মিথ্যা কাহিনী

‘ছালাতের ফযীলত’ সংক্রান্ত উদ্ভট ও মিথ্যা কাহিনী সমূহ

ছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত উদ্ভট ও মিথ্যা কাহিনী সমূহ :

জনগণকে ছালাতের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য ‘ফাযায়েলে আমলের’ মধ্যে এমন কিছু তথ্য ও কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, আজগুবি ও অবাস্তব। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হল:

(১) জামা‘আতের সাথে এক ওয়াক্ত ছালাতের নেকী তিন কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ চুয়ান্ন হাযার চারশ‘ বত্রিশ গুণ।

পর্যালোচনা : হাদীছে বলা হয়েছে যে, জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে একাকী পড়ার চেয়ে ২৫ গুণ বা ২৭ গুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যাবে। অন্য হাদীছে রয়েছে, পঁচিশটি ছালাতের নেকী হবে। উক্ত দুই হাদীছের ফযীলতের উদ্ভট ব্যাখ্যা দিয়ে কোটি কোটি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

(২) সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (রহঃ) পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এশা ও ফজরের ছালাত একই ওযূ দ্বারা পড়েছেন।

(৩) চল্লিশ জন তাবেঈ সম্পর্কে অসংখ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তারা এশা ও ফজর একই ওযূতে পড়তেন।

(৪) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ত্রিশ বছর কিংবা চল্লিশ বছর কিংবা পঞ্চাশ বছর এশা ও ফজর ছালাত একই ওযূতে পড়েছেন। তাঁর সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, ওযূর পানি ঝরার সময় তিনি বুঝতে পারতেন এর সাথে কোন্ পাপ ঝরে যাচ্ছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফাযিল স্নাতক প্রথম বর্ষের আল-আক্বাঈদ বইয়ে আবু হানীফা (রহঃ)-এর গুণাবলী সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তিনি একাধারে ৩০ বছর রোযা রেখেছেন এবং ৪০ বছর যাবত রাতে ঘুমাননি। ইবাদত বন্দিগীতে রজনী কাটায়ে গিয়েছেন। প্রতি রামাযানে ৬১ বার কুরআন মাজীদ খতম করতেন। অনেক সময় এক রাক‘য়াতেই কুরআন মাজীদ এক খতম দিতেন। তিনি ৫৫ বার হজ্জ করেছেন। জীবনের শেষ হজ্জের সময় কা‘বা শরীফে দু’রাক‘য়াত নামায এভাবে পড়েন যে, প্রথম রাক‘য়াতে এক পা ওঠায়ে প্রথম অর্ধাংশ কুরআন মাজীদ পাঠ করেন। তারপর দ্বিতীয় রাক‘য়াতে অপর পা ওঠায়ে বাকি অর্ধাংশ কুরআন মাজীদ পাঠ করেন। যে স্থানে তাঁর ইন্তিকাল হয়েছে, সেখানে এক হাজার বার কুরআন মাজীদ খতম করেছেন। তিনি ৯৯ বার আল্লাহ তা‘য়ালাকে স্বপ্নে দেখেছেন’।

(৫) ইমাম শাফেঈ (রহঃ) রামাযান মাসে ছালাতের মধ্যে পবিত্র কুরআন ৬০ বার খতম করতেন।

(৬) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) দৈনিক ৩০০ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। ৮০ বছর বয়সে তিনি দৈনিক ১৫০ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন।১০

(৭) সাঈদ ইবনু যুবাইর (রহঃ) এক রাক‘আতে পুরা কুরআন খতম করতেন।১১

(৮) আবু আত্তার সুলামী (রহঃ) চল্লিশ বছর পর্যন্ত সারা রাত ক্রন্দন করে কাটাতেন এবং দিনে সর্বদা ছিয়াম পালন করতেন।১২

(৯) বাকী ইবনু মুখাল্লাদ (রহঃ) দৈনিক তাহাজ্জুদ ও বিতর ছালাতের তের রাক‘আতে কুরআন খতম করতেন।১৩

