হারাম-হালাল

ঘুষ-দুর্নীতি : পরিণতি ও প্রতিকার

অন্যায় পন্থায় অর্থ উপার্জনের ও স্বার্থ উদ্ধারের অন্যতম মাধ্যম হ’ল ‘ঘুষ’। যা সমাজের জন্য দূর নিয়ন্ত্রিত বোমার মত কাজ করে। কেননা ঘুষ দেখা যায় না এবং এর কোন রেকর্ড থাকে না। অথচ কার্যোদ্ধার হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসা ব্যতীত। আর তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল’। ‘যে কেউ সীমালংঘন ও যুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে শীঘ্রই আমরা জাহান্নামে প্রবেশ করাবো। আর সেটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ’[1]

উক্ত আয়াত দু’টিতে চারটি বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে[2]

(১) অন্যায়ভাবে পরস্পরের সম্পদ ভক্ষণ করা

(২) পরস্পরে হত্যা করা বা আত্মহত্যা করা

(৩) সীমালংঘন করা ও

(৪) অত্যাচার করা

মূলত ঘুষের মাধ্যমে পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করা সহজ হয়। এর মাধ্যমে মানুষ তার আত্মাকে হত্যা করে। সে সীমালংঘন করে ও নিজের উপর অত্যাচার করে। অফিসে ফাইল আটকিয়ে ঘুষ আদায় করা গা সওয়া হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের মুখে প্রবাদ আছে, ‘অফিস-আদালতের চৌকাঠও ঘুষ খায়’।

ঘুষ ও সূদ ইহূদীদের স্বভাবজাত। মুসলমানদের মধ্যে যারা মুনাফিক, তারাও এতে অভ্যস্ত। সেকারণ উভয়কে লক্ষ্য করে আল্লাহ বলেন, ‘তারা মিথ্যা গ্রহণে যেমন অভ্যস্ত, হারাম খেতেও তেমনি অভ্যস্ত’[3]। এখানে ‘সুহ্ত’ বা ‘হারাম’ অর্থ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘ঘুষ’[4]। ‘লোকদের মধ্যে ঘুষের লেনদেন হারাম এবং বিচারের ক্ষেত্রে এটি কুফরী। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়ছালা করেনা, তারা কাফের’[5]। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঐ দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবেনা, যা হারাম দ্বারা পুষ্ট’[6]। তিনি আরও বলেন, ‘ঐ ব্যক্তির দো‘আ কিভাবে আল্লাহর নিকট কবুল হবে, যার খাদ্য হারাম, পোষাক হারাম, পানীয় হারাম এবং সে হারাম দ্বারা পুষ্ট’[7]। আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! আমরা তোমাদের যে রূযী দান করেছি, সেখান থেকে পবিত্র বস্ত্ত সমূহ ভক্ষণ কর। আর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, যদি তোমরা কেবল তাঁরই দাসত্ব করে থাক’[8]।   

সাধারণভাবে পরস্পরকে ‘হাদিয়া’ দেওয়া নিঃসন্দেহে জায়েয বরং উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা পরস্পরে হাদিয়া দাও এবং মহববত বাড়াও’[9]। তবে অন্যায় উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য হাদিয়া দেওয়া নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভাল কাজে সুফারিশ করে, তার জন্য তা থেকে একটি অংশ থাকে। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজে সুফারিশ করে তার জন্য তা থেকে একটি অংশ থাকে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর শক্তিমান’[10]। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হাদিয়া গ্রহণ হ’ল খেয়ানত’[11]। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের জন্য কোন বিষয়ে সুফারিশ করল। অতঃপর তাকে কিছু হাদিয়া দিল এবং সে তা গ্রহণ করল, ঐ ব্যক্তি সূদের একটি বড় দরজার মধ্যে প্রবেশ করল’[12]। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল উভয়ে ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতাকে লা‘নত করেছেন’[13]। অন্য বর্ণনায় ‘ঘুষের মাধ্যম’ ব্যক্তিকে লা‘নত করা হয়েছে[14] (তবে এই অংশটি যঈফ)। অর্থাৎ তারা আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত হয়েছে[15]

