সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

নদীর ভাঙ্গনে দেশের মানচিত্র বদলে যাচ্ছে

বড় বড় নদীগুলির ভাঙ্গনের তীব্রতা এবারে সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশের ভিতরে গ্রাম, মহল্লা, ইউনিয়ন এমনকি উপযেলার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। দু’বছর আগের বসতভিটার এখন অস্তিত্ব নেই। জন্মস্থান গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হয়ে চলে গেছে নদীর অভ্যন্তরে দু’তিন মাইল দূরে। অন্যদিকে সীমান্ত নদীগুলিতে বাংলাদেশ এলাকার ভূমি ভারতীয় এলাকায় জেগে উঠছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সেগুলি দখলে নিচ্ছে। এমনি করে বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ভারতের পানি আগ্রাসনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের ভৌগলিক মানচিত্র এখন হুমকির মুখে। নদী ভাঙ্গনে প্রতি বছর গড়ে লক্ষাধিক মানুষ গৃহহারা হচ্ছে ও ১০ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ তথ্য সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর।

বিগত তিন দশকে অাঁকাবাঁকা গতিপথে প্রবাহিত হ’লেও চলতি বছর সরল হওয়ায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। ১৯৬৭ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত ৫১ বছরে কেবল পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ৬৬ হাযার হেক্টরের (২৫৬ বর্গমাইল) বেশী পরিমাণ জমি বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনের এ হিসাব জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা ‘নাসা’। নাসার প্রতিবেদন বলছে, গত তিন দশকে সরু ও সরল গতিপথের জায়গায় পদ্মা নদী তুলনামূলকভাবে স্ফীত এবং আঁকাবাঁকা গতিপথে প্রবাহিত হয়েছে। চলতি বছর তা আবার সরল হয়ে উঠছে। এতে করে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে।

এদেশের বড় বড় নদীগুলির ভাঙ্গন স্বাভাবিক ঘটনা। এটি এমন এক ধরনের দুর্যোগ যা মূলতঃ আস্তে আস্তে ঘটে। কিন্তু তা পরিণামে ডেকে আনে মহা দুর্যোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ’৭০ ও ৮০-এর দশক থেকে এদেশে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা যেমন বেড়েছে, তেমনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে অনেক। ভারতের ফারাক্কা বাঁধই যে এর প্রধান কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অধিকাংশের পক্ষে টাকার অভাবে ঘর-বাড়ী তৈরী করা সম্ভব হয় না। তারা পরিণত হয় গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষে। এ ধরনের মানুষেরা সাধারণত বাঁধ, রাস্তা, পরিত্যক্ত রেল সড়ক, খাস চর, খাস জমিতে ভাসমান জীবনযাপন করে। অনেকেই কাজের খোঁজে শহরে চলে আসে। নদী ভাঙ্গনের কারণে তাই বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্ব এবং নানা রকমের সামাজিক ও পারিবারিক সঙ্কট।

বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহিত। এর মধ্যে প্রধান নদীগুলি হ’ল ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা। এ চারটি নদীই সবচেয়ে বেশী ভাঙ্গনের শিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীরপাড় গঠনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সবচেয়ে বেশী ভাঙ্গনপ্রবণ হ’ল যমুনা নদী। এছাড়া মেঘনা, পদ্মা, তিস্তা, ধরলা, আত্রাই, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা, খোয়াই, সুরমা, মনু, জুরী, সাঙ্গু, ধলাই, গোমতী, মাতামুহুরি, মধুমতি, সন্ধ্যা, বিশখালী প্রভৃতি নদীও যথেষ্ট ভাঙ্গনপ্রবণ। দেশের এসব নদীর প্রায় ১৩০টি স্থানে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যভাবে নদী ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটছে।

সিইজিআইএসের সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে ১৯৭৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যমুনার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে দেশের ৯০ হাযার ৩৬৭ হেক্টর এলাকা। এভাবে প্রতিবছর পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, পাবনা ও রাজবাড়ী যেলা। ১৯৭৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এ নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে ২৯ হাযার ৮৪১ হেক্টর এলাকা। তবে পদ্মার ভাঙ্গনের সবচেয়ে বড় শিকার হ’ল কুষ্টিয়া যেলা।

