সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

অপরাধ জগতে হাঁটছে পথশিশুরা

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট (বিআইডিএস) ও ইউনিসেফের ২০০৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী দেশে ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৮ জন পথশিশু রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রয়েছে ৭ লাখ পথশিশু। চলতি বছর শেষে দেশে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৪ জনে। আর ২০২৪ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৩০ জনে। ইনসিডিন বাংলাদেশের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্য একটি হিসাব মতে, বাংলাদেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা এখন প্রায় ৭৯ লাখ। আর এ শিশুদের প্রায় ৪৫ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। এসব শিশু শ্রমিকের মধ্যে ৬৪ লাখ গ্রামাঞ্চলে এবং বাকি ১৫ লাখ শহরে বিভিন্ন পেশায় কাজ করে। পিতা-মাতা, আত্মীয় কিংবা স্বজনহারা শিশুরা জীবন-সংগ্রামে নামে। অচেনা এ শহরে কাজের অভাবে খেয়ে না খেয়ে তাদের রাত কাটে রাস্তার ধারে বা সরকারি স্থাপনার খোলা বারান্দা বা রেললাইনের পাশে। অভিভাবকহীন এসব শিশুর পথচলা শুরু হয়েছে নিজেদের খেয়াল খুশি মত। এভাবে অধিকাংশ শিশু-কিশোর ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে নেশা ও চুরি-ছিনতাইসহ অপরাধ জগতের অতল গহ্বরে।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যমতে, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে মাদক সেবন করে। এর মধ্যে ১৯ শতাংশ হেরোইন, ৪৪ শতাংশ ধূমপান, ২৮ শতাংশ বিভিন্ন ট্যাবলেট এবং ৮ শতাংশ ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা করে থাকে। ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২২৯টি স্পট রয়েছে, যেখানে ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা মাদক সেবন করে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের তথ্যমতে, ঢাকা বিভাগে মাদকাসক্ত শিশুর প্রায় ৩০ শতাংশ ছেলে এবং ১৭ শতাংশ মেয়ে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়েশিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন জানায়, মাদকাসক্ত ৮০ শতাংশ পথশিশু মাত্র সাত বছরের মধ্যে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণা জরিপের মাধ্যমে জানা গেছে, মাদকাসক্ত শিশুদের ড্রাগ গ্রহণ ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ৪৪ শতাংশ পথশিশু, পিকেটিংয়ে জড়িত ৩৫ শতাংশ, ছিনতাই, নেশাদ্রব্য বিক্রয়কারী, আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের সোর্স এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ২১ শতাংশ শিশু।

ছিনতাইয়ের পেছনে পথশিশু:

প্রতিদিন রাজধানীতে অসংখ্য ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সবচেয়ে বেশি ছিনতাই হচ্ছে মোবাইল। চলতি পথে সাধারণ মানুষের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় একটি চক্র। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব ছিনতাইয়ের কাজে যারা জড়িত তাদের বেশির ভাগের বয়স ১০ থেকে ১৬ বছর। অনেক সময় চক্রটি সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।

সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারিয়া তিয়াত্ সাফা রিকশাযোগে কলাবাগান থেকে শাহবাগ যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল স্কুল পড়ুয়া ছোট ভাই। তাদের রিকশা যখন সায়েন্সল্যাব ওভারব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছায়, ঠিক তখনি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন তারা। সাফা জানান, রিকশায় করে শাহবাগ যাওয়ার সময় একটা জরুরি কল আসায় মোবাইলটা হাতেই ছিল। এমন সময় রিকশার পেছন থেকে ১৪/১৫ বছর বয়সী এক ছেলে কিছু বোঝার আগেই মোবাইলটা রিকশার পেছন থেকে টান দিয়ে নিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করলেও আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেননি। বাধ্য হয়ে আমি নিজেই পেছন পেছন অনেকদূর দৌড়িয়েছি কিন্তু রাস্তার জ্যাম আর ওই বালকের গতির জন্য তাকে ধরতে পারিনি।

টোকাইদের দ্বারা এভাবে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ার আরও অসংখ্য ঘটনা আমাদের পরিচিতজনদের মধ্যে অহরহ ঘটেছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারি, টহল এড়িয়ে এসব কিশোর ছিনতাইকারী নির্বিঘেœ এসব অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। রিকশা, বাসের জানালা, সিএনজি কিংবা প্রাইভেট গাড়ির জানালা দিয়ে যেসব ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে এগুলোর বেশিরভাগই ঘটাচ্ছে পথশিশু কিংবা টোকাইরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, সংসারের ঘানি টানতে কিংবা মাদকের টাকা জোগাড় করতে রোজগারের সহজ পথ হিসেবে টোকাইরা ছিনতাইকে সহজ পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আবার অভিভাবকহীন পথশিশুরা অনেক সময় ছিনতাই সিন্ডিকেট তৈরি করে সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাই করছেন।

