পর্যালোচনা

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

মরণ বাঁধ ফারাক্কা। বাংলাদেশ তথা উত্তরাঞ্চলের গলার ফাঁস। যার নাম শুনলেই মরা পদ্মা ডুকরে মাথা কুটে মরে বিস্তীর্ণ বালিগর্ভে। এক কালের প্রমত্তা পদ্মা এখন স্রেফ মরুভূমি।

ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ :

কলিকাতা বন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষা করার অজুহাতে রাজশাহী-চাঁপাই নবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে মাত্র ১১ মাইল (১৮ কিলোমিটার) ভিতরে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ যেলার জঙ্গীপুর গ্রামের ফারাক্কা নামক স্থানে ভারত ১২৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৩ মিটার  উচ্চতাসম্পন্ন এই অভিশপ্ত বাঁধ ১৫৬ কোটি রূপী ব্যয়ে ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করে। গঙ্গা নদীর উপরে দেওয়া এ বাঁধটি চালু হয় ১৯৭৫ সালে। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এ সম্পর্কে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন, যা ‘মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি’ নামে পরিচিত। মুজিব-ইন্দিরা যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ফারাক্কা বাঁধ সম্পূর্ণরূপে চালু করার আগে শুষ্ক মৌসুমে প্রাপ্ত পানির পরিমাণ নিয়ে উভয় পক্ষ যাতে সমঝোতায় আসতে পারে, সেজন্য ভারত প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ফিডার ক্যানেল চালু করবে। যুক্ত ইশতেহারের এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারত ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করেছিল। ভারত বাংলাদেশের কাছে এ মর্মে ওয়াদা করেছিল যে, ৪১ দিনের নির্ধারিত সময়ে ভারত ১১ হাযার থেকে ১৬ হাযার কিউসেক পানি ফিডার ক্যানেল দিয়ে হুগলী নদীতে নিয়ে যাবে। কিন্তু ৪১ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভারত ফিডার ক্যানেল দিয়ে পানি প্রত্যাহার অব্যাহত রাখে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কোন সমঝোতা বা চুক্তি না করেই ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুমে একতরফাভাবে গঙ্গার পানি নিজ দেশের অভ্যন্তরে প্রত্যাহার করে।

ফারাক্কা চুক্তি :

১৯৭২ সালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ফারাক্কার পানি বণ্টন সম্পর্কিত ‘ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি’ সম্পাদিত হয়। ১৯৭৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বলা ছিল (১) ফারাক্কা পয়েন্টে শুকনা মওসুমে বাংলাদেশ শতকরা ৬০ ভাগ পানি পাবে। (২) ২১ শে এপ্রিল থেকে শুকনা মওসুমে প্রতি দশদিনের সার্কেলে বাংলাদেশ পাবে ৩৪ হাযার ৫শ’ কিউসেক পানি এবং ভারত পাবে ২০ হাযার ৫শ’ কিউসেক পানি। (৩) বাংলাদেশ তার নির্ধারিত হিস্যার শতকরা ৮০ ভাগের নীচে কখনোই পাবে না। ১৯৮২ সালের অক্টোবরে দু’বছর মেয়াদী ও ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে তিন বছর মেয়াদী (১৯৮৬-৮৮) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী একটি পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে গঙ্গার পানি ভাগাভাগি হবে এবং ভারত নদীটির পানি প্রবাহের মাত্রা গত ৪০ বছরের গড় মাত্রায় বজায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। যেকোন সংকটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ৩৫ হাযার কিউসেক পানির নিশ্চয়তা পাবে। কিন্তু ভারত কখনোই এ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানি দেয়নি।

ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ :

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে ফিডার ক্যানেল চালু করার পর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নীচে পদ্মায় পানি প্রবাহ যেখানে ছিল ৬৫ হাযার কিউসেক, সেখানে ১৯৭৬ সালে এর পরিমাণ নেমে আসে মাত্র ২৩ হাযার ২০০ কিউসেকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালের ১৮ এপ্রিল মাওলানা আব্দুল হামীদ খান ভাসানী ফারাক্কা সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে পত্র লিখেন। ১৯৭৬-এর ৪ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভাসানীকে লিখিত পত্রে ফারাক্কা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন কথা না বলায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ মে মাওলানার নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়। দু’দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই লংমার্চ শেষ হয় ১৭ মে। ঐদিন তিনি ঐতিহাসিক সোনামসজিদে আছরের ছালাত আদায় করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কানসাট হাই স্কুল ময়দানে ফারাক্কা মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণার সময় মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘গঙ্গার পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যার ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে ভারত সরকারকে বাধ্য করার জন্য আমাদের আন্দোলন, আমি জানি, এখানেই শেষ নয়’। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আরো বলেন, ‘ভারত সরকারের জানা উচিত, বাংলাদেশীরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না, কারও হুমকিকে পরোয়া করে না। … যেকোন হামলা থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষা করা আমাদের দেশাত্মবোধক কর্তব্য এবং অধিকার’।

