটা ঘণ্টা মাইক দিয়ে কিসব বলতে লাগল। একটা মানুষ নেই, শুধু রেকর্ডারে বাজানো হল তাদের ধর্মকথা।
আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমারে বৌদ্ধরা মুসলিমদের কোপায়। কুপিয়ে দেশ ছাড়া করে। সেই রোহিংগারা ভাসতে থাকে সমুদ্রে। ডুবে যায় পানিতে।
যারা বাংলাদেশে ঢুকতে পারে তারা বিজিবি ঘেরা উদ্বাস্তু শিবিরে থাকে। আপনি যদি নিজের পকেটের টাকা থেকে ইফতার কিনে দিতে চান–তাও তারা আপনাকে দিতে দেবে না। সারা দেশে গরীব মানুষ নেই? সেখানে দেন।
আমরা বৌদ্ধদের মাহাত্ম্য দেখে আহা-উহু করি। তাদের অন্ধকার দিকটা জানি না। সে দিকগুলো আমাদের কেউ বলেও না।
অন্ধকার দিক নিয়ে কিছু বলা দরকার। কেন? দরকার। যাতে আপনারা বুঝতে পারেন এই ইফতারির পেছনে কিছু আছে।
বাংলাদেশের মানুষ জোর করে একে অন্যের খাবার কেড়ে খায়। কমলাপুরে ফাও দিচ্ছে। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা মায় মাদ্রাসার ছাত্র ভেড়ে শেখানে।
এদের কেউ-ই জানে না এই শান্তির বাণীর পেছনে অনেক আঁধার আছে।
আমার এই লেখাটা কয়টা শেয়ার হবে হে শান্তিপ্রিয়, অসাম্প্রদায়িক বাঙাল জাতি?
– শরীফ আবু হায়াত অপু