হারাম-হালাল

গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা

আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পশু যবেহ ও বলি দেয়া শিরকে আকবর বা বড় শিরক-এর অন্যতম। আল্লাহ বলেন, فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ ‘আপনার প্রভুর উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় করুন এবং যবেহ করুন’ (কাওছার ২)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, لَعَنَ اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে যবেহ করে তার উপর আল্লাহর লা‘নত’।[1]

যবেহ-এর সঙ্গে জড়িত হারাম দু’প্রকার। যথাঃ (১) আললাহ ছাড়া অন্যের উদ্দেশ্যে যবেহ করা। যেমন- দেবতার কৃপা লাভের জন্য (২) আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নাম নিয়ে যবেহ করা। উভয় প্রকার যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম।

জাহেলী আরবে জিনের উদ্দেশ্যে প্রাণী যবেহ-এর রেওয়ায ছিল, যা আজও বিভিন্ন আঙ্গিকে কোন কোন মুসলিম দেশে চালু আছে। সে সময়ে কেউ বাড়ী ক্রয় করলে কিংবা তৈরী করলে অথবা কূপ খনন করলে তাদের উপরে জিনের উপদ্রব হতে পারে ভেবে পূর্বাহ্নেই তারা সেখানে বা দরজার চৌকাঠের উপরে প্রাণী যবেহ করত। এরূপ যবেহ সম্পূর্ণরূপে হারাম।[2]

– মুহাম্মাদ ছালেহ আল মুনাজ্জিদ


[1]. মুসলিম হা/১৯৭৮; মিশকাত হা/৪০৭০।

[2]. আমাদের দেশে এক শ্রেণীর মানুষ সন্তান লাভ, রোগমুক্তি, মুশকিল আসান, মামলা-মোকদ্দমায় জয়লাভ কিংবা অন্যবিধ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দরগা, মাযার ও কুদরতী মসজিদে (?) গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী, চাউল, মিষ্টান্ন, টাকা-পয়সা প্রভৃতি দিয়ে থাকে। তারা বিশ্বাস করে যে, এসব জায়গায় এগুলি দেওয়ার ফলে দরগাহ ও মাযারের সাথে সংশ্লিষ্ট মৃত মহাজন বা কুদরতী মসজিদ তাদের সব সমস্যা দূর করে দেবে। এরূপ বিশ্বাস সরাসরি শিরক। দেবতার নামে নরবলী দেওয়ার প্রথাও নানা ধর্মে অতীতকাল থেকেই চালু আছে। কেউ তা করলে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হবে- অনুবাদক।

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button