‘আমানতদারিতা’ বিষয়ক উক্তি
১. ইমাম বুখারী (রহঃ) আমানতদারিতা সর্ম্পকে বলেন, ‘আমানত রক্ষা করা সাধারণত ওছিয়ত পূরণের চেয়েও অধিক যরূরী’।[7]
২. ইমাম মানাবী (রহঃ) বলেন, ‘আমানতদারিতা হ’ল ঐ সমস্ত হক বা অধিকার যা আদায় ও সংরক্ষণ তোমার উপর আবশ্যক’।[8]
৩. ইমাম কাফাবী (রহঃ) বলেন, ‘আমানতদারিতা হ’ল আল্লাহ তা‘আলা বান্দার উপর যে সমস্ত বিধি-বিধান ফরয করেছেন তা আদায় করা যেমন-ছালাত, যাকাত, ছিয়াম, ঋণ আদায় বিশেষ করে গচ্ছিত সম্পদ ও কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করা একটি বড় আমানতদারী’। তিনি অন্যত্র বলেন, আমানতদারী হ’ল সমস্ত নিষিদ্ধ বস্ত্ত, গচ্ছিত সম্পদ ও কোন কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করা’।[9]
৪. ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, ‘আমানতদারিতা ও অঙ্গীকার দুইটি জিনিস-ই মানুষের মধ্যে থাকে যা তার দ্বীন-দুনিয়ার কথা ও কাজে প্রকাশ পায়। এটা সাধারণ জনগণের ওয়াদা অঙ্গীকারকেও শামিল করে। আর এর অভীষ্ট লক্ষ্যস্থল হ’ল সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন। আমানতদারিতা অঙ্গীকারের চেয়ে ব্যাপকতর একটি বিষয়। তবে সমস্ত অঙ্গীকার-ই আমানতদারীর মধ্যে পড়ে’।[10]
৫. ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেন, ‘আমানতদারিতা হ’ল গোপনীয় পাপাচার, কাবীরা গুনাহ, এমনকি ছগীরা গুনাহের পীড়াপীড়ি থেকে নিজেকে পবিত্র রাখা’।[11]
[7]. ফাৎহুল বারী ৫/৪৪৩ পৃ.।
[8] . ফায়যুল কাদীর ১/২২৩ পৃ.।
[9] . আল-কুল্লিয়াতুল কাফাবী ১৭৬, ১৮৬ পৃ.।
[10] . তাফসীরে কুরতুবী ৩/৩৮৬ পৃ.।
[11] . এহয়াউল ঊলূম ১/১৭৫ পৃ.।