(১০) মুহাম্মাদ ইবনু সালামা ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রহঃ)-এর ছাত্র ছিলেন । তিনি ১০৩ বছর বয়সে মারা যান। ঐ বয়সে তিনি প্রতিদিন ২০০ রাক‘আত করে ছালাত আদায় করতেন। দীর্ঘ চল্লিশ বছর তার একটানা তাকবীরে তাহরীমা ছুটেনি। মায়ের মৃত্যুর কারণে মাত্র একবার ছুটে গিয়েছিল। জামা‘আতে না পড়ার জন্য তিনি ঐ ছালাত ২৫ বার পড়েন।১৪

(১১) ওমর ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) সারা রাত্রি ইবাদতে মশগুল থাকতেন। এমনকি খেলাফতের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার ফরয গোসলের প্রয়োজন হয়নি।১৫

(১২) জনৈক বুযুর্গ ব্যক্তির পায়ে ফোঁড়া হয়েছিল। ডাক্তারগণ পরামর্শ দিলেন, পা না কাটা হলে জীবনের হুমকি রয়েছে। তখন তার মা বললেন, যখন ছালাতে দাঁড়াবে তখন কেটে নিতে হবে। অতঃপর তিনি যখন ছালাতে দাঁড়ালেন তখন তারা তার পা কেটে ফেললে তিনি মোটেও টের পেলেন না।১৬

উল্লেখ্য যে, আলী (রাঃ) সম্পর্কে এধরনের একটি কাহিনী প্রচার করা হয় যে, যুদ্ধে তার পায়ে তীর বিদ্ধ হয়েছিল। সেই তীর বের করা যাচ্ছিল না। অবশেষে তিনি ছালাতে দাঁড়ালে তার পা থেকে তীর বের করা হল অথচ তিনি টের পেলেন না। এই কাহিনীও মিথ্যা।

পর্যালোচনা : সুধী পাঠক! উক্ত কাহিনীগুলো মুসলিম বিশ্বের বরণীয় মনীষীদের সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন হল, তারা কি আদৌ এভাবে তাদের ইবাদতী জীবন অতিবাহিত করেছেন? তাদের দ্বারা কি এধরনের বাড়াবাড়ি সম্ভব? যেমন-

(ক) দীর্ঘ ৪০/৫০ বছর যাবৎ এশার ছালাতের ওযূ দ্বারা ফজরের ছালাত আদায় করা। বছরের পর বছর একটানা ছিয়াম পালন করা ইত্যাদি। মানবীয় কারণ উল্লেখ না করে যদি প্রশ্ন করা হয়- শরী‘আতে এভাবে সারা রাত ধরে ইবাদত করার অনুমোদন আছে কি? রাসূল (ছাঃ) ও তার ছাহাবীদের পক্ষ থেকে এরূপ কি কোন নযীর আছে? আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাঃ)-কে রাত্রের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ইবাদত করতে বলেছেন (মুয্যাম্মিল ২-৪)। রাসূল (ছাঃ) ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনু আছ (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, صُمْ وَأَفْطِرْ وَقُمْ وَنَمْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا ‘তুমি ছিয়াম পালন কর আবার ছিয়াম ছেড়ে দাও, তুমি রাত্রে ইবাদত কর আবার ঘুমাও। কারণ তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার উপর তোমার দুই চোখের হক আছে, অনুরূপ তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে’।১৭ রাসূল (ছাঃ) অন্য হাদীছে বলেন, ‘যে ব্যক্তি সর্বদা ছিয়াম পালন করে তার ছিয়ামের কোন মূল্য নেই। একথা তিনি দুইবার বলেন’।১৮

(খ) প্রতিদিন ৩০০, ২৫০ কিংবা ২০০ রাক‘আত ছালাত আদায় করা। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম এধরনে কোন ইবাদত করেছেন মর্মে প্রমাণ নেই। জানা আবশ্যক যে, রাসূল (ছাঃ)-এর তরীক্বা ব্যতীত যেকোন ইবাদত প্রত্যাখ্যাত।১৯ বরং শরী‘আতের বিধিবদ্ধ নিয়মকে অবজ্ঞা করে যে বেশী বেশী ইবাদত করবে নিঃসন্দেহে সে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত থেকে বহিষ্কৃত হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) ইবাদতের কথা জেনে তিন ব্যক্তি খুব কম মনে করেছিল এবং তারা বেশী বেশী ইবাদত করতে চেয়েছিল। এদের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বলে দিলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’।২০

