অর্থনীতি/ব্যবসা-বাণিজ্য

ইসলামী অর্থনীতি অধ্যয়নের পথে আমার যাত্রা

বোর্ডে ঝুলানো গ্রেডশীটে নিজের গ্রেডের দিকে এক ঝলক তাকিয়েই দৃষ্টি নামিয়ে নিলো মেয়েটি। ইতোমধ্যেই গাল তার রক্তিম আভায় ছেয়ে গেছে। সে C+ পেয়েছে ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট কোর্সে! এক রাশ হতাশা আর অপ্রাপ্তির অনুভূতি তাকে আচ্ছন্ন করলো। আজীবন শীর্ষ স্থান অর্জন করে এসেছে পড়াশোনায়, নিজেকে এত নিচে নামাতে কিছুতেই মন সায় দিচ্ছিলো না। ক্লাসে কোনো মনোযোগ না দিলে কিংবা পরীক্ষার জন্য কোনো পড়াশোনা না করলে এমন ফলাফলই তো স্বাভাবিক-মনকে সে যতই বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, তবুও মন যে মানে না!

“একটা মেয়ে কেন অর্থনীতি অথবা ফাইনান্স পড়বে? এটা তার জন্যে উপযুক্ত নয়। সে হয় পড়বে গার্হস্থ্য অর্থনীতি, তাফসীর, হাদীস ইত্যাদি। খুব বেশী হলে সে হয়ত ডাক্তার হতে পারে যেহেতু আজকাল মেয়েদের পর্দা রক্ষার জন্যও মহিলা ডাক্তারের প্রয়োজন।”

আজকাল সে যাদের সাথে মেশে, তারা প্রায়ই উপর্যুক্ত মন্তব্যটা করে থাকেন। এই কথাগুলো শতবার না হলেও অন্তত ৫০বার তো সে শুনেছেই! বারবার শুনতে শুনতে একসময় সে এটা বিশ্বাসও করা শুরু করেছে। এছাড়াও আরও একটি বহুল উল্লেখিত যুক্তি ছিলো যে- একজন মুসলিম হয়ে কেন সুদভিত্তিক সিস্টেম নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে যেখানে সুদের সাথে লেনদেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবার শামিল? তাই ইকোনমিক্স, ফাইনান্স ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা মুসলিমদের এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। কথাগুলোর মাঝে যুক্তি ছিলো, তাই ফেলে দিতে পারতো না। এসব কথা শুনতে শুনতে খুব শীঘ্রই মেয়েটি বিবিএ নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার সমস্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেললো আর সেটার প্রভাব পড়তে থাকলো তার গ্রেডে … কোর্সগুলোতে সে উত্তীর্ণ হতে থাকলো কেবল পাস মার্ক্স নিয়ে।

“এখন আমি আমার জীবন নিয়ে কী করবো?” – প্রায়ই নিজেকে এই প্রশ্ন করতো মেয়েটা। “আমিতো মাত্রই ইসলামকে উপলদ্ধি করা শুরু করেছি, এর আগে তো আমি যে মুসলিম, এটা ছিলো শুধুই জন্মসূত্রে লাভ করা একটা পরিচয়! আমার পরিবার তো আমার এই পরিবর্তনটা একেবারেই ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না। তাদের ধারণা আমি যা করছি তার সবই স্রেফ বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই না! এমনিতেই বাসার সবাই আমার উপর যারপরনাই বিরক্ত। তার উপর যদি শোনে যে আমি পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চাই, আমাকে স্রেফ পাগল ভাববে। ত্যাজ্য ঘোষণা করে বাসার থেকে বের করে দেয়ারও সমূহ সম্ভাবনা আছে! দেশের শ্রেষ্ঠ বিজনেস স্কুলে পড়ার এই সুযোগের জন্য যেখানে শত শত মানুষ হাহাকার করছে, যেখান থেকে পাস করতে পারলেই কর্পোরেট জগতে লক্ষ টাকার চাকরি নিশ্চিত প্রায়, সেখানে পড়ার সুযোগ পেয়েও সেটা কেউ ছেড়ে দিতে চাচ্ছে এটা শুনে তাকে পাগল ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়?

