বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রাণী নয়, গোশতের যোগান দেবে গবেষণাগার!

প্রাণীজ আমিষ পেতে এখন আর পশু-প্রাণীর গোশতের ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। কেননা গবেষণাগারে প্রাণীদেহের কোষ থেকে শতভাগ টাটকা গোশত তৈরীর পদ্ধতি উদ্ভাবন করে ফেলেছেন গবেষকগণ। সানফ্রান্সিসকোর খাবার প্রযুক্তি ঘর ‘মেম্ফিস মিট’ এই বৈপ্লবিক পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। কোষ প্রকৌশলবিদ্যা কাজে লাগিয়ে তারা বের করেছেন প্রাণীদেহের বাইরে গোশত তৈরীর কৌশল। গরু, মুরগী কিংবা হাঁসের গোশত উৎপাদনে তাদের পশুপাখি পালতে হবে না। বরং গবেষণার মাধ্যমে তৈরী হবে স্বাদে ও গন্ধে অবিকল প্রাণীদেহের গোশত। প্রাণীকুল উজাড় না করেই মানুষের গোশতের চাহিদা মেটানোই এই প্রযুক্তি বৈপ্লবিক অবদান রাখবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। প্রযুক্তির বদৌলতে গবেষণাগারে উৎপাদিত এই গোশত অদূর ভবিষ্যতে বাজারজাত করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রাণীদেহ থেকে প্রাপ্ত গোশতে প্রচুর ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে। কিন্তু এই গোশত প্রায় শতভাগ ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। বিল গেটস ও ব্রানসনের মতো ব্যক্তিতব ছাড়াও এই গবেষণায় অর্থ লগ্নি করেছে বিশ্বের অন্যতম বড় কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কারগিল ইনকরপোরেশন। একজন বিনিয়োগকারীর ভাষ্য, ‘আমি বিশ্বাস করি, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আমাদের আর প্রাণী হত্যার দরকার হবে না। সব ধরনের  গোশত ‘উদ্ভিজ্জ’ পদ্ধতিতে তৈরী করা হবে। যেটার স্বাদ অবিকল একই রকম থাকবে এবং তা হবে স্বাস্থ্যকর।

[আল্লাহ চাইলে এটা হবে। কারণ তিনি সকল ক্ষমতার মালিক। তিনি যখন কিছু চান তখন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সমূহ করে দেন (স.স.)]

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button