বালিকার থুথু নিক্ষেপে কূয়া ভরে গেল!
(ইসলামের নামে প্রচলিত উদ্ভট ও ভিত্তিহীন কল্পকাহিনী)
মাওলানা যাকারিয়া নিজের ‘দালায়েলুল খায়রাত’ বইটি লেখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে, তিনি একদা সফর অবস্থায় ওযূর পানির সংকটে পড়েন। দড়ি-বালতি না থাকার কারণে তিনি কূয়া থেকে পানি উঠাতে পারছিলেন না। একটি মেয়ে এ দৃশ্য দেখে কূয়ার নিকটে এসে তাতে থুথু নিক্ষেপ করল। সাথে সাথে কূয়ার পানি কিনারা পর্যন্ত উঠে এলো। লেখক বিস্মিত হয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, এটি দরূদ শরীফের বরকত। এ ঘটনার পর আমি উক্ত বইটি লিখি’।
পাঠকগণ ভালভাবেই জানেন যে, হিজরতের পর পানির কষ্টে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম মদীনায় কিভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে জনৈক ইহুদীর নিকট থেকে ওছমান (রাঃ) বি’রে রূমাহ নামক বিখ্যাত কূয়াটি খরিদ করে সেটি মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৬০৬৬, সনদ হাসান; আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৫৯৪)। অথচ একটি সাধারণ বালিকার থুথু নিক্ষেপে কূয়া ভরে গেল। গল্প আর কাকে বলে!!
উৎস: ফাযায়েলে দরূদ শরীফ ১/৮৩ গল্প নং ৬।
অনেক নবীকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে আবার অনেক সাধারণ মানুষকেও আল্লাহ্ পাক ভীষণ বিপদে হেফাযত করেন। এটা যদি হতে পারে, তবে ” অথচ একটি সাধারণ বালিকার থুথু নিক্ষেপে কূয়া ভরে গেল।” —– এটা অবিশ্বাস্য হবে কেন ?