পিসটিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দূরদর্শিতার পরিচয় দিন
বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক Peace tv বন্ধের সিদ্ধান্তের নিউজ শুনে সচেতন মানুষ মাত্রই হতবাক হয়েছে। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়েছেএর গুণমুগ্ধ দর্শকগণ!!
বাংলাদেশের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী এই টিভির নিয়মিত দর্শক। দেশের উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে নাপিতের দোকানেও এ টিভি চলতে দেখা গেছে।
প্রখর মেধাবী, ম্যারাথন বক্তা ও চৌকশ দাঈ ডাক্তার জাকির নাইকের চমৎকার উপমা, অখণ্ডনীয় যুক্তি আর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে অনর্গল রেফারেন্স সমৃদ্ধ বক্তৃতা মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনত। অসংখ্য মানুষ এই চ্যানেলের মাধ্যমে অন্যায়-অপকর্ম ছেড়ে সৎপথে এসেছে। অগণিত অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথের সন্ধান পেয়েছে। অসংখ্য অমুসলিম এই চ্যানেলেরর মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে ধন্য হয়েছে।
বিশেষ করে পিস টিভির বাংলায় বাংলাভাষী দাঈদের কুরআন-সুন্নাহ ও সহীহ আকীদা নির্ভর বিভিন্ন লেকচার থেকে মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নাই।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে অবস্থানকারী টিভি দর্শকগণ এটি দেখা থেকে বঞ্চিত হলেও ইন্টারনেট আর অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে কোন ক্রমেই মানুষকে সত্যের আওয়াজ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
সত্যানুসন্ধিৎসু মানুষ সত্যের পথটি খুঁজে নিবে- মোবাইল মেমরী, Peace Mobile, ইন্টারনেট ইত্যাদি অসংখ্য আধুনিক মিডিয়া থেকে। কোটি কোটি বাংলাদেশী বিদেশ থেকে পিস টিভি দেখছে..এগুলো বন্ধ করা তো আর সম্ভব নয়। তাহলে কেন এই ধরণের একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত?
এভাবে কি সরকার জঙ্গিবাদ দমন করতে পারবে?
বরং পিস টিভিকে কাজে লাগিয়েই সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়তা নিতে পারত। কিন্তু তা না করে বরং এ ধরণের ভুল সিদ্ধান্তই হয়ত সন্ত্রাসী মনোভাবকে উসকিয়ে দিতে পারে। কেননা, মানুষের হৃদয়ের পঞ্জিভুত হতাশা ও ক্ষোভ সন্ত্রাস সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ।
তাই আশা করব, সরকারের মান্যবর মন্ত্রী পরিষদ পিসটিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দূরদর্শিতার পরিচয় দিবেন।
আল্লাহ আমাদের দেশকে সকল ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। সর্বোপরি ইসলামী দাওয়াহ, দাঈ, ইসলাম ও মুসলমানদেরকে রক্ষা করুন সকল ষড়যন্ত্রের কবল থেকে। আমীন।
— আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল