ইসলামিক প্রোগ্রাম

সরোবর ইফতার বিতরণ – ২০১৭

আমরা যখন প্রথম ইফতার প্রজেক্ট হাতে নিই, তখন প্রধান উপাদান ছিল খেজুর, মুড়ি এবং ছোলা। খেজুর এক জায়গা থেকে কিনলেও ছোলা এবং মুড়ি কেনা হয়েছিল বিভিন্ন এলাকা থেকে। কেনাকাটা শেষে একজন দায়িত্বশীলের কাছে আমরা ওই মাসজিদ বা মাদ্রাসার মাথাপিছু ইফতার পৌঁছে দিতাম।

রমাদান শেষে আমরা যখন খোঁজ নিলাম তখন শুনলাম অনেকখানেই ছোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কেন? ছোলা সিদ্ধ করার মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি এবং রান্না করার মশলা অনেক প্রতিষ্ঠানের ছিল না।
মুড়ির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিল। এক মাসের মুড়ি এক সাথে কেনা এবং পরিবহন করা বিশাল ঝামেলার। রাখাটাও সমস্যার – জায়গা লাগে অনেক। অনেক মাদ্রাসাতেই দেখা যায় বাচ্চাদের থাকার জায়গা হয় না, মুড়ি রাখবে কোথায়? আর যত ভালোভাবেই রাখা হোক না কেন – দেখা যাচ্ছিল মুড়ি মিইয়ে গেছে এক সপ্তাহ বাদেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুড়ি না কিনে মুড়ির টাকাটা দিয়ে এসেছিলাম। বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়া গেল – সেই টাকার মুড়ি আর রোযাদারেরা খেতে পারেনি।

এরপরের বছর থেকে আমরা তাই পরিকল্পনা করলাম ছোলার বদলে প্রোটিনের উৎস হিসেবে দুধ যাবে আর মুড়ির বিকল্প হিসেবে চিড়া। আর, সব কিছু একসাথে না করে আমরা মানুষপ্রতি একটি ছোট প্যাকেট বানিয়ে ফেললাম – আধ কেজি খেজুর, আধ কেজি পাউডার দুধ, এক কেজি চিনি, এক কেজি চিড়া। দাম পড়ল ৪৫০ টাকা। এই প্যাকেজ সরাসরি তুলে দিলাম মানুষদের হাতে হাতে। যার খাবার তার।

এবার প্রজেক্টের ফিডব্যাক নিতে গিয়ে আমরা ভালোই প্রত্যুত্তর পেলাম। শুধু শুনলাম, খেজুর আর চিড়াতে মাসের শেষে শর্ট পড়ে যায়। তাহলে তো মুশকিল। ৩০ দিনের ইফতার দেওয়ার কথা ছিল – একদিন কম হলেও তো কথার বরখেলাফ হয়। এবার তাই আমরা খেজুর আধ কেজির জায়গায় দিচ্ছি ১ কেজি, আর ১ কেজি চিড়ার জায়গায় দেড় কেজি। দাম পড়বে ৫৫০ টাকা প্রতি প্যাকেটের। তার মানে প্রতিদিনের ইফতারের খরচ পড়ছে ১৮. ৩ টাকার সামান্য বেশি। এই টাকাতে কী পাওয়া যাচ্ছে?

১। তিনটি নাগাল খেজুর (বড় আকৃতির – আরব আমিরাত থেকে আনা)
২। এক গ্লাস দুধ ( ১৬.৬ গ্রাম গুড়া দুধ এবং ৩৩.২ গ্রাম চিনি দিয়ে বানানো)
৩। ৫০ গ্রাম চিড়া।

আমরা এবার প্যাকেজ বানিয়ে সেটা দিয়ে ইফতার করে দেখেছি যে খাবারটাতে পেট ভরে, আলহামদুলিল্লাহ। শুধু পেটই ভরে এমন না, অপুষ্টিতে ভোগা মানুষদের জন্য এই প্যাকেজটা সুষম পুষ্টির যোগান দেবে ইন শা আল্লাহ।

৫৫০ টাকার এই ইফতার প্যাকেজ দিয়ে আপনি নিজে ইফতার করতে পারেন, আপনার চারপাশের গরীব মানুষদের ইফতার করাতে পারেন। আর যদি আপনি চান আমরা আপনার হয়ে প্রকৃত অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছে দিই তাহলে যত প্যাকেট কিনবেন তার সমপরিমাণ টাকা জমা দিতে পারেন আমাদের ব্যাংক একাউন্টে। পুরো রমাদান জুড়েই যাতে একজন সায়িম আমাদের ইফতারগুলো খেতে পারেন সেই লক্ষ্যে ২২ থেকে ২৫ শে মে অর্থাৎ ১ রমাদানের আগেই আমাদের ইফতার বিতরণ আমরা শেষ করবো ইনশাল্লাহ।

একাউন্ট নামঃ সরোবর
কারেন্ট একাউন্ট নম্বরঃ ৩৫৫৬ ৯০১ ০০১১২৭
পুবালি ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামি ব্যাংকিং উইনডো।
প্রিনসিপাল ব্র্যাঞ্চ, ঢাকা।

এছাড়াও ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে সরোবরের মার্চেন্ট নম্বরে পেমেন্ট অপশন থেকে প্যাকেজের দাম পরিশোধ করতে পারেন – ০১৮৬ ১০০ ৫৫ ৫৫ এই নম্বরে।

পোস্ট লিংক: https:/web.facebook.com/shorobor.bd/photos/a.458045457664960.1073741826.168437956625713/956083234527844/?type=3&comment_id=956281594508008&ref=notif&notif_t=comment_mention&notif_id=1493834384432513

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button