সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

মসজিদে মুসল্লীদের উপস্থিতি সীমিত করার সিদ্ধান্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

আলহামদুলিল্লাহ, ইসলামি ফাউন্ডেশন দেশের মূলধারার আলিমদের নিয়ে বসেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে একটা পজিটিভ সিদ্ধান্ত এসেছে। তাঁরা বলেছেন, সর্বসাধারণ নিজ নিজ গৃহে অবস্থানপূর্বক জামাত করে সলাত পড়ে নিতে। মাসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সলাত আদায় করে নেবেন।

মাসজিদে জামাতের ব্যাপারে দুটো কথা স্পষ্ট করে বলি।

একমাত্র ভয়ংকর ইসলামবিদ্বেষী মানুষ ছাড়া সাধারণ অবস্থায় মাসজিদ বন্ধ করার কথা বলতে পারে না। আমরা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মাসজিদে জামাতে সর্বসাধারণের আসা বন্ধের কথা বলছি। টোলারবাগে মৃত্যু হওয়ার পরে মাসজিদে জামাত বন্ধ হয়েছে। আমরা মৃত্যুর মিছিল শুরু হওয়ার আগেই সেই কাজটা করতে চাইছি।

মাসজিদ কোরোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য একটা আদর্শ জায়গা। কারণ এখানে অনেক মানুষ সিজদা দেয়।

মালয়েশিয়াতে গতকাল পর্যন্ত ১৫০০ জন কোরোনা ভাইরাসের রোগীর মধ্যে ৯০০ জনই তাবলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট। নিষেধ করা সত্ত্বেও উনারা জোর করে ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১লা মার্চে তাবলীগি জোড় আয়োজন করেছিলেন। সেখান থেকে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা পর্যায়ক্রমে মাসজিদ এবং অন্যান্য মাধ্যমে বাকীদের আক্রান্ত করেছেন।

আমরা এই আপদকালীন সময়টাতে আপাতত মাসজিদে যেতে নিষেধ করছি। একই সাথে বাসায় ইবাদাত আরো বেশি বাড়ানোর অনুরোধ করছি।

সোম-বিষ্যুদ সিয়াম থাকেন। পারলে টানা সিয়াম থাকেন যতদিন এই বিপদ শেষ না হয়।

বেশি করে অর্থসহ কুরআন পড়েন। কুরআন তিলাওয়াত করেন।

আমরা আরো অনুরোধ করছি হারাম ছাড়ার জন্য। মাসজিদে যান অথচ সুদ খান এমন মানুষ অনেক। সুদ খাওয়া মানে আল্লাহ এবং তার রসুলের সাথে যুদ্ধ করার মতো অপরাধ।

তাওবাহ মানে হারাম ছেড়ে, পাপ ছেড়ে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। ইস্তিগফার মানে যে পাপ করেছি, যে হারাম কাজ করেছি, হারাম খেয়েছি সে জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া।

এই মহামারীর ভয়ংকর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। সোশাল ডিসট্যান্সিং করে নাহয় আমরা মড়ক সামলাম, অর্থনৈতিক বিপদ থেকে মুক্তির কোনো উপায় এখনও আমাদের মাথায় আসছে না। মানুষকে সুদ ছাড়তে বলতে পারি, ঘুষ-হারাম উপার্জন ছাড়তে বলতে পারি – কিন্তু ক’জন শোনে?

আল্লাহ আমাদের এই বিপদ থেকে তার অসীম দয়ায় যেন মুক্তি দেন – আমরা তাহাজ্জুদের সলাতে এই দু’আ করি চলেন সবাই।

– শরীফ আবু হায়াত অপু

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Back to top button