অতি সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজির গাড়ী চালক ঢাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে ১০ কাঠা জমির উপর দু’টি ৭তলা বাড়ী, নির্মাণাধীন দু’টি ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন, পাজেরো সহ ৩টি বিলাসবহুল গাড়ী, ১০টি প্লট ও ৪টি ফ্ল্যাট, অধিদফতরের তৈল সিন্ডিকেটের নায়ক, গ্রামে শত বিঘা জমি এবং জানা-অজানা শত কোটি টাকার ‘ড্রাইভার মালেক’ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হিসাব অফিসের ‘অডিটর কুতুব’ তার বাস্তব প্রমাণ। অথচ তারা যাদের স্বার্থে কাজ করেছে, সেইসব রাঘব বোয়ালরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এছাড়াও দিন দিন বাড়ছে পাহাড়প্রমাণ ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজদের নিত্য-নতুন পিলে চমকানো খবর। এখন ব্যক্তি পর্যায়ে ঘুষের বদলে অফিস পর্যায়ে ‘প্যাকেজ মানি’ ‘অফিস মানি’ ‘স্পিড মানি’ ইত্যাদি নামে ঘুষের লেনদেন হচ্ছে। যার পাপে অনেকে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। এমনকি একটি মুসলিম দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত ‘মিস্টার টেন পার্সেন্ট’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন। ঘুষ ও দুর্নীতি এমনভাবে ছেয়ে গেছে যে, সর্বত্র একটা পাপের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। যা আল্লাহর গযবকে ত্বরান্বিত করছে। যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে করোনা সহ নানাবিধ ভাইরাস, দাবদাহ, বন্যা ও দাবানলের মাধ্যমে। ঘুষের লেনদেনের সময় ঘুষদাতা যুক্তি দেয় যে, আমি আমার হক আদায়ের জন্য এটা দিচ্ছি। আর ঘুষ গ্রহীতা যুক্তি দেয় যে, আমি হাদিয়া নিচ্ছি। আল্লাহ বলেন, ‘(এভাবে) তাদের মন্দ কাজগুলিকে তাদের জন্য শোভনীয় করে দেওয়া হয়’[16]। অতএব সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সাবধান! 

৯ম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয্দ গোত্রের ইবনুল লুৎবিয়াহকে যাকাত আদায়ের দায়িত্বশীল নিযুক্ত করেন। অতঃপর আদায় শেষে ফিরে আসার পর তিনি বলেন, ‘এটি তোমাদের জন্য এবং এটি আমার জন্য ‘হাদিয়া’। একথা শুনতে পেয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মিম্বরে দাঁড়িয়ে যান এবং হাম্দ ও ছানার পরে সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আদায়কারীর কি হয়েছে যাকে আমরা নিয়োগ দিলাম। অতঃপর সে আমাদের কাছে এল আর বলল, এটি তোমাদের এবং এটি আমার জন্য ‘হাদিয়া’! তাহ’লে কেন সে তার পিতা বা মাতার গৃহে বসে থাকে না? অতঃপর সে দেখুক তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না? যাঁর হাতে আমার প্রাণ তার কসম করে বলছি, তোমাদের যে কেউ আদায়কৃত মাল থেকে যতটুকু গ্রহণ করবে, ততটুকু ক্বিয়ামতের দিন তাকে স্বীয় স্কন্ধে বহন করে নিয়ে উঠতে হবে। যদিও তা উট হয়, গরু হয় বা ছাগল হয়’। অতঃপর তিনি তাঁর দু’হাত উপরে তুললেন… ও তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছে দিলাম?’[17]। এখানে উক্ত আদায়কারী হাদিয়াকে স্বাভাবিকভাবে জায়েয মনে করেছিলেন। কিন্তু নিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে এটি তার জন্য জায়েয ছিল না। এতে বুঝা যায় যে, যাকাত ও ছাদাক্বা ইত্যাদি বায়তুল মাল আদায়কারী ও হিসাব সংরক্ষণকারীর জন্য এবং যেকোন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতার বাইরে কোনরূপ হাদিয়া গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।