সিইজিআইএস ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর নদীর তীর ভাঙ্গনের রিপোর্ট প্রকাশ করছে। উপগ্রহের ছবি, জিআইএস প্রযুক্তি এবং নদী ভাঙ্গনের ইতিহাস গবেষণা করে তারা এই রিপোর্ট তৈরী করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী ভাঙ্গনের এই পূর্বাভাস ধরে ব্যবস্থা নেয়া গেলে প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে।

২০১৪ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী সারাদেশে বর্ষা মৌসুমের আগেই নদ-নদী খনন ও ড্রেজিং করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য কোন্ কোন্ নদীর কোথায় কোথায় খনন বা ড্রেজিং করা প্রয়োজন- তার পথ-নকশা প্রস্তুত করার কথাও তিনি বলেছিলেন। সরকারের শীর্ষ ১০ মন্ত্রীও একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু তারপরেও এযাবৎ কোন কাজই হয়নি।

মূলতঃ প্রতিবছর নদীতে পলি জমে দেশের নদ-নদীর এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে অনেক নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। এ অবস্থায় প্রতিবছরই বর্ষাকালে নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকায় নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। শতকরা ৬০ ভাগ পলি আসে ভারতের গঙ্গা দিয়ে এবং ৪০ ভাগ আসে অন্যান্য নদী দিয়ে। নদী প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে শতকরা ৮০ ভাগ পলি চলে যেতো সমুদ্রে। কিন্তু ভারতের পানি আগ্রাসী নীতির কারণে শতকরা ৮০ ভাগ পলি দেশের অভ্যন্তরভাগে জমা হয়ে নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মাত্র ২০ ভাগ পলি সমুদ্রে যায়। আমাদের জমি, নদী-নালা, খাল-বিল নিরাপদ করতে হ’লে পলি অপসারণ স্বাভাবিক রাখতে হবে। পলি নিয়ে যেতে হবে সমুদ্রে। নদীভাঙ্গনের ভয়াবহতা ঠেকাতে হ’লে বড় প্রয়োজন নদীর ড্রেজিং। কিন্তু ড্রেজিংয়ের নামে আমাদের দেশে হয় শুধু লুটপাট। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলনও নদীভাঙ্গনের অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেক নদী দেশের সীমান্ত নির্ধারণ করে থাকে। এক্ষেত্রে সীমান্তিক নদীগুলি ভাঙ্গছে বাংলাদেশে। আর গড়ছে ভারতের তীরে বিশাল বিশাল চর। এসব চরের মালিকানা পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকরা ভোগ করতে পারে না ভারতীয়দের কারণে। তাই প্রতিনিয়ত এপার ভেঙ্গে ওপারে গড়ে উঠা চরের ভূমি অবাধে ব্যবহার করছে সীমান্তের ওপারের নাগরিকরা। এতে দিন দিন নদীসীমান্ত এলাকা ছোট হয়ে আসছে। ভারতীয় সীমানা ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মার পানি। আর পদ্মার পানি যদি ভারতীয় সীমানা ছুঁয়ে ফেলে তাহ’লে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী পদ্মা নদীর একক মালিকানা হারাবে বাংলাদেশ। ভারত এতে ভাগ বসাবে। রাজশাহী সীমান্তে পদ্মার ভাঙ্গনে বাংলাদেশের ভূখন্ড ভারতের দখলে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। খোদ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি) এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

