সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

শরী‘আহ আইন ছাড়াই চলছে ইসলামী বীমা ব্যবসা

দেশে চলমান বীমা ব্যবস্থায় শরী‘আহ আইনের কোন বালাই নেই। তবু নামের আগে ইসলাম যোগ করে অবাধে চলছে ব্যবসা। নতুন আইনের একটি খসড়া হলেও তা অনুমোদন হয়নি। আর ধর্মের ব্যবহারে বীমা ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় শরীয়াহ উইংয়ের প্রতি দেশী-বিদেশী বীমা প্রতিষ্ঠানগুলির আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ইসলামী চিন্তাবিদ ও বীমা বিশ্লেষকদের মতে, এ দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী মুসলিম এবং তারা ধর্মপ্রাণ। এটাকে পুঁজি করে ব্যবসারত কতিপয় বীমা কোম্পানী ইসলামী শরী‘আহ নামে বীমা গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শরী‘আহ বীমার নামে একদিকে যেমন মুনাফা কম দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে নানা ফাঁক -ফোকর দিয়ে সুকৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই বীমাকে বিশ্বাস কেন্দ্রে দাঁড় করিয়ে প্রকারান্তরে ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাসের সাথেই প্রতারণা করছে প্রতিষ্ঠানগুলি।

বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সাল থেকে শরী‘আহ মোতাবেক নন- লাইফ ও লাইফ বীমা পরিচালনার জন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে অনুমোদন দেয়া শুরু করে। অনুমোদনের প্রায় ১৫ বছর পার হলেও তৈরী হয়নি ইসলামী বীমা পরিচালনার জন্য পৃথক কোন নীতিমালা কিংবা আইন। কবে নাগাদ এ আইন চূড়ান্ত হতে পারে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।

কোম্পানীগুলি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইডিআরএর’ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমাদ বলেন, বিদ্যমান ইসলামী বীমা কোম্পানিগুলো যেভাবে ব্যবসা করছে, তা শরী‘আহভিত্তিক নয়। ‘আইডিআরএ’-এর সদস্য কুদ্দূস খান বলেন, ‘আইডিআরএ’ তাকাফুল বিধি এখনো তৈরী করেনি। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ইসলামী বীমা কোম্পানীর নিজস্ব কথিত শরী‘আহ বোর্ড রয়েছে বলে তাদের দাবী। কিন্তু এ বোর্ডগুলো শরী‘আহ আইন মানার পরিবর্তে কোম্পানীর স্বার্থকেই বেশী প্রাধান্য দেয়।

দেশে মোট ১১টি ইসলামী বীমা কোম্পানী ব্যবসা করছে। এছাড়া বিদেশী কোম্পানিগুলোও আলাদা উইং খুলে ব্যবসা করে আসছে।

প্রাইম ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুল হুদা স্বীকার করে বলেন, শরী‘আহ আইন ছাড়াই ইসলামী বীমা ব্যবসা করছে সবাই। তবে কিছুটা নিয়ম-কানুন পৃথক আছে।

মন্তব্য করুন

Back to top button