এভাবে পড়া ছেড়ে দিয়ে ‘মেয়েদের জন্য উপযোগী’ কিছু না পড়তে পারার আফসোস, অন্যদিকে ক্রমাগত খারাপ রেজাল্ট করার জন্য হতাশা- এমন দোদুল্যমান অবস্থায় মেয়েটার দিন কাটছিলো। সে এক বিশ্রী অবস্থা। এক দ্বীনী বোনের কাছে প্রায়ই এটা নিয়ে হা হুতাশ করতো সে। কথার এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই একদিন উনি বলে উঠলেন যে “তুমি কেন ইসলামিক অর্থনীতি পড়ছো না? এই ফিল্ডে তো যোগ্য মুসলিম একদমই হাতে গোণা, কিন্তু দক্ষ জনশক্তির খুবই দরকার। তুমি যদি এই দিকে স্পেশালাইজেশন করতে পারো তাহলে তোমার বর্তমান পড়াশুনা স্বচ্ছন্দে চালিয়ে যেতে পারবে। তোমার পরিবারও এতে খুশি থাকবে আর তুমিও তোমার পড়াশুনাকে দ্বীনের খেদমতে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ব্যয় করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।” কথাগুলো মেয়েটা যেন নিজের কানে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। সে পাল্টা প্রশ্ন করলো, “আপনি কি আসলেই মনে করেন যে একটা মেয়ে প্রচলিত অর্থনীতি পড়তে পারবে যার মূল বিষয়ই হচ্ছে ‘সুদ’?” প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন, “তুমি তো এই সুদভিত্তিক সিস্টেমে অবদান রাখার জন্য এটা পড়বে না। বরং পড়বে ইসলামী অর্থনীতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য। তুমি যদি বর্তমান ব্যবস্থার খুঁটিনাটি না-ই জানো, তবে এর সীমাবদ্ধতাগুলো মানুষের সামনে উপস্থাপন করবে কীভাবে? বরং তুমি যদি আল্লাহ তা’আলার দেওয়া সীমারেখা মেনে এই ফিল্ডে পড়াশোনা চালিয়ে যাও, তাহলে তোমার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে মুসলিমদের সাথে বৃহত্তর মানবতার কল্যাণেও অবদান রাখতে পারবে। যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন (সুদ) তা তো সমস্ত মানবজাতির জন্যই ক্ষতিকর, তাই না? তুমি যদি মুসলিমদের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করো, তাহলে দেখবে আমাদের একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে যেখানে নারী স্কলারদের অসমান্য অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমরা এই পরম্পরা এখন একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি। আমরা আসলে এখন অনেক অলস হয়ে গেছি। একজন মুসলিম নারী হিসেবে আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব নিঃসন্দেহে একজন ভালো মা এবং স্ত্রী হওয়া। কিন্তু সেসব দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেও উম্মাহর জন্য বৃহত্তর পরিসরে অনেক কিছু করা সম্ভব স্রেফ আমরা যদি আমাদের সময়টাকে ঠিক মতো কাজে লাগাই। একটু চিন্তা করলেই দেখবো আসলে হাতে অনেক সময়ই খালি পড়ে থাকে। দরকার শুধু সঠিক পরিকল্পনা, অনুকূল পরিবেশ আর গঠনমূলক কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।”

ওই বোনের সাথে এই একটি কথোপকথনই যথেষ্ট ছিল আমার জীবনের গতি-প্রকৃতি আমূল বদলে দেওয়ার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিই ইসলামিক অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করার এবং এর মাধ্যমেই আমার জীবনের এই চমকপ্রদ অধ্যায়ের শুভ সূচনা হয় …

