সমাজ/সংস্কৃতি/সভ্যতা

মঙ্গল শোভাযাত্রার অমঙ্গল ঠিকানা

২০১৭ সালে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাধ্যতামূলকভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বর্ষবরণের জন্য রয়েছে সরকারী ছুটি এবং ২০১৬ সাল থেকে চালু হয়েছে বৈশাখী ভাতা। প্রশ্ন জাগে, মুসলমানের দেশে হঠাৎ এসব হিন্দুয়ানী প্রথা নিয়ে এত মাতামাতি কেন? পার্শ্ববর্তী দেশেও তো এনিয়ে এত হুজুগ দেখা যায় না?

এদেশের জনগণের উপর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? তাতে কি দেশে নিশ্চিতভাবেই মঙ্গল আসবে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছেন? কে সেই নিশ্চয়তা দিল? তাহ’লে কি কোন মানুষ মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক? এ বিশ্বাস নিয়েই কি প্রশাসন এ ব্যাপারে এমন কঠোর হয়েছে? নইলে হঠাৎ সংস্কৃতি মন্ত্রী কেন বলছেন যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। এটি সাংস্কৃতিক বিষয়। তিনি বলেছেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ একটি অন্ধকার ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই’। তাহ’লে সেই অন্ধকার ও অপসংস্কৃতিটা কি? যার বিরুদ্ধে সবাইকে তিনি লড়াইয়ের আহবান জানিয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই শব্দটিতে মঙ্গল আছে বলেই কি এটা হিন্দু হয়ে গেল? তাহ’লে মঙ্গলবারটাও কি হিন্দুবার হয়ে গেল? তিনি বলেছেন, অনেক মুসলিম দেশ আছে, কাবা শরীফ তাওয়াফ করার পর খুশীতে তারা উলুধ্বনি দেয়। তাহ’লে কি সেটাকে হিন্দুয়ানী বলবেন’? এসবের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াতে তিনি নিষেধ করেছেন (১২ই এপ্রিল১৭ বুধবার)

দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহীদের এইসব মন্তব্যে আমরা বিস্মিত। ইতিপূর্বে ২০১৪ সালে একজন মন্ত্রী হজ্জের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে চাকুরী হারিয়েছেন। এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কাবাগৃহে উলুধ্বনি দেওয়ার মত একটা ডাহা নতুন কথা শুনালেন। আমরা সকলের হেদায়াত কামনা করি এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহর নিকট দেশের কল্যাণ প্রার্থনা করি।

এদেশে ‘মঙ্গলবার’ স্রেফ একটি বার হিসাবে গণনা করা হয়। এক্ষণে এদিনটিকে যদি কেউ মঙ্গলময় ধারণা করেন এবং অন্য দিনকে অমঙ্গলের মনে করেন, তবে তিনি আর মুসলমান থাকবেন না। কেননা মুসলমানের নিকট মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক আল্লাহ। আর এই বিশ্বাসটাই আমাদের সংস্কৃতির উৎস। আমরা দৈনিক আল্লাহর নিকটে দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল চেয়ে দো‘আ করি এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাই।

ইসলামে শব্দ উচ্চারণেই সবকিছু। কারণ মুখে কালেমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ ও অস্বীকারের মাধ্যমেই মুসলিম ও কাফের নির্ধারিত হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা ‘মঙ্গল’ নামের কারণে নয়, বরং যে আক্বীদা-বিশ্বাস নিয়ে এই যাত্রা হচ্ছে তার বিরোধিতা, যা তাওহীদ বিশ্বাসের সাথে পুরাপুরি সাংঘর্ষিক। আমরা আগে মুসলমান, পরে বাঙালী। এদেশের সবাই বাংলাভাষী হ’লেও বিশ্বাস ও সংস্কৃতিতে আমরা মুসলিম ও কাফের দুইভাগে বিভক্ত। যেমন কুরায়েশরা সবাই আরবীভাষী হ’লেও মুসলিম ও কাফের দুইভাগে বিভক্ত ছিলেন। মুসলিমরা তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী এবং কুরআন ও হাদীছ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন। অমুসলিমরা শিরকে বিশ্বাসী ও সে অনুযায়ী তাদের জীবন পরিচালনা করেন। আর শিরকের পাপ ক্ষমার অযোগ্য। ধর্ম ও সংস্কৃতি কখনই পৃথক নয়। বরং ধর্মই সংস্কৃতির মূল উৎস। আর ধর্মের ভিত্তিতেই দুই বাংলা ভাগ হয়েছে। ইসলামকে বাদ দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাদ দিতে হবে এবং পৌত্তলিক ভারতের সাথে মিশে গিয়ে স্বাধীনতা বিলীন করে দিতে হবে।