এসব সিন্ডিকেটের সদস্যদের ছিনতাই করার স্টাইলটাও ফিল্মি। সাধারণত মানুষকে টার্গেট করে এরা ছিনতাই করে। রাতের আঁধারে ঘরে ফেরার সময়টাকে ছিনতাইয়ের মোক্ষম সময় হিসেবে বেছে নেয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা। কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, পাড়া কিংবা মহল্লায় লোকালয় ছেড়ে একটু গলিতে ঢুকলেই পথ আগলে ছিনতাই করে এক শ্রেণির পথশিশু। এই ধরনের ছিনতাইয়ে টোকাইরা ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের চাকু ব্যবহার করে। সিন্ডিকেটের টার্গেটে থাকে মোবাইল ও মানিব্যাগ।

পিকেটিং রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং:

বর্তমানে মিছিল-মিটিং, বিভিন্ন রাজনৈতিক শোডাউনে কিংবা হরতালের পিকেটিংয়ে অহরহ পণ শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, লোক সমাগম বাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে পথশিশুদের। টাকার বিনিময়ে কিংবা একবেলা পেটপুরে খাওয়ার বিনিময়ে এসব দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে শিশুরা। শোডাউন ছাড়াও পিকেটিং, ভাংচুর কিংবা ককটেল নিক্ষেপের মতো বিপজ্জনক কাজেও ব্যবহার হচ্ছে টোকাইরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, মিছিলে অংশ নিতে একজন টোকাইকে একবেলা খাওয়াসহ ৫০ থেকে ১০০ টাকা দেয়া হয়। আবার অনেক সময় ঘণ্টাচুক্তিতেও শিশুদের মাঠে নামানো হয়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রধান নেতা তার অধীনস্থ নেতাকে লোকসমাগম বাড়াতে কয়েকটা ট্রাক বা বাস ভরিয়ে লোক আনার নির্দেশ দেন। পরে অধীনস্থ ওই নেতা পথশিশুর সিন্ডিকেটের প্রধানের সঙ্গে চুক্তি করেন।

জানা যায়, বাস জ্বালানো বা ভাংচুর, ককটেল নিক্ষেপ এবং পেট্রলবোমা নিক্ষেপেও ভাড়া খাটছে পথশিশুরা। তবে এ ধরনের কাজের জন্য তারা একটু বেশি টাকা নেয়। বাস জ্বালানো বা ভাংচুরের জন্য টোকাইরা নেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। ককটেল নিক্ষেপের ক্ষেত্রে পথশিশুরা পায় প্রতিটির জন্য ৫০০ টাকা। তবে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের জন্য পায় কমপক্ষে দুই হাজার টাকা। জালভোট দেয়ার কাজেও ব্যবহার হয় পথশিশুরা। ককটেল বিস্ফোরণ বা পেট্রলবোমা নিক্ষেপের সময় পথশিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়। বিশিষ্টজনরা মনে করেন, হরতালের পিকেটিং কিংবা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার করা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা ছাড়া কিছু নয়। পিকেটিংয়ের নামে অন্যের চলাচলের অধিকার লংঘন অন্যায় ও বেআইনি। এই বেআইনি কাজে পথশিশুদের নামানো অবশ্যই নিন্দনীয়।

জোর করে নামানো হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তিতে:

রাস্তাঘাটে কিংবা পার্কে আজকাল অহরহ শিশুদের ভিক্ষা করতে দেখা যায়। দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গভীর রাতে ফুল বিক্রি করতে একদল শিশুকে। এসব শিশু সারাদিনের কাজ শেষে ঘরমুখো মানুষের কাছে ফুল বিক্রি করে। ফুল কেউ না নিলেও অনেক সময় টাকা দাবি করে তারা। বিষয়টি অনেকটা ভিক্ষার মতোই। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের জোর করে এই কাজে নামানো হয়েছে। দিনশেষে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা নিয়ে না গেলে তাদের মারধর করা হয়। কারওয়ান বাজারের পথশিশু ঝুমাকে পথের ধারেই কাঁদতে দেখা যায়। কান্নার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝুমা বলে, হারাদিনে ৪০ টেহা কামাইছি দেইখা মায়ে আমারে খুব মারছে। নিজের লম্বা চুল দেখিয়ে ঝুমা বলে, মায়ে কইছে কাইলকা ১০০ টেহা কামাবার না পারলে আমার চুল কাইটা দিবো। ঝুমার বয়স আর কতই বা হবে বেশি হলে ৭ বছর। এই বয়সে তার স্কুলে যাওয়ার কথা, কিন্তু তাকে জোর করে ভিক্ষাবৃত্তিতে পাঠানো হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন পার্ক কিংবা ব্যস্ত রাস্তার পাশের ফুটপাতে খেয়াল করলে দেখা যায়, পা ভাঙা, হাতা ভাঙা অনেক সময় বিভৎস ক্ষত নিয়ে শুয়ে ভিক্ষা করছেন অনেকে। এদের পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এদের জোর করে হাত-পা ভেঙে দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানো হয়েছে। এই ধরনের ক্ষত নিয়ে যেসব শিশু ভিক্ষা করছে তাদের আশপাশেই থাকেন তাদের অভিভাবক যারা দিনের শুরুতে নির্দিষ্ট স্থানে তাদের বসিয়ে দিয়ে যায় আবার সময় হলে বাসায় নিয়ে যায়।

