দান করে তারপর কষ্ট দেওয়ার থেকে সুন্দর কথা বলা এবং ক্ষমা করা উত্তম —আল-বাক্বারাহ ২৬১-২৬৩
ইসলাম সম্পর্কে অনেকের এক ধরনের ধারণা আছে যে, ধর্ম হচ্ছে নামাজ পড়া, রোজা রাখা, বছরে একবার যাকাত দেওয়া, ব্যাস এই পর্যন্তই। এর বাইরে অন্য ভালো কাজগুলো, যেমন দান করা, আত্মীয়ের উপকার করা, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, এগুলো ঐচ্ছিক ব্যাপার; করলে ভালো, না করলেও চলে। এই ভুল ধারণার কারণে আজকে মুসলিম সমাজে আমরা অনেক মুসলিম দেখতে পাই, যারা দাঁড়ি-টুপি, টাখনুর উপরে কাপড়ের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস, কিন্তু কোনোদিন তাদেরকে এতিম খানায় দান করতে দেখা যায় না। আবার অনেকে হিজাবের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস, কিন্তু প্রতিবেশীরা তার কাছে সামান্য তেল, লবণ বা প্লেট-বাটি ধার চাইতে এসে মন খারাপ করে ফিরে যায়। আবার অনেকে দিনরাত ইসলামি বই পড়ে, অনলাইনে ফাতওয়ার পর ফাতওয়া পড়ে, ফেইসবুকে কাফির, খারিজি, বিদআতি এই সব নিয়ে তর্ক করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, নিজেদেরকে সালাফদের প্রকৃত অনুসারী মনে করে, অথচ কোনোদিন তাদেরকে মসজিদের দান বাক্সে মানিব্যাগের ছোট নোটের থেকে বেশি কিছু দিতে দেখা যায় না।
এভাবে আজকে মুসলিম সমাজে এমন সব মুসলিম দিয়ে ভরে গেছে, যারা ধর্মের আনুষ্ঠানিক এবং বাহ্যিক দিকগুলো নিয়ে খুবই সাবধানী, কিন্তু ধর্মের মানবিক এবং সহমর্মিতার দিকগুলোর প্রতি একেবারেই উদাসীন। কুর‘আনের যেই আয়াতগুলো নিজের স্বার্থ হাসিল করে, সেগুলো তারা মনে রাখতে ভুল করে না, কিন্তু যেই আয়াতগুলো অন্যের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে বলে, সেগুলো তারা নানা কৌশলে, অজুহাতে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।
সুরাহ আল-বাক্বারাহর শুরুতেই আল্লাহ تعالى মু‘মিনদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, মু‘মিন হচ্ছে তারা, যারা ১) গায়েবে বিশ্বাস করে, ২) নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, ৩) দান করে। নামাজের পরেই তিনি تعالى দান করার কথা বলেছেন। শুধু তাই না, তিনি تعالى এই সুরাহতে বিশটির বেশি আয়াতে দান করা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দানের ব্যাপারে সুরাহ আল-বাক্বারাহতে বিশটির বেশি আয়াত থাকা থেকে বোঝা যায়, তা আল্লাহর تعالى কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ খরচ করে, তাদের উপমা হলো একটি শস্য বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মে, প্রতিটি শীষে থাকে একশটি শস্য বীজ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। আল্লাহর ভাণ্ডার অনেক প্রশস্ত, তিনি সবচেয়ে ভালো জানেন। [আল-বাক্বারাহ ২৬১]
এই আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে তাঁর تعالى পথে খরচ করার পুরস্কার কত বেশি সে সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন। আমরা যা খরচ করি, তার সাত শ গুন বেশি পুরস্কার তিনি تعالى আমাদেরকে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন। শুধু তাই না, আল্লাহ تعالى বলেছেন যে, তিনি যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন; সাত শ গুণ-ই শেষ না। যে খরচ করছে, তার নিয়ত, আন্তরিকতা, আল্লাহকে تعالى খুশি করার ইচ্ছা, এগুলোর উপর নির্ভর করে আল্লাহ تعالى তাকে যত ইচ্ছা তত বাড়িয়ে পুরস্কার দেবেন।
