স্বাস্থ্য তথ্য

ঘরের কাজেও ব্যায়াম হয়

ঘরের বাইরে খোলা জায়গায় ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করার ইচ্ছে আছে। তবু নানা ব্যস্ততা ও ঝামেলায় সেটা আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু ঘরেও তো আমরা অনেক কাজ করি। এসবের মাধ্যমে কি ব্যায়ামের সমান উপকারিতা মিলবে? এই প্রশ্ন অনেকেই করেন।

শরীরের বাড়তি ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, রক্তে বেশি পরিমাণে চর্বি অথবা নানা রকম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, বিশ্বে ৩৯ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষের ওজন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি। শিশু-কিশোরদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে।

এসব অসুখের ঝুঁকি কমাতে চাইলে শৈশব থেকেই নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলা বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে—এমন পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শুধু তা-ই নয়, দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ বা শখও মানুষের ওজন কমাতে সহায়ক হয়ে থাকে। এসবের চর্চাও করতে হবে। কেননা, কেবল এক কেজি ওজন কমালেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে ৩ থেকে ৬ শতাংশ। আর রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায় লিটারে ৩ মিলিমোলের মতো। এ ধরনের শরীরচর্চায় রক্তচাপ এবং রক্তে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ কমে।

এবার দেখে নেওয়া যাক, এক ঘণ্টার গেরস্থালি কাজকর্মে ৬৮ থেকে ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির কতটুকু ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব।

a5043caf703b1b0021e6dde0126a3635-14

মনে রাখতে হবে, গেরস্থালি কাজে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ ও মাত্রা বাইরের হাঁটা, জগিং বা অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় কম। কিন্তু যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই করেন না, তাঁদের নিয়মিত কিছু না কিছু কায়িক পরিশ্রমের কাজে অভ্যস্ত হওয়া উচিত। ঘরোয়া কাজকর্মের পাশাপাশি লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার, সব সময় গাড়ি বা রিকশায় না চড়ে রোজ খানিকটা হাঁটা বা খেলাধুলার অভ্যাস করলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা এড়ানো সহজ হবে।

মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল

মন্তব্য করুন

Back to top button