(গ) ছালাতে কুরআন খতম করা। এক রাক‘আতে পুরো কুরআন খতম করা এবং রামাযান মাসে শুধু তারাবীহ্র ছালাতে ৬০ বার খতম করা। এ হিসাবে প্রত্যেক রাতে দুইবার করে খতম করতে হয়েছে। এটা সম্ভব কি-না তা যাচাই করবেন পাঠকবৃন্দ। তবে স্বয়ং রাসূল (ছাঃ)ও এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করে রাতের ছালাত আদায় করেননি। তিনি একবার এক রাক‘আতে সর্বোচ্চ সূরা বাক্বারাহ, নিসা ও আলে ইমরান পড়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।২১ জনৈক ছাহাবী সাত দিনের কমে কুরআন খতম করতে চাইলে রাসূল (ছাঃ) তাকে অনুমতি দেননি।২২ তিনি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করতে নিষেধ করেছেন।২৩ তাছাড়া আয়েশা (রাঃ) বলেন,

وَلاَ أَعْلَمُ نَبِىَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِى لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ.

আমি জানি না যে, রাসূল (ছাঃ) কোন এক রাত্রিতে পুরো কুরআন খতম করেছেন, কোন রাত্রে পুরো রাত ছালাত আদায় করেছেন এবং রামাযান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে সম্পূর্ণ মাস ছিয়াম পালন করেছেন।২৪ এই নিয়মতান্ত্রিক নির্ধারিত ইবাদত করার মাধ্যমেই তিনি হয়েছেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ তাকওয়াশীল।২৫

প্রশ্ন হল- যে সমস্ত মহা মনীষী সম্পর্কে উক্ত অলীক কাহিনী রচনা করা হয়েছে তারা কি শরী‘আতের এই বিধানগুলো জানতেন না? তারা কি রাসূল (ছাঃ) ও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ছাহাবীদের চেয়ে বেশী পরহেযগার হতে চেয়েছিলেন? (নাঊযুবিল্লাহ)। বিশেষ করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) সম্পর্কে যে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত বইয়ে কিভাবে তা সম্পৃক্ত হতে পারে? বলা যায় তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল এ সমস্ত অলীক কাহিনী আবিস্কার করেছে।

(১৩) ছাবেত আল-বুনানী (রহঃ) আল্লাহ্র সামনে অধিক ক্রন্দন করতেন আর বলতেন, হে আল্লাহ কবরে যদি কাউকে ছালাত আদায় করার অনুমতি দান করে থাকেন তাহলে আমাকে অনুমতি দিন। আবু সিনান বলেন, আল্লাহ্র কসম! ছাবেতকে যারা দাফন করেছেন তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। দাফনের সময় কবরের একটি ইট পড়ে গেল। আমি দেখতে পেলাম তিনি দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করছেন। তার কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, আববা ৫০ বছর যাবৎ রাত্রি জাগরণ করেছেন এবং উক্ত দো‘আ করেছেন।২৬

(১৪) একজন স্ত্রীলোককে দাফন করা হল । তার ভাই দাফনের কাজে শরীক ছিল। এ সময় তার টাকার থলি কবরের মাঝে পড়ে যায়। পরে বুঝতে পেরে চুপে চুপে কবর খুলে বের করার চেষ্টা করে। যখন সে কবর খুলল তখন কবরটি আগুনে পরিপূর্ণ ছিল। সে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের নিকট আসল এবং ঘটনা বর্ণনা করল। তখন তার মা উত্তরে বলল, সে ছালাতে অলসতা করত এবং ছালাত ক্বাযা করত।২৭

পর্যালোচনা : কবর জীবন মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যবর্তী জীবন। এই জীবন মানুষের বাস্তব জীবনের বিপরীত। দুনিয়ার কোন মানুষ বারযাখী জীবন সম্পর্কে খবর রাখে না। কবরের শান্তি বা শাস্তি কোনকিছু কেউ টের পায় না। সেখানকার অবস্থা দেখা তো দূরের কথা মানুষ ও জিনের পক্ষে কানে শুনাও সম্ভব নয়।২৮

