আমাদের অবস্থান
নির্দেশ আল্লাহ্র – সিদ্ধান্ত আমার-আপনার, যা আমাদের গন্তব্য নির্ধারক। আসুন একটু চেক করি-
“তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না।” (সুরা আ’রাফ-০৩)
“তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনই করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।” (সুরা আ’রাফ-২৮)
”নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতার কাছেও যেও না, চাই তা প্রত্যক্ষ হোক আর পরোক্ষ হোক।” (সূরা: আনআম-১২৯)
“আমি তাকে ও তার জাতিকে দেখেছি, তারা আল্লাহকে ছেড়ে সূর্যকে সিজদা করছে এবং শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য শোভনীয় করছে”। (সূরা আল নামল, ২৪)
“ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে? এটা এজন্যে যে, তারা সেই বিষয়ের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অপছন্দ করে। ফলে তিনি তাদের কর্মসমূহ ব্যর্থ করে দেন।” (সূরা মুহাম্মাদঃ২৭-২৮)
“….. তার মানে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস করো, আর কিছু অংশ অবিশ্বাস করো? তোমরা যারা এরকম করো, তাদের প্রতিদান হবে এই দুনিয়াতে চরম অপমান-দুর্দশা, আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে সবচেয়ে কঠিন শাস্তির দিকে তাড়িয়ে নেওয়া হবে। তোমরা কী করে যাচ্ছ, সেটা আল্লাহর অজানা নয়।” (সূরা আল -বাক্বারাহ ৮৫)
“হে মুমিনগণ !! তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণরুপে প্রবেশ করো এবং তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” (সূরা আল -বাক্বারাহ-২০৮)
“তারা এই দ্বীনের ব্যাপারে দোদুল্যমান, না মুমিনদের দিকে আর না কাফেরদের দিকে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট হতে দেন, তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পাবে না।” (সূরা নিসা-১৪৩)
“তারা বলে আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফের এবং আমি কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানজনক আযাব।” (সূরা নিসা-১৫০, ১৫১)
– ফয়সাল বিন আলম (সহকারী অধ্যাপক, বিইউএফটি)