আমরা হতবাক হই, যখন দেখি মুসলমানদের দেশে মুসলমানদের নেতারা বিনা দ্বিধায় দেশের জনগণের আক্বীদা-বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক চেতনার বিরুদ্ধে এরূপ নগ্নভাবে হামলা করতে পারেন। ঢাবি ভাইস চ্যান্সেলর এটার জন্য ইউনেস্কোর দোহাই দিয়েছেন এবং এজন্য এ বছর নববর্ষ উদযাপনের বৈশ্বিক গুরুত্বের কথা বলেছেন। অথচ সেটাও হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০শে নভেম্বর। যাদের আবেদনক্রমে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল বা অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করেছে। ১৯৮৬ সালে ‘চারুপীঠ’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মত নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। পরবর্তীতে কথিত স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল সমূহের ঐক্য এবং একই সঙ্গে শান্তির বিজয় ও অপশক্তির অবসান কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র প্রবর্তন হয়। যদিও সেই সময়কার বহুচর্চিত অপশক্তি জেনারেল এরশাদ এখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ‘বিশেষ দূত’ হিসাবে মহা সম্মানিত ব্যক্তি। এছাড়াও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে ১৯৬১ সালে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে ঢাকায় ‘ছায়ানট’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান জন্ম নিলেও ১৯৭২-এর আগ পর্যন্ত এর তেমন কোন কার্যক্রম ছিল না। পরবর্তীতে রমনার বটমূলে ১লা বৈশাখ নববর্ষ উদযাপন ছাড়াও তারা রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যু দিবস ২৫শে বৈশাখ ও ২২শে শ্রাবণ এবং শারদীয় দূর্গোৎসব ও বসন্তোৎসব গুরুত্বের সাথে পালন করে।

এতে বুঝা গেল যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ কোনকালেই বাংলাদেশের বা বাঙালীর ঐতিহ্য ছিল না। বরং এটা ছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ মাত্র। যাকে সংস্কৃতির লেবাস পরিয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম চালু করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা পুরোটাই হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ। কেননা হিন্দু ধর্ম মতে, অসুরকে দমন করে দেবী দুর্গা। আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় অসুর থেকে মঙ্গল কামনা করা হয়। তাদের মতে শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে। তাই হিন্দুরা অশুভ তাড়াতে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে তথা জন্মাষ্টমীতে প্রতিবছর সারাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। পশ্চিমবঙ্গের বরোদা আর্ট ইন্সটিটিউটের ছাত্র তরুণ ঘোষ ১৯৮৯ সালে এদেশে চারুকলা ইন্সটিটিউটের কাঁধে ভর করে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এটা চাপিয়ে দেয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বা পরবর্তী সময়ে চারুকলা থেকে বের হওয়া ছাড়া এর অন্য কোন উদাহরণ নেই। এখনও ধর্মনিরপেক্ষ ও কিছু গা ভাসানো লোক এবং রেডিও-টিভি ও পত্রিকার পৃষ্ঠা ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর জন্য তেমন কোন আবেগ নেই। আর আবেগ হ’লেই সেটা ইসলামে গ্রহণযোগ্য হবে, এমনটি নয়। বরং ইসলামবৈরীদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া সমূহের বদৌলতে হিন্দুদের বহুবিধ পূজা এখন এদেশে বাঙালী সংস্কৃতি বলে চালানো হচ্ছে। ‘বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠান সেসবেরই অন্যতম। এবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ক্যান্টিনে তেহারীতে গরুর গোশত থাকায় সেখানে ভাংচুর করা হয়েছে এবং এও জানানো হয়েছে যে, চারুকলা ক্যান্টিনে কখনোই গরুর গোশত রাখা হয় না। তাহ’লে আর বাকী রইল কি? বরং বলা চলে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘চারুকলা বিভাগ’ খোলাই হয়েছে মূর্তি সংস্কৃতি চালু করার জন্য। অথচ সেখানে ‘ইসলামী গবেষণা ফ্যাকাল্টি’ নেই।

হিন্দু পুরাণে বর্ণিত দেব-দেবীদের বিভিন্ন বাহনের মূর্তি সমূহ নিয়ে এই শোভাযাত্রা হয়ে থাকে। যেমন গণেশের বাহন ইঁদুর, কার্তিকের বাহন ময়ূর, সরস্বতীর বাহন হাঁস, লক্ষ্মীর বাহন বা মঙ্গলের প্রতীক হ’ল পেঁচা, বিষ্ণুর বাহন ঈগল, দুর্গার বাহন সিংহ-বাঘ, মৃত্যু দেবীর বাহন মহিষ, শিবের বাহন ক্ষ্যাপা ষাঁড় ইত্যাদি সবই হিন্দুদের বিভিন্ন বিশ্বাসেরই উপাত্ত। হিন্দুধর্মের প্রধান সৌর দেবতা হ’ল সূর্য। তাদের ওঁ শব্দ বা উলুধ্বনি তাদের মতে মহাচৈতন্য শক্তির জাগরণ ধ্বনি। যা বিভিন্ন মাঙ্গলিক কাজে উচ্চারণ করা হয়। অতএব কাবা শরীফে উলুধ্বনি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। ওটাতো ‘লাববায়েক আল্লাহুম্মা’ বলে তাওয়াফ করার স্থান। এছাড়া মুসলমান সর্বত্র ও সর্বাবস্থায় কেবল আল্লাহকে ডাকে। শোভাযাত্রায় বহনকৃত সকল মুখোশ ও মূর্তিই হিন্দুধর্মের বিভিন্ন বিশ্বাসের প্রতীক। পক্ষান্তরে ইসলামে ছবি-মূর্তি হারাম। এছাড়া প্রাচীনকালের ন্যায় শয়তানের উপাসনা কল্পনা করে রাক্ষস-খোক্কসের মুখোশ পরিধান করে সেগুলিকে খুশী করা হয়, যাতে শয়তান কোনো অমঙ্গল না ঘটায়। এই শোভাযাত্রায় এভাবে নতুন বছরে মঙ্গল কামনা করা হয়। সুতরাং এই পৌত্তলিক শোভাযাত্রা নিঃসন্দেহে মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদার বিরোধী। কেননা মুসলমানরা একমাত্র আল্লাহর কাছেই মঙ্গল কামনা করেন ও তাঁর কাছেই প্রার্থনা করেন। এর বিপরীত হ’ল শিরক। যার পাপ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না।