(১৫) শায়খ আব্দুল ওয়াহিদ (রহঃ) ছিলেন বিখ্যাত বুযুর্গের একজন। তিনি বলেন, আমার একবার খুব ঘুমের চাপ হল। ফলে রাত্রের নিয়মিত তাসবীহগুলো পড়তে ছুটে গেল। তখন স্বপ্নে আমি সবুজ রেশমী পোশাক পরিহিতা এক অপূর্ব সুন্দরী যুবতীকে দেখলাম। তার পায়ের জুতাগুলো পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করছে। সে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছে, তুমি আমাকে পাওয়ার চেষ্টা কর, আমি তোমাকে পাওয়ার চেষ্টা করছি। অতঃপর সে কয়েকটি প্রেমমূলক কবিতা পাঠ করল। এই স্বপ্ন দেখে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, রাত্রে আর কখনো ঘুমাব না। অতঃপর তিনি দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর্যন্ত এশার ওযূ দিয়ে ফজরের ছালাত আদায় করেন।২৯

(১৬) জনৈক বুযুর্গ বলেন, এক রাত্রিতে গভীর ঘুমের কারণে আমি জেগে থাকতে পারলাম না। ঘুমিয়ে পড়লাম। স্বপ্নে এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়েকে দেখলাম। এমন মেয়ে আমি কখনো জীবনে দেখিনি। তার দেহ থেকে তীব্র সুগন্ধি ছড়াচ্ছে। এমন সুগন্ধি আমি কখনো অনুভব করিনি। সে আমাকে একটি কাগজের টুকরা দিল। তাতে কবিতার তিনটি চরণ লেখা ছিল। যেমন- তুমি নিদ্রার স্বাদে বিভোর হয়ে জান্নাতের বালাখানা সমূহ ভুলে গেছ, যেখানে তোমাকে চির জীবন থাকতে হবে, যেখানে কখনো মৃত্যু আসবে না। তুমি ঘুম হতে উঠ, কুরআন তেলাওয়াত কর, তাহাজ্জুদ ছালাতে কুরআন তেলাওয়াত করা ঘুম হতে অনেক উত্তম। তিনি বলেন, এই ঘটনার পর হতে আমার কখনো ঘুম আসে না। কবিতাগুলো স্মরণ হয় আর ঘুম দূরিভূত হয়ে যায়।৩০

পর্যালোচনা : কি চমৎকার রোমাঞ্চকর উপন্যাস! সুন্দরী মেয়ের প্রলভন দেখিয়ে মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসার কি সুন্দর অভিনব কৌশল! আল্লাহ্র ভয় ও ইসলামী বিধানের আনুগত্যের কোনই প্রয়োজন নেই। শুধু সুন্দরী নর্তকীকে পাওয়ার জন্য সে ইবাদত করবে। এটা কি কোন ইসলামী সভ্যতা?
সুধী পাঠক! ফাযায়েলে আমলে এ ধরনের অসংখ্য মিথ্যা কাহিনী রয়েছে। এই মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা দিয়ে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে প্রতারণার জালে আবদ্ধ করা হচ্ছে। এই পাতানো মরণ ফাঁদ হতে বিরত থেকে প্রমাণসহ ছহীহ দলীলের অনুসরণ করার জন্য আমরা সরলপ্রাণ মুমিন ভাইদেরকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহ রাববুল আলামীন মুসলিম উম্মাহকে উক্ত মিথ্যা ও কাল্পনিক ধর্ম থেকে রক্ষা করুন-আমীন!!

ছালাতের ছহীহ ফযীলত সমূহ:

ছালাত তরককারীর হুকুম ও পরিণাম সম্পর্কে আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি। এক্ষণে ছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত কুরআন-সুন্নাহ্র কয়েকটি বাণী নিম্নে পেশ করা হল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ. ‘আর আপনি ছালাত আদায় করুন। নিশ্চয় ছালাত অশ্লীল ও নির্লজ্জ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহ্র স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ’ (আনকাবূত ৪৫)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ. ‘আর আপনি দিনের দুই প্রান্তে এবং রাত্রির কিছু অংশে ছালাত আদায় করুন। নিংসন্দেহে সৎকর্ম সমূহ মন্দ কর্মসমূহকে দূর করে দেয়’ (হূদ ১১৪)

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ.