৭ম হিজরীতে খায়বর বিজয়ের পর আধাআধি ভাগে ফসল করার জন্য সেখানকার ইহূদীদের সঙ্গে চুক্তি হয়। পরে চুক্তি অনুযায়ী ফসলের ভাগ আনার জন্য ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ)-কে পাঠানো হয়। এ সময় ইহূদী নেতারা তাদের নারীদের স্বর্ণালঙ্কার সমূহ এনে বলে, এগুলি আপনার জন্য। আপনি দয়া করে ভাগ-বণ্টনে কিছুটা হালকা করুন। তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, হে ইহূদী জাতি! আল্লাহর কসম, তোমরা আমার নিকট আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। …তোমরা আমার নিকটে ঘুষের যে প্রস্তাব দিয়েছ, সেটি সুহ্ত বা হারাম। আমরা এটা খাইনা। তখন তারা বলল, এই ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই আসমান ও যমীন টিকে থাকবে’[18]। অন্য বর্ণনায় এসেছে তিনি বলেন, হে বানর-শূকরের বংশধরগণ’…[19]

খায়বর যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কৃষ্ণাঙ্গ গোলাম মিদ‘আম একটি অজানা তীরের আঘাতে মৃত্যুবরণ করে। তাতে সবাই তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে প্রশংসা করতে থাকে। তখন রাসূল (ছাঃ) তাদের বলেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম করে বলছি, গণীমত বণ্টন হওয়ার পূর্বেই সে যে চাদরটি নিয়েছিল সেটি অবশ্যই তাকে দগ্ধ করবে। এ কথা শুনে যারা এমনকি জুতার একটা বা দু’টা ফিতাও নিয়েছিল, সেগুলি জমা দিল। এটা দেখে তিনি বললেন, এই একটা বা দু’টা ফিতাও হয়ে যেত আগুনের ফিতা’[20]।  

পরিণতি ও প্রতিকার : মাত্র দু’টি। ঈমান ও আল্লাহভীতি এবং ন্যায়বিচার ও সুশাসন। কোন শাসনই কখনো নিরপেক্ষ প্রশাসন উপহার দিতে পারে না, যদিনা সেখানে আল্লাহভীতি থাকে। কেননা দল ও ব্যক্তিভীতি কখনো মানুষকে অন্যায় থেকে ফেরাতে পারেনা। দ্বিতীয়তঃ ন্যায়বিচার ও সুশাসন দু’টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং পরস্পরের পরিপূরক। বর্তমানে কোনটাই যথার্থভাবে নেই। ব্যাংক জালিয়াতি মামলার আসামী ঠাকুরগাঁওয়ের আবু সালেক-এর বদলে পাটকল শ্রমিক টাঙ্গাইলের জাহালমকে দুদকের দেওয়া ৩৩টি মিথ্যা মামলায় সাড়ে তিন বছরের অধিক বিনা দোষে কারা নির্যাতন করা, ঢাকার নয়া পল্টনের ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে ৯০ বছরের অতি বৃদ্ধ আরব আলীর ৩৮ বছর পূর্বেকার মামলার বিচার আজও শেষ না হওয়া এবং সেই সাথে র‌্যাব ও পুলিশী হেফাযতে মৃত্যুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার না থাকার সর্বসাম্প্রতিক প্রমাণ। 

