অধিকার ও মর্যাদা

মানবাধিকার ও ইসলাম: মানুষের জন্মগত মর্যাদা ও অধিকার

জাতিসংঘ সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ : Article-1

All Human beings are born free and equal in dignity and rights. They are endowed with Reason and conscience and should act towards one another in a sprit of brotherhood.[1] ‘সব মানুষ স্বাধীনতা, সমমর্যাদা ও সমান অধিকার নিয়ে জন্মায় এবং তার বিচার বুদ্ধি ও বিবেক থাকায় তার উচিৎ ভাই-ভাইয়ের মনোভাব নিয়ে পরস্পরের সাথে সেরূপ আচরণ করা’ (অনুচ্ছেদ-১)।

উপরোক্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সকল মানুষ স্বাধীনতা, সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বিধায় কেউ কারও প্রতি কোন যুলুম বা অসদাচরণ করবে না এবং কেউ কারো কোন প্রকার মর্যাদা হানিকর কাজ করবে না।

ইসলামের আলোকে বিশ্লেষণ : আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আদম ও হাওয়া (আঃ)-কে যথাক্রমে আদি পিতা ও মাতা হিসাবে এই ধরণীর বুকে প্রেরণ করেছিলেন। যা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়; বরং প্রায় সকল ধর্মে ও মতে স্বীকৃত। পৃথিবীতে যখন মানব শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন প্রত্যেক মানুষকে নিষ্পাপ সমান মর্যাদা দিয়ে প্রেরণ করা হয়, যা আল-কুরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُواْ رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُم مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَةٍ-  ‘হে মানুষ! তোমরা একান্তভাবে ভয় কর তোমাদের সেই রবকে, যিনি তোমাদের একই মানব সত্ত্বা থেকে সৃষ্টি করেছেন’ (নিসা ১)

এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْباً وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوْا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ- ‘হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, শুধু তোমাদের পারস্পরিক পরিচিতির জন্য। তবে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহ ভীরু ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। আল্লাহ সবকিছুর খবর রাখেন (হুজুরাত ১৩)

উক্ত আয়াতদ্বয় থেকে বুঝা যায় যে, পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছে তা এক পিতা ও এক মাতা তথা আদম ও হাওয়া (আঃ) থেকে এসেছে। পৃথিবীর সকল মানুষ এক ঔরসজাত ও বংশোদ্ভূত। আর মানুষকে বিভিন্ন জাতি, বর্ণ, গোত্রে বিভক্ত করা হয়েছে পারস্পরিক পরিচিতির জন্য। তা ব্যতীত মানুষের জন্মগতভাবে উঁচু-নিচু, ছোট-বড় ভাবার কোন অবকাশ নেই। এর পরেও সুদূর অতীত এবং জাহেলী যুগে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে বিশেষ করে কুরায়েশ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে যখন বংশগৌরব, অহংকার বোধ, ভেদাভেদ ও পার্থক্য দেখা দিল, তখন আল্লাহ তা‘আলা মানবাধিকারের শ্রেষ্ঠ রূপকার মুহাম্মাদ (ছাঃ) মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন-

يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ إنَّ اللهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ نَخْوَةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَتَعَظَّمَهَا بِالْآبَاءِ النَّاسُ مِنْ آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ

‘হে কুরাইশ বংশের লোকেরা! আল্লাহ তোমাদের জাহিলী যুগের অহংকার-গৌরব ও পূর্ব বংশীয় শ্রেষ্ঠত্ব বোধকে সম্পূর্ণ নিঃশেষ করে দিয়েছেন’।[2]

এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর আগমনের পূর্বে আরবে এবং সারা বিশ্বে মানুষের মধ্যে যে শ্রেণীবৈষম্য, জাতিভেদ ও দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার-নির্যাতন বিদ্যমান ছিল তা চুরমার করে দেয়া হয়েছে। মানুষে মানুষে যে কোন বিভেদ ও একে অপরের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীতে অতীতের নমরূদ, ফেরাঊনের ন্যায় অত্যাচারী শাসকদের মত আজও যারা শক্তিমত্তার যে দাবী করে থাকে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে প্রতীয়মান হয়। অথচ তথাকথিত মানবাধিকার রক্ষাকারী পরাশক্তিরা বিশ্ব মানবতার সাথে উল্টো কাজ করে যাচ্ছে। এখানে স্পষ্ট বাণী যে, একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্বেরও কোন সুযোগ নেই। কারণ সবাই এক আদম সন্তান ও মাটি থেকে সৃষ্ট। একইভাবে মানুষের মৌল সৃষ্টি এক ও অভিন্ন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

هُوَ الَّذِيْ خَلَقَكُم مِّنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلاً ثُمَّ لِتَبْلُغُوْا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوْا شُيُوْخاً وَمِنْكُم مَّنْ يُتَوَفَّى مِنْ قَبْلُ وَلِتَبْلُغُوْا أَجَلاً مُّسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ-

‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা হ’তে, পরে শুক্রবিন্দু হ’তে, তারপর জমাট রক্তপিন্ড হ’তে, তারপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে। অতঃপর যেন তোমরা উপনীত হও তোমাদের যৌবনে, তারপর হয়ে যাও বৃদ্ধ। আর তোমাদের মধ্যে কারো মৃত্যু ঘটে এর পূর্বেই! যাতে তোমরা নির্ধারিতকাল প্রাপ্ত হও এবং যেন তোমরা অনুধাবন করতে পার’ (মুমিন ৬৭)

অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেন,

وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْ آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلاً-

‘আর আমরা নিঃসন্দেহে আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং তাদেরকে স্থল ও জলভাগে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাদেরকে পবিত্র প্রকৃষ্ট দ্রব্যাদি রিযিক হিসাবে দিয়েছি। আর আমরা সৃষ্টিকুলের অনেক কিছুরই ওপর তাদেরকে অধিক মর্যাদা দিয়েছি’ (বানী ইসরাঈল ৭০)

এখানে মানুষের জন্মগত মর্যাদা, স্বাধীনতা, জীবিকা নির্বাহের ও অধিকার স্বীকৃত। কিন্তু তাই বলে পুঁজিবাদী দর্শনে একদিকে যেমন- মানুষের মর্যাদা ও সম্পদের পাহাড়সম পার্থক্য ও বৈষম্য অন্যদিকে কমিউনিজ্যম মতবাদে মর্যাদা ও অর্থনীতির পার্থক্য একবারে বিলীন করে দিয়েছে। যা প্রকৃত পক্ষে বাস্তব সম্মত ও যথার্থ নয়। কারণ মানুষের যোগ্যতা, সক্ষমতা ও অর্থনৈতিক অর্জন পৃথিবীতে যেমন উচুঁ নিচুও হ’তে পারে, তেমনি সকলের যোগ্যতা সমান হবে এমনও নয়। আল্লাহ পাক এ ব্যাপারে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দিয়েছেন। এই সম্পর্কে তিনি বলেন,

قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِيْنَ يَعْلَمُوْنَ وَالَّذِيْنَ لاَ يَعْلَمُوْنَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُوْا الْأَلْبَابِ-

‘বল হে নবী! যারা শিক্ষিত জ্ঞানী আর যারা অশিক্ষিত জ্ঞানহীন তারা কি সমান হ’তে পারে? অর্থাৎ সমান নয়’ (যুমার ৯)

অর্থাৎ আমরা যেমন- একজন উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে একজন মূর্খ কুলি অথবা মূর্খ শ্রমিকের তুলনা করতে পারি না; তেমনি তাদের অর্জিত অধিকার ও মর্যাদা এক রকম হ’তে পারে না। তবে মানুষ হিসাবে তারা সম মর্যাদার অধিকারী হবে। যা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অমীয় বাণী থেকে জানা যায়।