“আল্লাহর ভাণ্ডার অনেক প্রশস্ত, তিনি সবচেয়ে ভালো জানেন।” — আল্লাহর تعالى দয়ার ভাণ্ডার অনেক প্রশস্ত। তিনি খুব ভালো করে জানেন আমরা কতটা আন্তরিকতার সাথে, কী উদ্দেশ্যে খরচ করি। কখনও যেন আমরা মনে না করি যে, আমার সামর্থ্য অল্প, এইটুকু খরচ করে আর কী পুরস্কার পাবো? আল্লাহ تعالى কখন, কাকে, কত বড় পুরস্কার দেবেন, সেটা তাঁর تعالى ইচ্ছে। তিনি تعالى আমাদের মত সংকীর্ণ মানসিকতা রাখেন না। তাঁর تعالى প্রতিদানের ভাণ্ডারের কোনো শেষ নেই।
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বাড়িয়ে দেন
একদিন আপনি রাস্তায় একটা বুড়ো ফকিরকে দেখে কষ্ট পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে, তাকে দোকানে নিয়ে জামাকাপড় কিনে দিলেন। আপনি জানতে পারলেন না যে, এর বিনিময়ে হয়তো আল্লাহ تعالى আপনাকে দুনিয়াতে এক কঠিন অসুখে পড়ে, চিকিৎসার পেছনে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন। শুধু তাই না, আখিরাতে গিয়ে হয়তো দেখবেন: কয়েকশ একরের ঘন সবুজ বাগানের মাঝখানে এক বিশাল প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে। প্রাসাদের দরজায় লেখা, ‘সেই ভিক্ষুকের জন্য’।
একদিন আপনি এক গরীব আত্মীয়কে ভীষণ বিপদের সময় সাহায্য করলেন। আপনার টাকা পয়সা টানাটানি থাকার পরেও ঝুঁকি নিয়ে তাকে অনেকগুলো টাকা দিয়ে দিলেন। আপনি জানতে পারলেন না যে, এর জন্য হয়তো আল্লাহ تعالى আপনাকে অফিসে বসের চক্রান্ত থেকে রক্ষা করে চাকরি হারানো থেকে বাঁচিয়ে দিলেন। আর আখিরাতে গিয়ে দেখবেন: উঁচু পাহাড়ে এক বিশাল ফুল-ফলের বাগান, বাগানের মাঝখানে ঝর্ণা, ঝর্ণার পাশে লম্বা টেবিলে সারি সারি খাবার এবং পানীয় সাজিয়ে রাখা আছে। টেবিলে একটা ছোট নোটে লেখা, ‘সেই আত্মীয়ের জন্য’।
আমাদের অনেকেরই দান করতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। কোনো এতিমখানায় দান করলে, বা কোনো গরিব আত্মীয়কে হাজার খানেক টাকা দিলে মনে হয়: কেউ যেন বুকের একটা অংশ ছিঁড়ে নিয়ে গেল। আমরা ব্যাপারটাকে এভাবে চিন্তা করতে পারি— দুনিয়াতে আমার একটি ক্ষণস্থায়ী কারেন্ট একাউন্ট রয়েছে, এবং আখিরাতে আমার আরেকটি দীর্ঘস্থায়ী ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট রয়েছে। আমি আল্লাহর تعالى রাস্তায় যখন খরচ করছি, আমি আসলে আমার দুনিয়ার একাউন্ট থেকে আখিরাতের একাউন্টে ট্রান্সফার করছি মাত্র। এর বেশি কিছু না। আমার সম্পত্তি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে না, আমারই থাকছে, যতক্ষণ না আমি দান করে কোনো ধরনের আফসোস করি, বা দান করে মানুষকে কথা শোনাই।[১]
একদিন আমরা দেখতে পাবো: আমাদের ওই একাউন্টে কত জমেছে এবং আল্লাহ تعالى আমাদেরকে প্রতিটা দানের বিনিময়ে ৭০০ গুণ বেশি মুনাফা দিয়েছেন।[১] সেদিন আমরা শুধুই আফসোস করব, “হায়, আর একটু যদি আখিরাতের একাউন্টে ট্রান্সফার করতাম! তাহলে আজকে এই ভয়ংকর আগুন থেকে বেঁচে যেতাম!”
আল্লাহর পথে খরচ কী?