আল্লাহ বলেন, ‘আখেরাতের এই গৃহ আমরা প্রস্ত্তত করে রেখেছি ঐসব মুমিনের জন্য, যারা দুনিয়াতে ঔদ্ধত্য ও বিপর্যয় কামনা করে না। বস্ত্ততঃ শুভ পরিণাম কেবল আল্লাহভীরুদের জন্যই’[21]। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হিসাবে, যদিও সেটি তোমাদের নিজেদের কিংবা তোমাদের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে যায়। (বাদী-বিবাদী) ধনী হৌক বা গরীব হেŠক, আল্লাহ তাদের সর্বাধিক শুভাকাংখী। অতএব ন্যায়বিচারে তোমরা প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল অথবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে জেনে রেখ আল্লাহ তোমাদের সকল কৃতকর্ম সম্পর্কে সম্যক অবহিত’[22]। এটি ইসলামী বিচার ব্যবস্থার একটি চিরন্তন বিধান। আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের গ্রন্থাগারের প্রবেশমুখে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে এই আয়াতটির ইংরেজী অনুবাদ ইস্পাতের সাইনবোর্ডে খোদাই করে লিপিবদ্ধ আছে। অথচ ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে গ্রীক দেবী থেমিসের ভাষ্কর্য (নাঊযুবিল্লাহ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর যেকোন একটি দন্ডবিধি বাস্তবায়ন করা একটি জনপদে ৪০ দিন বৃষ্টি হওয়ার চাইতে উত্তম’[23]। তিনি মুসলিম উম্মাহকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, তোমরা আল্লাহর দন্ডবিধি সমূহ বাস্তবায়ন কর নিকটবর্তী ও দূরবর্তী সকলের উপর। আর এ ব্যাপারে কোন নিন্দুকের নিন্দাবাদ যেন তোমাদেরকে বাধা না দেয়’[24]

ঘুষ-দুর্নীতি-নরহত্যা, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, অন্যের মাল আত্মসাৎ ইত্যাদি যেকোন হারাম কাজে যুক্ত ব্যক্তি ও দায়িত্বশীলদের ক্বিয়ামতের দিন জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হ’তে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে মুসলমানদের কোন দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করে খেয়ানতকারী অবস্থায়, আল্লাহ তার উপর জান্নাতকে হারাম করে দেন’[25]। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই-ই হবে সফলকাম। বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবন ধোঁকার উপকরণ বৈ কিছুই নয়’[26]। অতঃপর বান্দার উদ্দেশ্যে আল্লাহর সর্বশেষ আসমানী তারবার্তা : ‘তোমরা ঐ দিনকে ভয় কর, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট ফিরিয়ে নেওয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেকে স্ব স্ব কর্মফল পুরোপুরি পাবে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না’[27]। অতএব দেশে সুশাসন কায়েম করুন এবং সৎলোকদের পুরস্কৃত করুন!

– প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

(মাসিক আত-তাহরীক)


[1] নিসা ৪/২৯-৩০

[2] কুরতুবী

[3] মায়েদাহ ৫/৪২

[4] ইবনু আবী শায়বাহ হা/২২০৯৪

[5] মায়েদাহ ৫/৪৪; ত্বাবারাণী হা/৯১০০; মুসনাদ আবু ইয়ালা হা/৫২৬৬

[6] মিশকাত হা/২৭৮৭; ছহীহাহ হা/২৬০৯

[7] মুসলিম হা/১০১৫; মিশকাত হা/২৭৬০

[8] বাক্বারাহ ২/১৭২

[9] ছহীহুল জামেহা/৩০০৪

[10] নিসা ৪/৮৫

[11] ছহীহুল জামেহা/৭০২১

[12] আবুদাঊদ হা/৩৫৪১; মিশকাত হা/৩৭৫৭

[13] ছহীহ ইবনু হিববান হা/৫০৭৬; আবুদাঊদ হা/৩৫৮০; মিশকাত হা/৩৭৫৩

[14] আহমাদ হা/২২৪৫২

[15] শরহ আবুদাঊদ

[16] তওবা ৯/৩৭

[17] বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৭৭৯; সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৬৯৯ পৃ.

[18] বায়হাক্বী ৪/১২৩, হা/৭৬৮৯

[19] বায়হাক্বী ৬/১১৪, হা/১১৯৬০

[20] বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৯৯৭

[21] ক্বাছাছ ২৮/৮৩

[22] নিসা ৪/১৩৫

[23] ইবনু মাজাহ হা/২৫৩৭; মিশকাত হা/৩৫৮৮

[24] ইবনু মাজাহ হা/২৫৪০; মিশকাত হা/৩৫৮৭

[25] বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৬৮৬

[26] আলে ইমরান ৩/১৮৫

[27] বাক্বারাহ ২/২৮১

মন্তব্য করুন

আরও দেখুন
Close
Back to top button