যেমন তিনি বলেন, لاَ فَضْلَ لِعَرَبِىٍّ عَلَى أَعْجَمِىٍّ وَلاَ لِعَجَمِىٍّ عَلَى عَرَبِىٍّ وَلاَ لِأَحْمَرَ عَلَى أَسْوَدَ وَلاَ أَسْوَدَ عَلَى أَحْمَرَ إِلاَّ بِالتَّقْوَى ‘আরবের উপরে অনারবের, অনারবের উপরে আরবের, কালোর উপরে লালের এবং লালের উপরে কালোর কোন প্রাধান্য নেই, কেবল আল্লাহ ভীতি ছাড়া’।[3]

এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক অন্যত্রে বলেন,

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوْا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوْا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ-

‘মুমিন লোকেরা পরস্পর ভাই ভাই। অতএব ভাইদের মধ্যে কল্যাণকর সম্পর্ক স্থাপন কর। আর আল্লাহকে ভয় কর। আশা করা যায়, তোমাদের প্রতি রহমত নাযিল করা হবে’ (হুজুরাত ১০)

পর্যালোচনা :

জাতিসংঘ সনদের ১নং অনুচ্ছেদের চমৎকার সমাধান ইসলামে বহু পূর্বেই ঘোষিত হয়েছে। তাঁরা কুরআনকে সঠিক গবেষণা করেনি অথবা করলেও বিক্ষিপ্তভাবে অত্যন্ত সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছে।

ইসলামে যে মানবাধিকার ঘোষিত হয়েছে, কোন ধর্মে তার নযীর নেই। তাছাড়া অন্যান্য ধর্মে শ্রেণীবৈষম্য, বর্ণবাদ অত্যন্ত প্রকট। জাতিসংঘ সেদিকে নযর দিচ্ছে না। যেমন-হিন্দুদের মনুশাস্ত্রের মতে, সৃষ্টিকর্তা তার মাথা থেকে ব্রাহ্মণদেরকে, দুই হাত থেকে কায়স্তদেরকে, দুই উরু থেকে বৈষ্ণদেরকে এবং পা থেকে শুদ্রদেরকে সৃষ্টি করেন। তাই সমাজে শুদ্রদের একটাই দায়িত্ব হচ্ছে উপরস্থ তিন শ্রেণীর লোকদের সেবা করা। শুদ্রদের নিজেদের কোন অধিকার নেই। তারা পশুর চেয়েও নিম্ন মর্যাদার অধিকারী ও কুকুরের চেয়েও নিকৃষ্ট। শুদ্ররা নিজেরা কোন সম্পদ সঞ্চয় করতে পারবে না। কারণ এটা ব্রাহ্মণদেরকে কষ্ট দেয়। কোন ব্রাহ্মণ যদি কোন শুদ্রকে হত্যা করে তাহ’লে তার কোন শাস্তি হবে না। মাত্র কিছু কাফফারা দেয়া ছাড়া। কিন্তু কোন শুদ্র যদি কোন ব্রাহ্মণকে মারধর করে তাহ’লে সে শুদ্রের হাত-পা কেটে ফেলতে হবে। কেউ যদি ব্রাহ্মণের পাশে গিয়ে বসে, তাহ’লে তার উরুতে আগুনের শেক দিতে হবে এবং দেশ থেকে বিতাড়ন করতে হবে। শুদ্রদের জন্য ধর্মীয় কোন শাস্ত্র অধ্যয়ন করা বৈধ নয়।[4] শ্রেণীগত ও জাতিগত মর্যাদার বৈষম্য কত যে মারাত্মক ছিল তা প্রাচীন হিন্দু ধর্মীয় পুস্তকের এ উক্তিগুলো পড়লেই বুঝা যায়। একইভাবে অতীতে ইহুদী, খৃষ্টান, বৌদ্ধদের মধ্যে দেখা যায় জাতিগত ও মর্যাদাগত চরম বৈষম্য।