উপরের গল্পটি আমার নিজের জীবনের গল্প, আমার ইসলামী অর্থনীতির পথে পথ চলার পিছনের ইতিহাস। তবে এটা শুধু আমার একার জীবনের গল্প নয়, বরং সমসাময়িক অনেক মেয়েদেরই জীবনের কাহিনী। পার্থক্য হচ্ছে, সবাই হয়ত আমার মতো সৌভাগ্যবান নয় যারা এই গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। আমি এখন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে প্রাথমিকভাবে আমাকে যে ধারণা দেওয়া হয়েছে যে মেয়েরা কেবল কিছু সীমিতসংখ্যক ফিল্ডেই ভূমিকা রাখতে পারবে, তা ছিলো ভুল। কারণ জ্ঞানের প্রতিটা শাখা দিয়েই উম্মাহর কল্যাণে অবদান রাখা সম্ভব। আমার এক পরিচিত বোন আছেন যিনি এখন স্থাপত্য বিদ্যায় পিএইচডি করছেন যার রিসার্চের টপিক হচ্ছে বাচ্চাদের স্কুল, খেলনা এগুলোর ডিজাইন এমনভাবে করা যাতে শিশুদের শারীরিক পরিশ্রম অনেক বেশী হয় যা ছোট বয়সেই অনাকাঙ্ক্ষিত স্থুলতা এড়াতে মারাত্মক উপকারী। শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! আরো কত আইডিয়ার কথা যে আমার মাথায় আসে যা খুব সহজেই মেয়েরা ঘরে বসে করতে পারে। আজকের তথ্য প্রযুক্তির যুগে এভাবে কাজ করা তো অনেক সহজ আলহামদুলিল্লাহ।

বিচিত্রময় ফিল্ডে মেয়েদের কাজের সুযোগ করে দেওয়াটা আজকের সময়ে আরো বেশি জরুরী, কারণ আজকাল সবাই ছোটবেলা থেকে পরিবারের মাধ্যমে ইসলামের সঠিক জ্ঞান পায় না। জীবনের অনেকটা পথ পার করে আসার পর আমার মতো যারা ইসলামকে আবিষ্কার করেন, তাঁদের জন্য এভাবে দরজাগুলো বন্ধ করে দিলে অনেক সময়ই ফিল্ড বদলিয়ে অন্য ফিল্ডে অবদান রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তখন চরম মেধাবী এই মেয়েগুলোর মেধা ও যোগ্যতা অনেকাংশেই সুপ্ত, অবিকশিত রয়ে যায়, উম্মাহও হয় বঞ্চিত।

আমি যখন সিদ্ধান্ত নেই যে আমার বর্তমান পড়াশোনাকে ভিত্তি করে পরবর্তীতে আমি ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে পড়বো, তখনই আমি ইন্টারনেটে এটা নিয়ে পড়াশোনা করা শুরু করে দেই। তখন আমি ব্যবসা প্রশাসনে ব্যাচেলর করছি, সাথে ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটিতে (IOU) ইসলামী স্টাডিজ ২য় ব্যাচেলর শুরু করেছি। ফলে ইন্টারনেট ভিত্তিক পড়াশোনার যে চ্যালেঞ্জ, অর্থাৎ তথ্যের বিভ্রান্তিকর এবং সঠিক উৎসের মাঝে পার্থক্য করা, তা আমার জন্য বেশ সহজ ছিলো। তবে নিজ উদ্যোগে ইসলামিক অর্থনীতি নিয়ে প্রাথমিক যে জ্ঞান আমি অর্জন করেছিলাম, তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলাম না। একাধিক অমীমাংসিত বিষয়ে নানা প্রশ্ন আমাকে অস্থির করে তুলেছিলো। ফলে আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দরবারে ক্রমাগত দুআ করতে থাকি।

আয়াতুল কুরসির একটা অংশ আমাকে খুব আলোড়িত করতো-

“তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন ততটুকু ছাড়া।”

আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম যে আমি কিছুই শিখতে পারবো না যদি আল্লাহ তা’আলা না চান এবং আল্লাহ একটি আন্তরিক হৃদয়কে কখনোই ফিরিয়ে দেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার অশেষ রহমত স্বরূপ আমার বিয়ে হয় মালয়শিয়াতে, যা হচ্ছে ইসলামিক অর্থনীতি অধ্যয়নের কেন্দ্রস্থল! জীবন সঙ্গীর অসামান্য সহযোগিতায় আমি আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় (IIUM) থেকে ইসলামী অর্থনীতির উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে সক্ষম হই। সেখানে আমি প্রফেসর আহামেদ কামীল মাইদিন মীরার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পড়াশুনা করার সুযোগ পাই যিনি হচ্ছেন সমকালীন মুদ্রা অর্থনীতিতে ইসলামী ধারা প্রচলনের ক্ষেত্রে একজন প্রভাবশালী বক্তিত্ব। আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার সকল প্রশ্নের সদুত্তর পেয়েছি তাঁর কাছে পড়তে গিয়ে।

তবে আমার যাত্রাটি মোটেও সহজ ছিল না। কারণ আমাকে একইসাথে তিনটি প্রজেক্টে কাজ করতে হয়েছিলো পড়ার খরচ যোগাড় করার জন্য। সেই সময়ে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কোনো বৃত্তির সুযোগ ছিলো না। কাজ এবং পড়ার চাপে যখন সবকিছু এলোমেলো লাগতো তখন সুরা আল-ইমরান এর ১৯৫ নং আয়াতটি আমাকে খুব আশা জাগাতো-

“অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের দুআ (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোনো পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি না, তা সে পুরুষ হোক কিংবা স্ত্রীলোক।”

বর্তমানে আমি প্রচলিত অর্থনীতিতে পিএইচডি করছি, সাথে ইসলামিক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত আছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে আমার পেশার মাধ্যমে আমি শত শত মানুষের কাছে যা শিখেছি সেই অমূল্য জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারছি ঘরে বসেই! আর সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হচ্ছে এটা আমি আমার নিজস্ব সময় ও সুবিধা মতো করতে পারি, তাই পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালনে ছাড় দিতে হয় না বললেই চলে।

আমি গর্বিত এমন একটি সুযোগ পেয়ে যেখানে আমি বর্তমানের অসুস্থ সুদভিত্তিক অর্থনীতির সীমাবদ্ধতাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি। কীভাবে হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন ও ব্যয় করা যায় তথা ইসলামের আলোকে সম্পদ ব্যবস্থাপনাIOPর ব্যাপারে মানুষকে সাহায্য করি।

আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক মুসলিম নারীরই তার নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে উম্মাহর সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসা উচিত। কেবল মাত্র একজন শিক্ষিত এবং আত্মবিশ্বাসী মা-ই পারেন এমন এক মুসলিম জাতিকে গড়ে তুলতে যারা উম্মাহকে বর্তমানের লাঞ্চনাদায়ক অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারবে। আমরা নিজেরা যদি পরিবর্তনের রূপকার না হতে পারি, তাহলে বড় বড় কথা বলা আসলে সাজে না। কথার চেয়ে কাজে মনোনিবেশ করা এখন আমাদের জন্য বেশি দরকার।

আমি স্বপ্ন দেখি সেই দিনের যেদিন প্রত্যেকটি নারীরই স্পষ্ট জ্ঞান থাকবে বর্তমান মুদ্রানীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে। তারা জানবে কোন লেনদেন রিবা মুক্ত এবং কোনটি নয়, সেটার ভিত্তিতে তারা দূরদর্শী অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে এবং নিজের পরিবারকেও এই ব্যাপারে সাহায্য করবে। এই স্বপ্ন পূরণের পথে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই। কেবলমাত্র নারী বলে মানুষকে সুদ থেকে মুক্ত রাখার যে যুদ্ধ তাতে আমি দর্শক হয়ে থাকতে চাই না, যোদ্ধা হয়ে অবদান রাখতে চাই।


উৎস: ইনসাইট ম্যাগাজিন (মূল আর্টিকেল লিংক)

অনুবাদ: তাসনিম স্নিগ্ধা, মুসলিম মিডিয়া প্রতিনিধি

সম্পাদনা: হামিদা মুবাশ্বেরা

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

মন্তব্য করুন

Back to top button