বৈশাখ নামটি এসেছে ‘বিশাখা’ নক্ষত্রের নাম থেকে। এই মাসে বিশাখা নক্ষত্রটি সূর্য্যের কাছাকাছি হয়। নববর্ষের দিন রবীন্দ্রনাথ যখন ‘এসো হে বৈশাখ’ বলে ডাকেন, তখন তিনি নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই বৈশাখের কাছে প্রার্থনা করেন। তাঁর বৈশাখী গানে বলা হয়েছে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’। কোন প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনষ্ক ব্যক্তি কি বিশ্বাস করতে পারেন যে, আগুনে স্নান বা গোসল করলে তথা দাহ করলে কেউ পবিত্র হয়ে যান? হ্যাঁ, হিন্দু ধর্মের ভাই-বোনেরা মনে করেন তাদের মৃতকে আগুনে পুড়িয়ে পবিত্র করা হয়। তারপর তারা স্বর্গবাসী হন। কিন্তু কোন মুসলিমের জন্য এরূপ বিশ্বাসের কোন সুযোগ নেই। কেননা ইসলাম আমাদের ‘শুচি’ হ’তে শিখিয়েছে ওযূ-গোসলের মাধ্যমে, আগুনে পুড়ে নয়।

আজ মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও মঙ্গলসঙ্গীত ইত্যাদি হিন্দুদের পৌত্তলিক ধর্মাচারকে তথাকথিত হাযার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি ও সার্বজনীনতার মিথ্যা দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার ওপর চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপক অপচেষ্টা চলছে। যা ব্রাহ্মণ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের সুপরিকল্পিত চক্রান্তের ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অংশ মাত্র। আমরা এগুলি থেকে জাতিকে সাবধান করছি।

বলা হয়ে থাকে, এগুলি নাকি ‘হাযার বছরের সার্বজনীন বাঙালী সংস্কৃতি’। হাযার বছর বলতে হাযার হাযার বছর বুঝানো হয়। দুনিয়া এত এগিয়ে গেলেও এত পুরানো জিনিস কেন আমরা অাঁকড়ে আছি? যাতে স্রেফ ধারণা-কল্পনা ও অপচয় ছাড়া কিছুই নেই। অথচ ইসলাম মাত্র চৌদ্দশ’ বছর আগে এসেছে, যা আধুনিক বিজ্ঞানের উৎস, সেটা মানতে আপত্তি কেন? আর ‘সার্বজনীন’ অর্থ কি? এটা কি তাহ’লে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবারই সংস্কৃতি? অথচ আমরা জানি হিন্দুদের প্রধান চারটি দলের মধ্যে পরস্পরে হিংসার কারণে তাদের পৃথক পৃথক মন্দির রয়েছে। সেখানে অন্যেরা প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু যেসব মন্দিরে সব মত ও পথের হিন্দুরা পূজা দিতে পারে, সেগুলিকে বলা হয় ‘সার্বজনীন মন্দির’। অতএব ‘সার্বজনীন’ শব্দটি যেখানে হিন্দুদের কাছেই সার্বজনীন নয়, সেটাকে বাঙালীর হাযার বছরের সংস্কৃতি বলা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে হিন্দুদের মূর্তি ও মুখোশ মিছিল এবং অনুষ্ঠান সমূহকে ‘সার্বজনীন’ বলে মুসলমানদের মানতে বাধ্য করা কেমন ধরনের প্রগতিশীলতা?

বলা হচ্ছে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। তাহ’লে কি মুসলমানরা গিয়ে হিন্দুদের ‘দুর্গা পূজা’র উৎসবে যোগ দিবে? অন্যদিকে হিন্দুরা এসে কি ‘ঈদুল আযহা’র গরু কুরবানীর উৎসবে অংশগ্রহণ করবে? হাতির বাইরের দু’টি দাঁত থাকে। আর ভিতরে থাকে আসল দাঁত। যা দিয়ে সে চিবিয়ে খায়। এইসব উৎসববাদীরা আসলেই সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদীদের পদলেহী কি-না, সেটাই বিবেচ্য বিষয়। যারা সংস্কৃতির মুখোশে এদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রার অমঙ্গল ঠিকানা থেকে জাতি সাবধান!

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button