ইয়াযীদী সম্প্রদায়
ইয়াযীদী একটি পথভ্রষ্ট দল। যাদের বৃহদাংশ ইরাকে এবং কিছু অংশ তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া, জর্জিয়া প্রভৃতি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ১৩২ হিজরীতে উমাইয়া শাসনের অবসানের পর এদের উৎপত্তি হয়। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইবরাহীম বিন হারব বিন খালেদ বিন ইয়াযীদ। এরা অভিশপ্ত ইবলীসকে ‘ভাল’ বলে থাকে এবং তাকে মাল‘ঊন বলতে অস্বীকার করে। কুরআনের যত জায়গায় ‘লা‘নত, শয়তান ও ইস্তি‘আযাহ’ শব্দ আছে তা পড়তে বারণ করে। তারা মিথ্যা দাবী করে যে, শব্দগুলি মূল কুরআনে নেই। মুসলমানরা পরে এগুলি কুরআনে যোগ করেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)।
তাদের ভ্রান্ত আক্বীদা সমূহ :
(১) তারা অভিশপ্ত ইবলীসকে ফেরেশতাদের পাখি বলে এবং ময়ূর সদৃশ তামার মূর্তি বানিয়ে তার চতুর্দিকে তাওয়াফ করে।
(২) তাদের নিকটে কালেমায়ে শাহাদাত হল, أشهد واحد الله، سلطان يزيد حبيب الله অর্থাৎ আমি এক আল্লাহর সাক্ষ্য প্রদান করছি এবং সুলতান ইয়াযীদকে আল্লাহর দোস্ত বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি।
(৩) তারা বছরে তিন দিন ছিয়াম পালন করে। তার মধ্যে একদিন হ’ল ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়ার জন্ম দিন।
(৪) তারা প্রতি বছর ১০ই যিলহজ্জ ইরাকের মিরজাহ আন-নূরানিয়াহ পাহাড়ে অবস্থান করে।
(৫) তারা মধ্য শা‘বানে ছালাত আদায় করে এই বিশ্বাসে যে, এই ছালাত তাদের সারা বছরের ছালাতের স্থলাভিষিক্ত হবে।
(৬) তাদের নিকটে মৃত্যুর পরে হাশর-নাশর হবে সিনজার পাহাড়ে। আর মীযানের পাল্লা থাকবে শায়খ আদী ইবনু মুসাফিরের হাতে। তিনিই মানুষের হিসাব গ্রহণ করবেন এবং তিনিই তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
(৭) তাদের নিকটে ৬ টি পর্যন্ত বিবাহ করা জায়েয। এছাড়াও অনেক ভ্রান্ত আক্বীদায় তারা বিশ্বাস করে (বিস্তারিত আলোচনা দ্রঃ আল-মাওসূ‘আতুল মুয়াসসারাহ ফিল আদইয়ান ওয়াল মাযাহেব ওয়াল আহযাব)।
ইবরাহীম বিন হারব বিন খালেদ বিন ইয়াযীদ কি ইয়াজিদের বংশধর? এখানে কি কারবালার ঘটনার নায়ক মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদকে বোঝানো হয়েছে?
R8
Sothik