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলতেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, এক জুম‘আ হ’তে পরবর্তী জুম‘আ, এক রামাযান হ’তে পরবর্তী রামাযান এর মধ্যকার যাবতীয় পাপের কাফফারা স্বরূপ। যদি সে কাবীরা গোনাহ সমূহ থেকে বিরত থাকে’ ।৩১

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ قَالُوْا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ قَالَ فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا.

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো বাড়ীর সামনে দিয়ে প্রবাহিত নদীতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করলে তোমাদের দেহে কোন ময়লা বাকী থাকবে কি? তারা বললেন, না বাকী থাকবে না। তিনি বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের তুলনা ঠিক অনুরূপ। আল্লাহ এর দ্বারা গোনাহ সমূহ বিদূরিত করেন’।৩২

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ يَعْجِبُ رَبُّكُمْ مِنْ رَاعِي غَنَمٍ فِي رَأْسِ شَظِيَّةٍ بِجَبَلٍ يُؤَذِّنُ بِالصَّلَاةِ وَيُصَلِّيْ فَيَقُوْلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوْا إِلَى عَبْدِيْ هَذَا يُؤَذِّنُ وَيُقِيْمُ الصَّلَاةَ يَخَافُ مِنِّيْ قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِيْ وَأَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ.

উক্ববা ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের প্রভু অত্যন্ত খুশি হন ঐ ছাগলের রাখালের প্রতি যে পর্বতশিখরে দাঁড়িয়ে ছালাতের আযান দেয় এবং ছালাত আদায় করে। তখন মহান আল্লাহ ফেরেশতাগণকে বলেন, তোমরা লক্ষ্য করো- সে আযান দেয় এবং ছালাত কায়েম করে এবং আমাকে ভয় করে। আমি আমার বান্দাকে মাফ করে দিলাম এবং জান্নাতে প্রবেশ করালাম।৩৩

عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ …قَالَ فَقُلْتُ يَا نَبِىَّ اللهِ فَالْوُضُوْءُ حَدِّثْنِى عَنْهُ قَالَ مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيْمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِى هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيْئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ.

আমর ইবনু আবাসা (রা) হ’তে বর্ণিত, … আমি বললাম, হে আল্লাহ্র নবী (ছাঃ)! ওযূ সম্পর্কে বলুন। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন পানি সংগ্রহ করে কুলি করে এবং নাকে পানি দেয় অতঃপর নাক ঝাড়ে, নিশ্চয়ই তখন তার মুখমন্ডল, মুখের ভিতরের ও নাকের ভিতরের গোনাহ সমূহ ঝরে যায়। অতঃপর সে যখন চেহারা ধৌত করে যেরূপ আল্লাহ নির্দেশ দান করেছেন, তখন তার মুখমন্ডলের পানির সাথে পাপগুলো দাড়ির কিনারা দিয়ে ঝরে পড়ে। অতঃপর যখন সে দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের পাপ সমূহ আঙ্গুলের ধার দিয়ে পানির সাথে ঝরে যায়। অতঃপর যখন সে মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথার পাপসমূহ চুলের পাশ দিয়ে ঝরে পড়ে। অবশেষে যখন সে দুই পা ধৌত করে দুই গিরা পর্যন্ত তখন তার গোনাহ সমূহ তার আঙ্গুল সমূহের কিনারা দিয়ে ঝরে পড়ে। অতঃপর সে যখন ছালাতের জন্য দাঁড়ায় এবং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে এবং তাঁর মর্যাদা বর্ণনা করে তিনি যেমন মর্যাদার অধিকারী। সেই সাথে নিজের অন্তরকে আল্লাহ্র জন্য নিবিষ্ট করে, তখন সে তার পাপ হ’তে অনুরূপ মুক্ত হয়ে যায় যেন তার মা তাকে সেদিন জন্ম দিয়েছে।৩৪

عَنْ أَبِىْ قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى إِنِّيْ فَرَضْتُ عَلَى أُمَّتِكَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ وَعَهِدْتُ عِنْدِي عَهْدًا أَنَّهُ مَنْ جَاءَ يُحَافِظُ عَلَيْهِنَّ لِوَقْتِهِنَّ أَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهِنَّ فَلَا عَهْدَ لَهُ عِنْدِي.