ফারাক্কার অশুভ প্রভাব :

ফারাক্কা বাঁধের কারণে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। সাহারা মরুভূমির গবেষক মার্কিন ভূবিজ্ঞানী ড. নরম্যান ম্যাকলিয়ড বলেছেন, ‘সাহারাতে ঠিক যেভাবে একদিন মরুভূমির বিস্তার শুরু হয়েছিল, বরেন্দ্র এলাকায় ঠিক সেভাবেই বিপদটা শুরু হয়েছে’। ফারাক্কার কারণে প্রমত্তা পদ্মায় বছরের প্রায় ৮ মাসই পানি থাকে না। এ বাঁধের কারণে পদ্মা নদী রাজশাহী শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সরে গেছে। বিস্তীর্ণ চর ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে পরিচিত রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও নওগাঁ যেলার প্রকৃতি ও আবহাওয়া রীতিমত বদলে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে বিশেষত রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম এবং শীতকালে প্রচন্ড শীত বিরাজ করে। নদীর পলি কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নীচে নেমে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ হচ্ছে ব্যাহত।

ফারাক্কা বাঁধের কারণে সুদীর্ঘ ৩৬ বছরে ভারত কর্তৃক একতরফাভাবে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের জীবন ও জীববৈচিত্র্যই কেবল ধ্বংস করেনি; বরং ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে এ দেশের কৃষি, শিল্প, বনসম্পদ ও প্রাণী বৈচিত্র্য। ফারাক্কার কারণে নদীর পলি কমে যাওয়ায় সাগরের লবণাক্ততা সহজেই উপরে উঠে আসছে। ফারাক্কা-পূর্বকালে খুলনায় সর্বোচ্চ লবণাক্ততার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোমোস এবং ফারাক্কায় প্রবাহ প্রত্যাহারের ফলে খুলনার লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাযার ৫০০ মাইক্রোমোস। এই লবণাক্ততা খুলনার উত্তরে ২৮০ কি.মি. পর্যন্ত উজানে সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য মতে, এ লবণাক্ততার সর্বশেষ শিকার মধুমতি ও নবগঙ্গা নদী বিধৌত অঞ্চল। এমনকি গোপালগঞ্জ ও নড়াইল পর্যন্ত লবণাক্ত পানি উঠে এসেছে। অথচ এই দুই যেলা থেকে সাগরের দূরত্ব শ শ কিলোমিটার।

লবণাক্ততার কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলের লবণাক্ততা উঠে আসার কারণে সুস্বাদু পানির মাছের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। গাঙ্গেয় পানি ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রজাতির মিঠা পানির মাছ ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ি লালিত হয়। কিন্তু আজ এ জাতীয় ধৃত মাছের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।

ফারাক্কায় পানি প্রত্যাহারের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদ-নদীসমূহ বর্তমানে প্রায় মৃত। ফারাক্কার কারণে মহানন্দা, পাগলা, শিব, বারনাই, ঘুমনি, বারল ও ইছামতি নদী এবং দক্ষিণে মাথাভাঙ্গা, গড়াই, ভৈরব, চেতনা, কোবাদাক, কোদালিয়া, মধুমতি, নবগঙ্গা, চিত্রা, কচুয়া, কুমার, আড়িয়াল খাঁ, বলেশ্বর, কেচা, পালং, তরকি, রূপসা, বিশখালী, ভাদরা, শিবসাহ, চন্দনা, বেগাবতী, লোহাদিয়া, তেঁতুলিয়া, ভোলা, খোলপেটুয়া, ইছামতি, কালিন্দি, সাতক্ষীরা, ধানসিঁড়ি, পশুর, শাহবাজপুর ও রায়মঙ্গল নদীর পলি ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। শুকিয়ে গেছে প্রমত্তা পদ্মা ও খরস্রোতা যমুনা।
ফারাক্কার কারণে শুষ্ক মৌসুমে ৩২০ কিলোমিটারের বেশী প্রধান ও মধ্যম নৌপথ বন্ধ রাখতে হয়। ফলে শত শত মাঝি-মাল্লা কর্মহীন হয়ে পড়ে। ফারাক্কার ফলে গঙ্গানির্ভর এলাকায় অধিকাংশ স্থানে ভূগর্ভস্থ পানি ৩ মিটারের বেশী নীচে নেমে গেছে। মোদ্দাকথা, সার্বিক বিবেচনায় ফারাক্কা বাঁধ আমাদের জনজীবনে ‘মরণ বাঁধ’ হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।

