জীবনের বাঁকে বাঁকে

তোমার এই অন্যায়ের বিপক্ষে আমার জন্য মহান আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তো উত্তম অভিভাবক ও উত্তম সাহায্যকারী

একজন ব্যক্তির সাথে আপনার টাকা পয়সা নিয়ে কিছু লেন দেন হয়েছে। লোকটা আজ দিব, কাল দিব, করে করে টাকাটা পরিশোধ করেনা। এইদিকে সে খুব বড় ঘরের লোক তাই তাকে জোর গলায় কিছু বলারও সাহস পান না।

এক সময় আপনি নিভৃতে এই বেদনাকে হজম করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং টাকা পাওয়ার আশা ও চেষ্টা তদবীরের হাল ছেড়ে দিলেন। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার আগে আপনার সেই ভাইয়ের কাছে একটা মেসেজ লিখতে চাইলেন।

হাসবুনাল্লাহ ও নিমাল ওয়াকিল, নিমাল মাওলা ও নিমান নাসীর।

বাস এতটুকু লিখে তার নাম্বারে সেন্ড করে দিলেন। এই মেসেজ পাঠানোর পর কি হতে পারে? আপনার ক্ষেত্রে কি হবে জানিনা । তবে এক ভাইয়ের সাথে কি হয়েছে তা এবার শুনেন।

মসজিদে নববীর পাশেই আমাদের এক দ্বীনী ভাই থাকেন। নাম ফারুক। একজন সৌদী ব্যক্তির সাথে তার ঠিক অনুরুপ কাহিনী ঘটেছিল। তার ভাষায় বিদেশের মাটিতে কার সাথে বাড়াবাড়ি করতে যাব। তাই আমি টাকার চিন্তা একেবারে ছেড়ে দিতে চাইলাম, ছেড়ে দেওয়ার আগে ঐ সৌদী ব্যক্তির কাছে এই মেসেজটা লিখে পাঠালাম। আমার সেন্ড করা খুব জোর দশ মিনিট হয়েছে। সে যে কোথায় ছিল আল্লাহই জানে । একদম হন্তদন্ত হয়ে আমার কাছে ছুটে আসল। সবার আগে আমার হাতে সেই টাকা ধরিয়ে দিয়ে বারবার মাফ চাচ্ছে আর বলছে, আপনি কেন এই মেসেজ লিখলেন আমি তো আপনাকে টাকা দিয়ে দিতাম।

এই মেসেজে কি ছিল? আপনার কাছে মনে হতে পারে কিছুই ছিল না। কিন্তু একজন আরবী জানা মুসলিমের কাছে এটা অনেক অনেক .. শুধুই অনেক। সে বলেছে “তোমার এই অন্যায়ের বিপক্ষে আমার জন্য মহান আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তো উত্তম অভিভাবক ও উত্তম সাহায্যকারী”। ভাবখানা এমন যেন, এই ভাই মহান আল্লাহর দরবারে একটা কেস দায়ের করলেন। যেই কেসের আসামী এই সৌদী লোকটি । আর এই সৌদী লোকটি জানে মহান আল্লাহর দরবারে কেস গেলে কি হয়!!! আল্লাহু আকবার!!!

এইটা একটা উদাহরণ মাত্র। সত্যি বলতে কি, প্রায় সব সৌদীর মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস এত গভীর যে, সে যদি আপনার সাথে জেনে বা না জেনে কোনওরুপ বিন্দু মাত্র অন্যায় করে বা করতে চায়। উদাহরণ স্বরুপ মনে করেন আপনি কোনও অফিসে কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজে গেলেন। সে আপনার কাজ করে দিতে আলসেমি করছে, তখন আপনি যদি তাকে শুধু বলেন “ইত্তাকিল্লাহ” অর্থাৎ “আল্লাহকে ভয় কর”! তাহলে তার হাত পায়ে কাপুনি ধরে যাবে। এবং সে আপনার কাজ খুব ভাল ভাবে করে দিবে।

এই শব্দ গুলোর যে কি শক্তি, তা স্বচক্ষে দেখতে চাইলে আল্লাহভীরু মানুষ গুলোর উপর পরিবেশ বুঝে প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। সেও হয়তো কোন গুনাহ থেকে বেচে যাবে, আপনিও অনুভব করবেন ইসলামের মহীমা।

———
– আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Back to top button