‘জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা’ সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত
১.‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের ভীতিশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত কামনা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না। বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান’(যুমার ৯)।
২.‘মানুষ, জন্তু ও চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে বহু বর্ণ রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মাঝে প্রকৃত জ্ঞানীরাই কেবল তাকে ভয় করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল’ (ফাতির ২৮)।
৩.‘তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভূত কল্যাণকর বস্ত্ত প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে যারা জ্ঞানবান’ (বাক্বারা ২৭৯)।
৪.‘তোমরা মান্য কর অথবা অমান্য কর, যারা পূর্ব থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে, যখন তাদের কাছে এর তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা নত মস্তকে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে’ (বনী ইসরাঈল ১০৭)।
৫.‘তিনি নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত, যদিও তারা ছিল ইতিপূর্বে পথভ্রষ্ট’(জুম‘আ ২)।
৬.‘যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার উপর নাযিল করা হয়েছে তা সত্য, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে অন্ধ? তারাই বোঝে যারা বোধশক্তিসম্পন্ন’ (রা‘দ ১৯)।
৭.‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ও যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উঁচু করে দিবেন। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা খবর রাখেন’ (মুজাদালাহ ১১)।
৮.‘এই (কুরআন) যাদের জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের অন্তরে সুস্পষ্ট নিদর্শন’। (আনকাবূত ৪৯)
৯.‘তোমাদেরকে খুব অল্পই জ্ঞানদান করা হয়েছে’ (ইসরা ৮৫)।