হারাম-হালাল

হারাম ভক্ষণ

যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে না সে কোথা থেকে অর্থ উপার্জন করল এবং কোথায় ব্যয় করল তার কোন পরোয়া করে না। তার একটাই ইচ্ছা সম্পদ বৃদ্ধি করা। চাই তা হারাম, অবৈধ যে পথেই হৌক। এজন্য সে ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, আত্মসাৎ, হারাম দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, সূদ, ইয়াতীমের মাল ভক্ষণ, জ্যোতিষী, বেশ্যাবৃত্তি, গান-বাজনা ইত্যাদি হারাম কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন, এমনকি মুসলমানদের সরকারী কোষাগার কিংবা জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করা, মানুষকে সংকটে ফেলে তার সম্পদ বাগিয়ে নেওয়া, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি যেকোন উপায়ে অর্থ উপার্জন করে। অতঃপর সে ঐ অর্থ হতে খায়, পরিধান করে, গাড়িতে চড়ে, বাড়ী-ঘর তৈরী করে কিংবা বাড়ী ভাড়া নিয়ে দামী আসবাবপত্র দিয়ে সাজায়। এভাবে হারাম দিয়ে তার উদর পূর্তি করে। অথচ নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, كُلُّ لَحْمٍ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ إِلاَّ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ ‘শরীরের যতটুকু গোশত হারাম হতে উৎপন্ন হয়েছে, তা জাহান্নামের জন্যই সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত’।[1] আর ক্বিয়ামতের দিনেও তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কোথা থেকে সে ধন-সম্পদ উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে।[2] সুতরাং এই শ্রেণীর লোকদের জন্য শুধু ধবংসই অপেক্ষা করছে।

মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ

 


[1]. আহমাদ, তিরমিযী; মিশকাত হা/২৭৭২।

[2]. তিরমিযী; মিশকাত হা/৫১৯৭।

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button