আবু ক্বাতাদা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, নিশ্চয় আমি আপনার উম্মতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছি এবং আমার কাছে একটি অঙ্গীকার রেখেছি যে, যে ব্যক্তি ওয়াক্তমত সেই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে ক্বিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে আমি তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করাব। আর যে ব্যক্তি সেগুলোর সংরক্ষণ করবে না তার জন্য আমার নিকট কোন অঙ্গীকার নেই’।৩৫

عَنْ أَبِى سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلاَةُ فِى جَمَاعَةٍ تَعْدِلُ خَمْسًا وَعِشْرِيْنَ صَلاَةً فَإِذَا صَلاَّهَا فِىْ فَلاَةٍ فَأَتَمَّ رُكُوْعَهَا وَسُجُوْدَهَا بَلَغَتْ خَمْسِينَ صَلاَةً.

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা পঁচিশ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করার ন্যায়। যখন উক্ত ছালাত কোন নির্জন ভূখন্ডে আদায় করে অতঃপর রুকূ ও সিজদা পূর্ণভাবে করে তখন সেই ছালাত পঞ্চাশ ছালাতের সমপরিমাণ হয়।৩৬

ছালাত সংক্রান্ত আরো  অনেক ফযীলত ছহীহ হাদীছ সমূহে বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর প্রতি দৃষ্টি রেখেই আমাদেরকে আমল করতে হবে। যঈফ ও জাল হাদীছ এবং কাল্পনিক মিথ্যা কাহিনীর কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আমাদেরকে বিশুদ্ধভাবে ছালাত আদায় করার তাওফীক দান করুন- আমীন!!

