প্রতারণামূলক দালালী করা হারাম
এমন অনেক লোক আছে যাদের পণ্য কেনার মোটেও ইচ্ছা নেই। কিন্তু অন্য লোকে যাতে ঐ পণ্য বেশী দামে কিনতে উদ্বুদ্ধ হয় সেজন্য পণ্যের পাশে ঘুরাঘুরি করে ও বাড়িয়ে বাড়িয়ে দাম বলতে থাকে। এটাই প্রতারণামূলক দালালী।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَلاَ تَنَاجَشُوا ‘ক্রেতার ভান করে তোমরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিও না’।[1] এটা নিঃসন্দেহে এক শ্রেণীর প্রতারণা। রাসূলুলাহ (ছাঃ) আরও বলেন, اَلْمَكْرُ وَالْخَدِيعَةُ فِي النَّارِ ‘চালবাজী ও ধোঁকাবাজী জাহান্নামে নিয়ে যায়’।[2]
পশু বিক্রয়, নিলামে বিক্রয় ও গাড়ী প্রদর্শনীতে অনেক দালালকে দেখতে পাওয়া যায়, যাদের আয়-রোযগার সবই হারাম। কেননা এই উপার্জনের সাথে নানা রকম অবৈধ উপায় জড়িয়ে আছে। যেমন: প্রতারণামূলক দাম বৃদ্ধি বা মিথ্যা দালালী, ক্রেতার সাথে প্রতারণা, বিক্রেতাকে ধোঁকায় ফেলে পথিমধ্যেই তার পণ্য অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে খরীদ করা ইত্যাদি।
অনেক সময় বিক্রেতারা একে অপরের জন্য দালাল সাজে কিংবা দালাল নিয়োগ করে। তারা ক্রেতার বেশে খরিদ্দারদের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়। এভাবে তারা আল্লাহর বান্দাদেরকে ধোঁকা দেয় ও তাদেরকে কষ্টের মধ্যে নিক্ষেপ করে। যেসব দেশে নিলাম বিক্রয়ের প্রচলন রয়েছে, সেখানেই এরূপ দালালীর প্রবণতা বেশী দেখতে পাওয়া যায়।[3]
[3]. এদেশের সরকারী টেন্ডার ক্রয়-বিক্রয়ে এক ধরনের দালালী লক্ষ্য করা যায়। কিছু ঠিকাদার নিজেদের মধ্যে সলাপরামর্শ করে পণ্যের যথোচিৎ মূল্য না হেঁকে সবাই ন্যূনতম দাম হাঁকে। ফলে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ঐ দামেই বিক্রয় করে নতুবা টেন্ডার বাতিল করে দেয়। অনেকে টেন্ডারদাতার সঙ্গে যোগসাজশে নিজ প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া দরপত্র দাখিল করে নিজের নামে তা করে নেয়। -অনুবাদক।