আল্লাহর تعالى পথে খরচ বলতে যে, শুধু গরিব মানুষকে সম্পদ দান করা বোঝায় তা নয়। ইসলাম সমর্থিত যে কোনো ভালো কাজে খরচ করা, যাতে করে অভাবীদের কষ্ট লাঘব হয়, অর্থনীতির চাকা ঘুরে, ইসলামের প্রচারে এবং প্রসারে কাজে লাগে, মুসলিমদের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়, মুসলিম সামরিক বাহিনী শক্তিশালী হয় ইত্যাদি বহু খাতে খরচ করা বোঝায়। এধরনের খরচ যে একেবারেই নিঃস্বার্থ দান তা নয়, যা থেকে দাতার কোনো লাভ হয় না। বরং দাতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লাভ হয়, এমন অনেক কাজেও খরচ করা যায়। যেমন, আল্লাহ বলেছেন—
ওরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে: কীসে তারা খরচ করবে? বলে দাও, “তোমরা ভালো যা কিছুই খরচ করো, প্রথমত সেটা হবে তোমাদের বাবা-মার জন্য, তারপর নিকটজন, এতিম, অভাবী, অসহায় ভ্রাম্যমান মানুষদের জন্য। আর তোমরা ভালো যা কিছুই করো না কেন, আল্লাহ সে ব্যাপারে অবশ্যই জানেন।” [আল-বাক্বারাহ ২১৫]
আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না যে, আমাদের দান করার প্রভাব কত ব্যাপক। আমরা মনে করি, “এতিম খানায় দান করে আর কী হবে? বড় হয়ে ওগুলো তো সব জঙ্গি হবে, না হলে মানুষের কাছে ধর্ম বিক্রি করে খাবে। এদেরকে টাকাপয়সা দিয়ে বড় করে আর কী লাভ?” আল্লাহ تعالى কখন, কাকে, কোথায় নিয়ে যান, তা কেউ বলতে পারে না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ছিলেন একজন এতিম। তিনি বড় হয়েছেন এতিমখানায়। শুধু তাই না, আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম এন্ড্রু জ্যাকসন এবং অ্যালেক্সান্ডার হেমিল্টন, তারপর প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, প্রেসিডেন্ট হার্ভার্ড হুভার, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, আফ্রিকান-মার্কিন মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা ম্যালকম এক্স, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের মানবাধিকার আদায়ের আন্দোলনে অন্যতম ছিলেন—এরা সবাই ছিলেন এতিম। এমনকি অ্যাপেল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন স্টিভ জবস পালকের কাছে বড় হয়েছেন। এদের জীবনী পড়লে দেখা যায় যে, এরা যখন এতিম ছিলেন, তখন কেউ কল্পনাও করতে পারত না যে, বাবা-মা হারা এতিমখানার এই সব অভাবী, হতভাগা বাচ্চাগুলো বড় হয়ে কোনোদিন কিছু করতে পারবে। ভিক্ষা করে জীবন পার করার থেকে বড় কিছু তাদের কাছ থেকে কেউ আশা করেনি। অথচ এরা এমন কিছু অর্জন করেছেন, যেটা অর্জন করার কথা খুব অল্প মানুষই কল্পনা করতে পারে।
ধরুন, আপনি আপনার এক গরিব আত্মীয়কে অভাবের সময় অর্থ দিয়ে সাহায্য করলেন। আপনি ধরে নিয়েছিলেন যে, এই পরিবারটাকে আপনার সারাজীবন দেখতে হবে, এদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। অথচ দেখা গেল একদিন সেই পরিবারের সন্তানেরা বড় হয়ে সচ্ছল হলো, তারা একসময় তাদের অভাবী আত্মীয়দের দান করতে লাগলো। বহু বছর আগে আপনি যেই দান দিয়ে শুরু করেছিলেন, সেটা একটা চেইন রিয়াকশনের মত ছড়িয়ে পড়তে লাগলো। আপনি আপনার সেই দান থেকে অনেক লাভ করতে পারতেন, যদি না—
যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ খরচ করে, তারপরে দানের কথা মনে করিয়ে খোটা দেয় না বা কোনো কষ্টও দেয় না, তারাই তাদের রবের কাছে প্রতিদান পাবে, তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো দুঃখও করবে না। [আল-বাক্বারাহ ২৬২]
দান করে যখন আমরা কাউকে খোটা দেই, “তোমাকে এই বছর যে যাকাত দিলাম, এরই মধ্যে সব শেষ করে ফেলেছ?”, “তোমাকে আমি এত টাকা দিলাম, আর তুমি আমার এই ছোট কাজটা করে দিতে পারবে না?”, “দরকারের সময় আমাকে দিনে দশবার ফোন করতে পারো, আর একবার টাকা পেয়ে গেলে আর কোনোদিন ফোন করতে পারো না?” — তখন আমাদের দান বাতিল হয়ে যায়। আল্লাহ تعالى বলছেন যে, যারা দান করে কোনো খোটা দেয় না, কোনোভাবে অপমান করে না, অভিযোগ করে না, শুধু তারাই তাদের দানের জন্য আল্লাহর تعالى কাছে প্রতিদান আশা করতে পারে।
