সংবাদ

আইএস প্রতিরোধে মহাপ্রাচীর

বহিঃশত্রুদের হাত থেকে চীন সম্রাজ্যের উত্তর সীমান্ত রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে ‘গ্রেটওয়াল’ বা মহাপ্রাচীর। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব তৈরি স্থাপনা বলে বিবেচনা করা হয়। তবে চীনের মহাপ্রাচীরের সমান না হলেও প্রায় এক হাজার কিলোমিটার লম্বা বিশাল সীমানা প্রাচীর তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব। এ প্রাচীরের মূল উদ্দেশ্য হলো সীমান্তে ‘ইসলামিক স্টেট’ বাহিনীকে ঠেকানো। জর্ডান থেকে শুরু করে কুয়েত পর্যন্ত পুরো ইরাক-সৌদি সীমান্তেই থাকবে এ মহাপ্রাচীর। সৌদির এ সীমানা প্রাচীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকছে বাঙ্কার, ৫ স্তরের কাটাতারের বেড়া এবং ওয়াচ টাওয়ার ও সংযোগস্থাপনকারী সড়ক। সেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে রাডার সিস্টেম ব্যবহার করা হবে, যা এর আশেপাশে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে মানুষ এবং ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যানবাহনকে শনাক্ত করতে সক্ষম। শক্তিশালী এ প্রাচীরে থাকছে নাইট ভিশন ও রাডার ক্যামেরা। আর পুরো প্রাচীরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে ৩০ হাজার সেনা। সীমান্ত এলাকায় ভূগর্ভে মোশন সেন্সর স্থাপন করা হচ্ছে, যা সন্দেহভাজন যে কোনো গতিবিধিকেই নিঃশব্দে কমান্ড সেন্টারে পাঠাবে। এছাড়াও ২৪০টি তাৎক্ষণিক অভিযান গাড়িও এ নিরাপত্তা বহরে যোগ করা হয়।

২০০৬ সাল থেকেই বড় ধরনেরর সীমান্ত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করছিল সৌদি প্রশাসন। তবে ২০১৪ সালে সেপ্টেম্বরে আইএসের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করা হয়। তবে এটা সৌদি আরবের একমাত্র সীমানাপ্রাচীর নয়। ২০০৩ সাল থেকে ইয়েমেনে বিশৃঙ্খার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণ মানের দীর্ঘ প্রাচীর তৈরি করেছিল তারা।

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button