ছালাতে অনর্থক কাজ ও বেশী বেশী নড়াচড়া করা হারাম

ছালাতে অনর্থক কাজ ও বেশী বেশী নড়াচড়া করা এমন এক আপদ, যা থেকে অনেক মুছল্লীই বাঁচতে পারে না। কারণ তারা আল্লাহর নিম্নোক্ত আদেশ প্রতিপালন করে না- وَقُومُوْا لِلَّهِ قَانِتِيْنَ ‘তোমরা আল্লাহর জন্য অনুগত হয়ে দাঁড়াও’ (বাক্বারাহ ২৩৮)।
মহান আল্লাহ বলেন,
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ- الَّذِينَ هُمْ فِيْ صَلاَتِهِمْ خَاشِعُونَ–
‘নিশ্চয়ই সেই সকল মুমিন সফলকাম, যারা নিজেদের ছালাতে বিনীত থাকে’ (মুমিনূন ১-২)।
কিন্তু উক্ত লোকেরা আল্লাহর এ বাণীর গূঢ়ার্থ বুঝে না। তাই ছালাতে আদবের পরিপন্থী অনেক কিছুই তারা করে থাকে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সিজদার মধ্যে মাটি সমান করা যাবে কি-না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন,
لاَ تَمْسَحْ وَأَنْتَ تُصَلِّى فَإِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَوَاحِدَةً تَسْوِيَةَ الْحَصَى–
‘ছালাত অবস্থায় তুমি কিছু মুছতে পারবে না। একান্তই যদি করতেই হয় তাহলে কংকরাদি একবার সমান করতে পারবে’।[1]
আলেমগণ বলেছেন, ছালাতে নিষ্প্রয়োজনে বেশী মাত্রায় লাগাতারভাবে নড়াচড়া করলে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং যারা ছালাতে নিরর্থক খেলায় লিপ্ত হয় তাদের অবস্থা কেমন হতে পারে? তাদের তো দেখা যায়, তারা আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছে। অথচ ঘড়ির সময় নিরীক্ষণ করছে কিংবা কাপড় সোজা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথবা আঙ্গুল দিয়ে নাক পরিষ্কার করছে। অনেকে আবার ছালাতে দাঁড়িয়ে ডানে-বামে অথবা উপরের দিকে তাকাতে থাকে। অথচ তাদের চোখ যে উপড়ে ফেলা হতে পারে কিংবা শয়তান ছালাতে তাদের মনোযোগ নষ্ট করে দিতে পারে, সে সম্পর্কে তাদের মনে কোনই উদ্বেগ নেই।[2]
– মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