‘সৎকর্মপরায়ণতা’ সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত
1 –إِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوْا وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ .
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে আছেন, যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে এবং সৎকর্মপরায়ণ’ (নাহল ১৬/১২৮)।
২ – وَالَّذِينَ جاهَدُوا فِينا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ .
‘যারা আমার পথে সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সাথে থাকেন’ (আনকাবূত ২৯/৬৯)।
৩– وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ .
‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং নিজেদের হাত ধ্বংসের দিকে প্রসারিত কর না এবং কল্যাণ সাধন করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ কল্যাণসাধনকারীদেরকে ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/১৯৫)।
4– وَإِذْ قُلْنَا ادْخُلُوا هذِهِ الْقَرْيَةَ فَكُلُوا مِنْها حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَداً وَادْخُلُوا الْبابَ سُجَّداً وَقُولُوا حِطَّةٌ نَغْفِرْ لَكُمْ خَطاياكُمْ وَسَنَزِيدُ الْمُحْسِنِينَ .
‘আমি যখন বললাম, তোমরা এ নগরে প্রবেশ কর, অতঃপর তা হতে ইচ্ছামত ভক্ষণ কর আর তোমরা যে বল আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা কবর। আর অচিরেই আমি সৎকর্মশীলগণকে অধিকতর প্রতিদান দান করব’ (বাক্বারাহ ২/৫৮)।
৫- الَّذِينَ اسْتَجابُوا لِلَّهِ وَالرَّسُولِ مِنْ بَعْدِ ما أَصابَهُمُ الْقَرْحُ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا مِنْهُمْ وَاتَّقَوْا أَجْرٌ عَظِيمٌ .
‘যারা আঘাত পাওয়ার পরেও আল্লাহ ও রাসূলের নিদের্শের সাড়া দিয়েছিল, তাদের মধ্যে যারা উত্তম আমল করেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার’ (আলে-ইমরান ৩/১৭২)।
৬- فَأَثابَهُمُ اللَّهُ بِما قالُوا جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهارُ خالِدِينَ فِيها وَذلِكَ جَزاءُ الْمُحْسِنِينَ .
‘ফলে তাদের এই উক্তির বিনিময়ে আল্লাহ তাদেরকে এমন জান্নাত দান করবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত। তারা সেখানে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে। আর এটাই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান’ (মায়েদা ৫/৮৫)।
৭- وَلا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلاحِها وَادْعُوهُ خَوْفاً وَطَمَعاً إِنَّ رَحْمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ .
‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর সেখানে বিপর্যয় সৃষ্টি কর না। তোমরা আল্লাহকে ভয়ভীতি ও আশা-আকাঙ্খার সাথে ডাক। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের অতি নিকটে’ (আ‘রাফ ৭/৫৬)।
8- إِنْ أَحْسَنْتُمْ أَحْسَنْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ وَإِنْ أَسَأْتُمْ فَلَها فَإِذا جاءَ وَعْدُ الْآخِرَةِ لِيَسُوؤُا وُجُوهَكُمْ وَلِيَدْخُلُوا الْمَسْجِدَ كَما دَخَلُوهُ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَلِيُتَبِّرُوا ما عَلَوْا تَتْبِيراً .
‘তোমরা সৎকর্ম করলে নিজেদের জন্যই করবে এবং মন্দ কর্ম করলে তাও নিজেদের জন্য। অতঃপর যখন পরবর্তী দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি উপস্থিত হল তখন (আমি আমার বান্দাদেরকে প্রেরণ করলাম) তোমাদের মুখম-ল কালিমাচ্ছন্ন করার জন্য, প্রথমবার তারা যেভাবে মসজিদে প্রবেশ করেছিল পুনরায় সেভাবেই তাতে প্রবেশ করার জন্য এবং তারা যা অধিকার করেছিল তা সর্ম্পূণভাবে ধ্বংস করার জন্য’ (বানী ইসরাঈল ১৭/৭)।
9- قالُوا أَإِنَّكَ لَأَنْتَ يُوسُفُ قالَ أَنَا يُوسُفُ وَهذا أَخِي قَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْنا إِنَّهُ مَنْ يَتَّقِ وَيَصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ .
‘তারা বলল, তবে কি তুমিই ইউসুফ? তিনি বললেন, আমিই ইউসুফ। আর এটা আমার সহোদর ভাই; আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। যে ব্যক্তি মুত্তাক্বী ও ধৈর্যশীল আল্লাহ সেইরূপ সৎকর্মপরায়ণদের প্রতিদান নষ্ট করেন না’ (ইউসুফ ১২/৯০)।
10- وَمِنْ قَبْلِهِ كِتابُ مُوسى إِماماً وَرَحْمَةً وَهذا كِتابٌ مُصَدِّقٌ لِساناً عَرَبِيًّا لِيُنْذِرَ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَبُشْرى لِلْمُحْسِنِينَ .
‘এর পূর্বে মূসার কিতাব অনুসরণযোগ্য এবং রহমত স্বরূপ এসেছিল। আর এ এমন কিতাব (কুরআন) যা আরবী ভাষায়, তার সত্যতা প্রমাণকারী, যা যালিমদেরকে সতর্ক করার জন্য। যারা সৎকর্ম করে তাদের জন্য সুসংবাদ’ (আহক্বাফ ৪৬/১২)।
11- إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ –آخِذِينَ ما آتاهُمْ رَبُّهُمْ إِنَّهُمْ كانُوا قَبْلَ ذلِكَ مُحْسِنِينَ .
‘সেদিন মুত্তাক্বীরা জান্নাতে ও ঝর্ণার মধ্যে থাকবে, যা তাদের প্রতিপালক তাদেরকে দান করবেন আর তা তারা গ্রহণ করবে। নিশ্চয়ই তারা ইতিপূর্বে সৎকর্মপরায়ণ ছিল’ (যারিয়াত ৫১/১৫-১৬)।
12- هَلْ جَزاءُ الْإِحْسانِ إِلَّا الْإِحْسانُ .
‘উত্তম কাজের পুরস্কার উত্তম (জান্নাত) ব্যতীত আর কি হতে পারে?’ (আর-রহমান ৫৫/৬০)।
13- وَفَواكِهَ مِمَّا يَشْتَهُونَ-كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئاً بِما كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ-إِنَّا كَذلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِين .
‘যে ফল-মূল তারা কামনা করবে (তা তারা পাবে)। তোমরা মজা করে খাও এবং পান কর, তোমরা যেমন আমল করেছিলে। আর এভাবে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি’ (মুরসালাত ৭৭/৪২-৪৪)।