আমরা যখন শুধুমাত্র আল্লাহকে تعالى খুশি করার জন্য দান করবো, তখন আমরা যাকে দান করেছি, তার কাছে কোনো ধরনের দাবি রাখব না। বিনিময়ে তার কাছে কোনো উপকার, খাতির, ফুটফরমাশ আশা করব না। সে আমাকে ভুলে গেলে, আমার সাথে অন্যায় করলেও কিছু মনে করব না। কারণ আমি তাকে তার লাভের জন্য দান করিনি। দান করেছি নিজের লাভের জন্য, শুধুই আল্লাহকে تعالى খুশি করার জন্য, নিজে কিছু পুরস্কার অর্জন করার জন্য। যদি আমরা কোনো ধরনের দাবি ধরে রাখি, তার কোনো কাজে, ব্যবহারে মন খারাপ করি, তাহলে আমাদের দানের উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহকে تعالى খুশি করা ছিল না। আমার নিয়তে আসলে ভেজাল ছিল। ভেজাল নিয়তে করা দানের থেকে কোনো প্রতিদান পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে।
দান করে তারপর কষ্ট দেওয়ার থেকে সুন্দর কথা বলা এবং ক্ষমা করা উত্তম। আল্লাহ ধনী-অভাবহীন এবং একইসাথে অত্যন্ত সহনশীল। [আল-বাক্বারাহ ২৬৩]
সুন্দর কথা সাদাকা।[১৪] টাকা দান করলে যেমন সাদাকার বিশাল সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি সুন্দর কথা বললেও সাদাকার বিশাল সাওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহ تعالى এই আয়াতে বলছেন যে, কাউকে কিছু দান করে, তারপর তাকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়ার থেকে বরং সুন্দর কথা বলা এবং ক্ষমা করে দেওয়া অনেক বেশি ভালো। কখনও যেন মনে না করি যে, আমি আজকে ধনী ছিলাম দেখেই এরা আমার কাছ থেকে টাকা পয়সা পাচ্ছে। আমরা কেউ ধনী না, একমাত্র ধনী হচ্ছেন আল্লাহ تعالى। আমরা শুধুই পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের সম্পদ হচ্ছে এক ভয়ংকর পরীক্ষা। এই পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমরা অনেক ভুল করি, আর আল্লাহ تعالى ধৈর্য ধরে আমাদেরকে সহ্য করেন।
অভাবী কেউ আমাদের কাছে সাহায্য চাইতে এলে, যদি আমাদের পক্ষে দান করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা সুন্দর কিছু কথা বলে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারি। সে হয়তো চাইতে গিয়ে কিছু বাড়াবাড়ি করে ফেলল। না পেয়ে হয়তো এমন কিছু কথা বলল, যা আমার খারাপ লাগলো। অনেক সময় ভিখারিরা ভিক্ষা চাইতে এসে বাড়াবাড়ি করে ফেলে। তখন তাদেরকে ধমক দিয়ে একটা ছেড়া নোট দেওয়ার থেকে বরং হাসি মুখে চলে যেতে বলাটা ভালো।[১৪][৪] সেটা থেকে কিছু সওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু কাউকে সাহায্য করে, তারপর বাজে ব্যবহার করে চলে আসলে কিছুই পাওয়া যাবে না।
কোনো ভিখারি হয়ত দশ টাকা পেয়ে আরও একটু বেশি পাওয়ার আবদার করলো। তখন তাকে “কত আহ্লাদ, যত দেই, তত চায়!” —এটা না বলে, একটা হাসি দিয়ে চলে যেতে বলাটা ভালো। এভাবে সেই দশ টাকার প্রতিদান পাওয়ার আশা আছে।
[১] বাইয়িনাহ এর কু’রআনের তাফসীর। [২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ। [৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি। [৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী। [৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran [৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran [৭] তাদাব্বুরে কু’রআন – আমিন আহসান ইসলাহি। [৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী। [৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ। [১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি [১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি [১২] আত-তাবারি-এর তাফসীরের অনুবাদ। [১৩] তাফসির ইবন আব্বাস। [১৪] তাফসির আল কুরতুবি। [১৫] তাফসির আল জালালাইন। [১৬] লুঘাতুল কুরআন — গুলাম আহমেদ পারভেজ। [১৭] তাফসীর আহসানুল বায়ান — ইসলামিক সেন্টার, আল-মাজমাআহ, সউদি আরব [১৮] কু’রআনুল কারীম – বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর — বাদশাহ ফাহাদ কু’রআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স