ভারতের ক্ষয়-ক্ষতি :

ফারাক্কা বাঁধের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়; ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পলি জমে তলা ভরাট হয়ে যাওয়ায় ফিডার ক্যানেল উপচে পানি উঠে মুর্শিদাবাদে সৃষ্টি করছে বন্যা। অন্যদিকে ভাঙছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ যেলার কালিয়াচক থানার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, মালদহ প্রভৃতি যেলার লাখ লাখ বনু আদমের স্বপ্নসাধ ভেসে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে তাদের ফসল ও বাড়ীঘর। বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে তারা উদ্বাস্ত্ত হিসাবে আশ্রয় নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী যেলাগুলোতে। ফলে সেখানে নিয়মিত এর বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং চলছে।

আমাদের করণীয় :

উজানের  কোন  দেশের  ভাটির  দেশকে  না  জানিয়ে আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রত্যাহার করা জাতিসংঘ কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক রীতি-নীতির সুস্পষ্ট লংঘন। অথচ ভারত প্রথম থেকেই ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিশ্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এ কাজটি করে যাচ্ছে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে। এক্ষণে এত্থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের করণীয় হচ্ছে-

১. ফারাক্কার অশুভ প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনমত এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। কাদা ছোড়াছুড়ির বিভেদাত্মক রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় স্বার্থে সরকার, বিরোধী দল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এ সম্পর্কে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২. ফারাক্কার কারণে বাংলাদেশের ক্ষয়-ক্ষতির কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা। প্রয়োজনবোধে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের দ্বারস্থ হওয়া।

৩. চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পানি সমস্যার সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা। সাথে সাথে এ লক্ষ্যে ‘আঞ্চলিক নদী কমিশন’ গঠন করা ও আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহারের নিয়ম-নীতির বাস্তব প্রয়োগ ঘটানো ও তদারকি করা।

৪. দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ভারতকে চাপ প্রয়োগ করা, যাতে ভারত তার নব পরিকল্পিত একতরফা আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্পের কাজ বাতিল করে।

৫. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা। মেকং নদী কমিশনের মতো বাংলাদেশও একটি কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। মেকং নদীর পানি কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস ও ভিয়েতনাম সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করে নিচ্ছে। ইউরোপের দানিয়ুব নদীর পানি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ১২টি দেশ ভোগ করছে। নীল নদের পানি ভোগ করছে মিশর, সূদান ও ইথিওপিয়া। এমনকি ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানের কাছ থেকে সিন্ধু নদীর পানি ভারত ভোগ করছে ৩০ বছর আগ থেকে। এ অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে।

৬. ভারত যেন সবসময় গঙ্গার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না করে সেজন্য দু’দেশের প্রয়োজনীয় সমঝোতায় উপনীত হওয়া ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা।

৭. গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা ছাড়াও তিস্তা নদীর উপর গজলডোবা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলা ও সুরমা-বরাকের উপর ‘টিপাইমুখ বাঁধ’ নির্মাণ বন্ধ করার জন্য এখুনি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৮. ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে ৫ কোটি মানুষ, গজলডোবা বাঁধের প্রভাবে ৪ কোটি মানুষ এবং টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাবে ৫ কোটি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা চিরদিনের মত হারিয়ে যাবে। পরিবর্তিত হবে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, ধ্বংস হবে মানুষ, পশু-পক্ষী, মাছ ও অন্যান্য সম্পদাদি। অতএব সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এগুলি ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দেশীয় জনমত ও বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা সবার আগে যরূরী।

 

মন্তব্য করুন

Back to top button