বাংলাদেশ নামক মুসলিম ভূখন্ডে কুফফারদের আগ্রাসন

বাংলাদেশে বসে কেউ যখন ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে সেটা নিছক ধর্ম অবমাননা না। এর উৎস প্রচণ্ড ঘৃণা যেটা কাফিরদের মনে লুকিয়ে আছে।
এই ঘৃণার বহির্প্রকাশেই স্কুলের ছাত্রদের পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে বাধ্য করা হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীদের শহীদ মিনারে ফুল দিতে বাধ্য করা হয়। এগুলো সামাজিক আগ্রাসন।
বাংলাদেশে পিস টিভি এবং ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়াটা সাংষ্কৃতিক আগ্রাসন।
ইসলামি ব্যাংক দখল করে নেওয়াটা অর্থনৈতিক আগ্রাসন।
‘একটা একটা শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ – এটা রাজনৈতিক আগ্রাসন।
এ ঘৃণার চুড়ান্ত রূপ দেখা যায় যখন ভারতের গোলামী করতে অস্বীকৃতি জানানো এক আল্লাহর বান্দা, আবরারকে পিটিয়ে মারা শেষ মূহুর্তে পানি চাইলেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়, অথচ ঠিক সে সময়ই ফেনী নদীর পানি দানের পেছনের মানবিকতার তত্ত্ব কপচানো হচ্ছিল। ভারতে কী হচ্ছে আমরা দেখছি – গরু ব্যবসায়ী সন্দেহে ‘পিটিয়ে’ মারা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও ইসলাম বিদ্বেষীরা ক্ষমতার এমন চূড়ায় গেছে যে এখনই না থামালে সামনে ‘মুসলিম’ সন্দেহে পিটিয়ে মারাটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হবে।
যারা ফেসবুকে করা ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন – তারা মুসলিমদের ঘৃণাকারীদের বিরুদ্ধে নামেন – ক্ষমতার উৎসটাকে চ্যালেঞ্জ করতে নামেন।
বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন কতটা সত্য দেখুন – ভোলার লাশগুলো গুণুন। কীভাবে মরেছে ভাবুন, মুসলিমদের দেয়া করের টাকায় কেনা বুলেট দিয়ে মুসলিমদের করের টাকায় বেতন পাওয়া পুলিশেরা মুসলিমদের মিছিলে নির্বিচারে গুলি করেছে।
প্লিজ বলবেন না, এরা একটা মেসেজ, স্ট্যাটাস বা কমেন্টের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মরেছে। এটা কাফিরদের সামাজিক, সাংষ্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক আগ্রাসনের বিপক্ষে প্রতিবাদ। বেঁচে থাকার অধিকারটুকু ছিনিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা এই মানুষগুলোকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। বাংলাদেশ নামক মুসলিম ভূখন্ডে যারা কুফফারদের হয়ে কাজ করছে তাদের আল্লাহ অবিলম্বে সত্যটা বোঝার তাওফিক দিন। ইসলামে ফিরে আসার তাওফিক দিন। এই দেশটাকে আল্লাহ যেন মুসলিমদের জন্য নিরাপদ ভূমি হিসেবে কবুল করেন।
-> শরীফ আবু হায়াত অপু