সীমান্তের নদীগুলোর ভাঙ্গন রোধে কালক্ষেপণ করা হ’লে অচিরেই সিলেটের জকিগঞ্জসহ বিভিন্ন সীমান্তের বহু দ্বীপ (চর) ভারতের দখলে চলে যাবে। এসব দ্বীপগুলোর পরিচিতি নিয়ে দেখা দিবে নানা সমস্যা। ইতিমধ্যে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীতে বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে জেগে ওঠা বহুল আলোচিত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ভারতীয়রা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে গায়েব করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাই হাযার হাযার সীমান্তিক এলাকার নদীভাঙ্গন রোধে অনতিবিলম্বে পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণের পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইতিমধ্যেই পদ্মা-তিস্তা শুকিয়ে উত্তরবঙ্গে মরুকরণ শুরু হয়ে গেছে। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাংলাদেশের সেফগার্ড পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন ক্রমশঃ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের লোনা পানি দেশের অভ্যন্তর ভাগে প্রবেশ করলে নদীর পানি সেই লোনা পানিকে ঠেলে সমুদ্রে ফেরত পাঠায়। কিন্তু ফারাক্কার কারণে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ছে পুরো পদ্মা অববাহিকা অঞ্চলে। এই লবণাক্ততার ফলে দেশের বিরাট অংশের ক্ষেতখামার, শিল্পকারখানা আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিলুপ্ত হওয়ার পথে। পদ্মার উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন পেশার লাখ লাখ মানুষ আজ জীবিকাহারা। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ই শুধু নয়, বাংলাদেশের ওপর আর্থ-সামাজিক একটি বড় বিপর্যয় ধেয়ে আসছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে ১৯৯৮ সালে তিস্তা নদীর উপরে ভারতের দেওয়া গজলডোবা বাঁধ। যার কারণে বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় চলছে মরুকরণ প্রক্রিয়া। দেশের ছোট-বড় মোট ৪০৫টি নদীর মধ্যে কয়েকটি বাদে প্রায় সবগুলিই এখন মৃত বা আধা মৃত। এমনকি বৃহত্তম নদী পদ্মা-যমুনা-তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে এখন কোন কোন স্থানে গরুর গাড়ী চলছে। তারা বন্যার সময় আমাদের ডুবিয়ে মারে ও শুকনার সময় পানি আটকিয়ে আমাদের শুকিয়ে মারে। তাই যদি আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে পানি আগ্রাসনের অভিযোগ যথার্থভাবে তুলে ধরা যায়, তাহ’লে আশা করি আমরা সুবিচার পাব। যেমন ২০১২ সালে আমরা মিয়ানমার ও ভারতের নিকট থেকে বঙ্গোপসাগরের নির্দিষ্ট এলাকার উপর সার্বভৌম অধিকার লাভে সক্ষম হয়েছি।

নদীভাঙ্গনের ফলে একজন মানুষ যেমন হারায় তার সহায়-সম্বল। তেমনি সমাজ হারায় তার সন্তান ও সম্পদকে। ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা সব হারিয়ে প্রথমেই আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয় চরাঞ্চলকে। ভাঙ্গন বিড়ম্বনার শিকার হয়েও তারা নাড়ির টানে নদীকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। দেশে ভূমিহীনের সংখ্যা এ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ লাখে। নদী ভাঙ্গনের শিকার এসব অসহায় মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তা-ঘাট, বাঁধ, পরিত্যক্ত ভবন, বিভিন্ন স্টেশন ও উন্মুক্ত স্থানে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

দারিদ্র্য বিমোচনে বাজেটে বিরাট অঙ্কের বরাদ্দ থাকলেও প্রতিবছর যদি নতুন করে লাখ লাখ মানুষ ভূমিহীন হ’তে থাকে, তাহ’লে ১০০ বছরেও দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হবে না। রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া যায়, কিন্তু নদীভাঙ্গা পরিবারকে প্রাথমিকভাবে চাল-ডাল সাহায্য দিলেও জমি ও বাসস্থানের স্থায়ী ব্যবস্থা করা সহজ ব্যাপার নয়। কেননা বাসস্থান তৈরী করতে হ’লে ভূমির প্রয়োজন। অথচ লাখ লাখ মানুষকে প্রতিবছর সরকারী খাস জমি থেকে বাড়ী তৈরীর জন্য ভূমি বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয়। এত জমি সরকারের হাতে নেই। অতএব নদীভাঙ্গন রোধ করাই লাখ লাখ লোকের নতুন করে দারিদ্রে্যর হাত থেকে বাঁচানোর একমাত্র উপায়। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-কে আধুনিকায়ন করে নদী ভাঙ্গন রোধে আধুনিক কারিগরি পদ্ধতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন। যদিও পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দেশের নদীগুলোর প্রধান ক্ষতির কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কোনো গবেষণা নেই। নেই কোনো অনুসন্ধান। এমনকি তারা যখন যে এলাকায় কাজ করে সেখানকার স্থানীয় জনগণের সঙ্গেও কথা বলে না। এজন্য নদী সংরক্ষণে এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা, তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা’। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, প্রতিবছর নদীপথে সাগর অভিমুখে যে ২৫০ কোটি টন পলি ভেসে আসে, তার অধিকাংশ ওই ভাঙ্গনের মাটিই। মূলতঃ এগুলো যদি যথাযথভাবে ড্রেজিং করা হ’ত, তাহ’লে গ্রীষ্মকালেও নাব্যতা বজায় থাকতো। আর বর্ষাকালেও নদীগুলি ভাঙ্গনের শিকার হ’ত না। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!

– প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

মন্তব্য করুন

Back to top button