মাদক সেবন এবং চোরাচালানে ব্যবহার হচ্ছে ওরা:

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বস্তির অলিগলিতে টোকাইয়ের কাজ করে এমন শিশুদের মাদক সেবনের দৃশ্য দেখলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। সারা দিন কাগজ বা অন্যান্য ভাঙ্গারির মালামাল কুড়িয়ে তা সংশ্লিষ্ট দোকানে বিক্রি করে যে টাকা আয় করে, তার প্রায় পুরোটাই তারা ব্যয় করে মাদক সেবনে। অধিক মুনাফালোভী একশ্রেণীর ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী স্কুল পড়ুয়া শিশুদের টোকাই বানিয়ে ফেলছে কৌশলে। টাকার লোভ দেখিয়ে ওদের কাজে পাঠানো হচ্ছে। আবার একশ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী আছেন, যারা পথশিশুদের দিয়েই মাদক সরবরাহ, ব্যবসা কিংবা পাচার করছে। রাজধানীতে এসব চিত্র অহরহ চোখে পড়ে। ফলে মাদক এসব শিশুর হাতের মোয়ায় রূপ নিয়েছে।

কিছুদিন মাদক ব্যবসা কিংবা সরবরাহের কাজ করতে করতে এসব পথশিশু কয়েক দিনের মধ্যেই মাদক গ্রহণ করতে শুরু করে। কথাগুলো জানায়, কারওয়ান বাজার রেলগেট এলাকার টোকাই আরমান। আর এভাবেই তারা আসক্ত হয়ে পড়ে মহামারী মাদকে। একসময় জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধের সঙ্গে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।

যেভাবে অপরাধী হয়ে উঠে:

বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন থেকেই তারা জড়িত হয়ে পড়ছে নানা অপরাধের সঙ্গে। পথশিশুরা মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়া ছাড়াও তারা নিজেরাই ধীরে ধীরে মাদকের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক-মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সারা দেশে প্রায় ১৪ লাখ পথশিশু কোনো না কোনো মাদকে আসক্ত। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ সব ধরনের বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিভিন্ন পার্কসহ রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মাদকাসক্ত শিশু-কিশোরদের হরহামেশাই চোখে পড়বে। তবে ঢাকার বাইরেও এরা সংখ্যায় কম নয়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এদের দেখা যায় বিভিন্ন বস্তি এলাকা ছাড়াও বহদ্দারহাট, রেলওয়ে স্টেশন, কোতোয়ালি ও রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায়। মাদক গ্রহণসহ এদের মধ্যে কেউ কেউ মাদক পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

দিন দিন সারা দেশে বাড়ছে এসব পথশিশুর সংখ্যা। তাদের দ্বারা বাড়ছে অপরাধ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা। ইউনিসেফ বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের কল্যাণে কাজ শুরু করেছে। ঢাকার লালবাগ, সদরঘাট, মোহাম্মদপুর, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, গুলশান, বাড্ডা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজার এলাকায় তাদের পরিচালিত স্কুল এদের জীবনমান পরিবর্তনে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই প্রত্যেকটি জেলা শহরে অনেক পথশিশু রয়েছে। এসব পথশিশুর জন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক সংগঠন যে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরকারের এ বিষয়ে নজর দেয়া খুবই জরুরি।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। পথশিশুদের মনিটরিং করার জন্য নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে টহল পুলিশ রয়েছে। এছাড়া রাতে পুলিশের বিশেষ টিম জনগণে নিরাপত্তায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা চিহ্নিতদের আইনের আওতায় এনেছি। কেউ যদি ছিনতাই বা পথশিশুদের দ্বারা কোন ধরনের ক্ষতির সম্মূখীন হন তাহলে অভিযোগ করলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদুল আলম যুগান্তরকে বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনী জনগণের সেবায় এবং নিরাপত্তা বিধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পথশিশুর বিষটি আমাদের নজরে রয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাব নিয়মিত মনিটরিং করছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অনেক সময় র্যাব অভিযান চালিয়ে ছিনতাই এবং মলমপার্টির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন

Back to top button