– মুযাফফর বিন মুহসিন


. ছহীহ বুখারী হা/১৩৫১, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭৭ ও হা/৪২৮।
. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১ পৃঃ; তালখীছু আহকামিল জানাইয, পৃঃ ৯১।
. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ছহীহ বুখারী হা/৩৪৪৫, ‘নবীদের ঘটনাবলী’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪৮; মিশকাত হা/৪৮৯৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৬৮০, ৯/১০৭ পৃঃ।
. ছহীহ বুখারী হা/৩৭৩, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৪; ছহীহ মুসলিম হা/১২৬৭; মিশকাত হা/৭৫৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭০১, ২/২৩৮, ‘সতর ঢাকা’ অনুচ্ছেদ।
. ছহীহ বুখারী হা/৩৭৪; মিশকাত হা/৭৫৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭০২।
. ছহীহ বুখারী হা/১৫৯৭, ‘হজ্জ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫০; ছহীহ মুসলিম হা/৩১২৬; মিশকাত হা/২৫৮৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৪৭৩, ৫/২১৪ পৃঃ।
. ছহীহ মুসলিম হা/৪০৮; মিশকাত হা/৫৫০৬।
. ছহীহ আবূদাঊদ হা/৪৪৮, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৭১৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৬৫, ২/২২২।
. আবূদাঊদ হা/৪৪; নাসাঈ হা/৬৮৯; সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৭১৯।
১০. ছহীহ বুখারী হা/২৪৭৮, ‘মাযালেম’ অধ্যায়; ছহীহ মুসলিম হা/৪৭২৫।
১১. ছহীহ বুখারী হা/৯১৭; মিশকাত হা/১১১৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৪৫, ৩/৬৫, ‘কাতারে দাঁড়ানো’ অনুচ্ছেদ।
১২. ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১৫২১; ইবনু মাজাহ হা/১৪১৪; মুসনাদে আহমাদ হা/২২৯২২; মুস্তাদরাক হাকেম হা/৭২৫৬; সনদ ছহীহ, আলবানী, আছ-ছামারুল মুস্তাতাব, পৃঃ ৪০৮।
১৩. তাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৫৭৪৮; সনদ ছহীহ, আলবানী, আছ-ছামারুল মুস্তাতাব, পৃঃ ৪০৮।
১৪. মুস্তাদরাক হাকেম হা/৭২৫৬; সনদ ছহীহ।
১৫. সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৩৫, ১/৩৩৪ পৃঃ।
১৬. ইবনু মাজাহ হা/১০০২, সনদ ছহীহ; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৩৫, ১/৩৩৪ পৃঃ।
১৭. সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৩৫, ১/৩৩৪ পৃঃ।
১৮. ছহীহ বুখারী হা/৫০৪ ও ৫০৫।
১৯. ছহীহ বুখারী হা/৪৪৪, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে তখন দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করবে’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম হা/১৬৮৭; মিশকাত হা/৭০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৫২, ২/২১৭ পৃঃ।
২০. ছহীহ বুখারী হা/১১৬৩, ‘রাত্রির ছালাত দুই দুই রাক‘আত’ অনুচ্ছেদ।
২১. ছহীহ বুখারী হা/৯৩০ ও ৯৩১, ‘জুম‘আর ছালাত’ অধ্যায়; ছহীহ মুসলিম হা/২০৫৫ ও ২০৫৬।
২২. ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/১৪২৯; আবূদাঊদ হা/৮৬২।
২৩. ইবনু মাজাহ হা/১৪২৭; আবূদাঊদ হা/১০০৬, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘সুন্নাত ছালাত ফরয ছালাতের স্থান থেকে সরে গিয়ে পড়া’ অনুচ্ছেদ।
২৪. আবূদাঊদ হা/৬১৬; ইবনু মাজাহ হা/১৪২৮।
২৫. ইবনু মাজাহ হা/১৩৭৫; মিশকাত হা/৭৫২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৯৬, ২/২৩৫ পৃঃ; আলবানী, আছ-ছামারুল মুস্তাত্বাব, পৃঃ ৫৮০।
২৬. ছহীহ বুখারী হা/১১৮৯; মিশকাত হা/৬৯৩।
২৭. ছহীহ মুসলিম হা/৩৫৪ ও ৩৫৫, ‘ঈমান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৬১; ছহীহ বুখারী হা/৬৪৯১, ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩১; মিশকাত হা/২৩৭৪।
২৮. ছহীহ মুসলিম হা/১৬৭৮ ও ৭৯, ‘মুসাফিরদের ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯; মিশকাত হা/১০৫৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৯১, ৩/৪৬ পৃঃ, ‘ছালাতের জামা‘আত ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৩।
২৯. আবূদাঊদ হা/১২৬৭, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/১০৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৭, ৩/৪০ পৃঃ, ‘ছালাতের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ।
৩০. ছহীহ মুসলিম হা/১০০২, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৮; মিশকাত হা/১০৮৯, ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ।
৩১. ছহীহ বুখারী হা/৪৭১।
৩২. ছহীহ বুখারী হা/৪৭০; মিশকাত হা/৭৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৮৮, ২/২৩০ পৃঃ, ‘মসজিদ সমূহ’ অনুচ্ছেদ।
৩৩. ছহীহ মুসলিম হা/১২৮৮; মিশকাত হা/৭০৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৫৪, ২/২১৮ পৃঃ।
৩৪. তিরমিযী হা/৯৮৬; ইবনু মাজাহ হা/১৪৭৬, সনদ হাসান।
৩৫. ছহীহ বুখারী হা/১৩০৪; ছহীহ মুসলিম হা/২১৭৬; মিশকাত হা/১৭২৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৬৩২, ৪/৮৪, ‘জানাজা’ অধ্যায়।
৩৬. ছহীহ বুখারী হা/৫১০; মিশকাত হা/৭৭৬।
৩৭. মুসলিম, মিশকাত হা/৭৭৫
৩৮. ছহীহ আবূদাঊদ হা/৫৩৮, সনদ হাসান।
৩৯. দারেমী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২০০৫, সনদ ছহীহ।
৪০. ইবনু ওয়াযযাহ, আল-বিদউ, পৃঃ ২৩, হা/২১; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৩-এর আলোচনা দ্রঃ, সনদ ছহীহ।
৪১. ছহীহ বুখারী হা/৭৩০০, ‘ই‘তেছাম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫; ছহীহ মুসলিম হা/৩৩৯৩, ‘হজ্জ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৫; মিশকাত হা/২৭২৮।

মন্তব্য করুন

Back to top button