তদ্রূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অনেক অঙ্গরাজ্য রয়েছে যেখানে স্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গের বিবাহ অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। এমনকি এরূপ বিবাহের পক্ষে যদি কেউ উৎসাহ দেয়, কোন উৎসাহব্যঞ্জক কথা ছাপিয়ে প্রচার করে, সেটা একটা অপরাধ বলে গণ্য হয়। আর সে অপরাধের শাস্তিস্বরূপ অনুর্ধ্ব পাঁচশত ডলার জরিমানা কিংবা অনুর্ধ্ব ছয় মাসের কারাদন্ড অথবা উভয় ধরনের শাস্তি হ’তে পারে।[5] যে আমেরিকা ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেখানে ১৯৫৭ সালের পূর্বে কৃষ্ণাঙ্গদের কোন ভোটাধিকার ছিল না।

অক্সফাম-এর তথ্যানুযায়ী এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। অথচ বিশ্বে প্রতি চারজন ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে একজন ভারতীয়। অধিক জনসংখ্যার কারণে বিশ্বে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের শিশুদের মধ্যে ৪২ ভাগই ভারতে। দেশটির ৩১ ভাগ শিশুই অপুষ্টির শিকার।[6] অথচ বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের বসবাস এখন ভারতে।

কথিত গণতন্ত্রকামী ও বিশ্বশান্তিতে নোবেল বিজয়ী পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মার অবিসংবাদিত নেত্রী (?) বলে পরিচিত অং সান সূচী রোহিঙ্গাদের উপর (সংখ্যালঘু মুসলমান বলে) জাতিগত হত্যা, নিপীড়ন, দেশ থেকে বের করে দেয়ার যে অমানবিক বর্বরতা দেখাচ্ছে, তা অবর্ণনীয়। এ কারণে জাতিসংঘ মিয়ানমারের প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে বিশ্বের সবচেয়ে হয়রানির শিকার সংখ্যালঘু হিসাবে বর্ণনা করেছে।[7]

তদ্রূপ দক্ষিণ আফ্রিকা, উত্তর আয়ারল্যান্ড, ভারত চীন প্রভৃতি দেশে বর্ণ বৈষম্য শ্রেণীগত সংঘাতের কথা জানা যায়। কিন্তু ইসলাম এর ঘোর বিরোধী এবং মানুষের জন্মগত মর্যাদা, স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সোচ্চার ও আপোষহীন ভূমিকা রেখে চলেছে প্রায় ১৫’শ বছর ধরে। অতএব আমরা দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি যে, জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের ১নং অনুচ্ছেদটি এক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ বিধায় এটি অচল বলে প্রতীয়মান হয়। বরং মানুষের জন্মগত মর্যাদা, স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার সকল ব্যবস্থাই ইসলামে সংরক্ষিত রয়েছে।

মূল লেখা: মানবাধিকার ও ইসলাম

– শামসুল আলম

 


* শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।

[1]. Dr. Borhan Uddin Khan. Fifty years of the Universal Declaration of Human Rights. IDHRB, Ministry of Law, Jastice and Parliamentary Affairs, Dhaka 1998), p. 158.

[2]. যাদুল মা‘আদ ৩/৩৫৯; আল-বিদায়াহ ৪/৩০১; ইবনে হিশাম ২/৪১২।

[3]. মুসনাদে আহমাদ হা/২৪২০০৪; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০০।

[4]. মনুশাস্ত্র ৮ম, ৯ম, ১০ম অধ্যায়; ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা, (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), ৪৬ বর্ষ ১ম সংখ্যা, জুলাই সেপ্টেম্বর ২০০৬, পৃঃ ৯৯-১০০।

[5]. মাওলানা আব্দুর রহীম, ইসলাম ও মানবাধিকার, (ঢাকা: ই.ফা.বা.), পৃঃ ১৪৩।

[6]. মাসিক আত-তাহরীক, জুলাই ’১১, পৃঃ ৪৪

[7]. দৈনিক প্রথম আলো, ২৬ জুলাই ’১২, পৃঃ ১০।

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button