বিবিধ বই

বই: প্রবৃত্তির অনুসরণ

প্রবৃত্তির অনুসরণ ভাল কাজ থেকে বাধা প্রদানকারী এবং বুদ্ধি-বিবেক নাশকারী। কেননা তা অসৎ চরিত্রের জন্ম দেয় এবং নানারকম মন্দ ও গর্হিত কাজ প্রকাশ করে। মানবতার পর্দা তাতে ছিদ্র হয়ে যায় এবং অসৎ কাজ ও পাপাচারের রাস্তা খুলে যায়। এই প্রবৃত্তি ফিৎনা-ফাসাদের বাহন। আর দুনিয়া হ’ল পরীক্ষা গৃহ। সুতরাং হে পাঠক! আপনি প্রবৃত্তির পথ ছেড়ে দিন, শান্তিতে থাকবেন। দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ-ভালবাসা বাদ দিন, সাফল্য লাভ করবেন। দুনিয়া তার সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর জিনিসপত্র দ্বারা যেন আপনাকে কখনোই ফিৎনায় ফেলতে না পারে এবং খেল-তামাশা ও নিরর্থক কাজ-কর্মের প্রতি আসক্তি তৈরী করে আপনার প্রবৃত্তি যেন আপনাকে প্রতারিত করতে না পারে। কারণ খেল-তামাশার এই সময় তো এক সময় শেষ হয়ে যাবে; যুগের পরিুমায় আমরা যা কিছু উপভোগ করেছি মরণের ফলে একদিন তার সবই ফিরিয়ে দিতে হবে। কেবল প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে আপনি যেসব হারাম কাজে লিপ্ত হয়েছেন এবং যে গোনাহ সঞ্চয় করেছেন তাই আপনার জন্য থেকে যাবে।

প্রবৃত্তি মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই যে কোন শত্রুর তুলনায় প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে কঠিনভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া প্রতিটি মানুষের উপর ফরয। আবু  হাযেম (রহঃ) বলেছেন, ‘তোমার শত্রুর বিরুদ্ধে তুমি যতটা না লড়াই কর, তার থেকেও ঢের বেশী লড়াই তুমি তোমার প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে কর’ [আবু নু‘আইম ইস্পাহানী, হিলয়াতুল আউলিয়া ৩/২৩১]।

এই প্রবৃত্তিই সকল ফিৎনা-ফাসাদের মূল এবং সকল বিপদ-আপদের কারণ। সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেছেন, ‘হে মন! তুমি তওবা করো, কেননা মরণ তো অতি নিকটে। আর প্রবৃত্তির বাধ্য হবে না, কেননা প্রবৃত্তি তো সব সময় ফিৎনা সৃষ্টিকারী’। খেয়াল-খুশীর অবস্থা যখন এই, তখন তার সম্পর্কে আলোচনা করা আবশ্যক, যাতে আমরা এই ভয়াবহ রোগ থেকে দূরে থাকতে পারি এবং তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে আত্মরক্ষা করতে পারি।

আলোচ্য গ্রন্থে প্রবৃত্তির সংজ্ঞা, ক্ষতি, তার বিরোধিতার উপকারিতা, তার অনুসরণের কারণ বা উপকরণ প্রতিকারের উপায় এবং প্রশংসনীয় প্রবৃত্তি ও নিন্দনীয় প্রবৃত্তির পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

pdfProbittir_Onushoron.pdf 477 KB
Download

ইসলামিক ইমেইল নিউজলেটার
নতুন পোস্ট প্রকাশিত হলে সরাসরি আপনার ই-মেইল ইনবক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।
icon

১টি মন্তব্য

  1. আসসালামুআলাইকুম,এই ওয়েবসাইটের মডারেটর এবং এডমিনদের প্রতি আমার শুভেচ্ছা,সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সত্য প্রচারের প্রয়াসে।মহান আল্লা-হ তা’আলার কাছে দো’আ করি তিনি যেন আপনাদের চেষ্টাকে সার্থক করেন এবং সত্যকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন।।।
    যাহোক আমার আমার একটা প্রশ্ন ছিল- যে কোন পোশাকের ওপর কোন চিত্র থাকলে সেটা সবসময় পরা বা সেটা পরে নামায পরা সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি?
    যেমন ধরুন আমার একটা গেঞ্জির সামনে স্পাইডার ম্যানের ছবি আছে,সেটা পরে কি আমি নামায পরতে পারবো?ইমেইলে জানাতে পারেন,ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আরও দেখুন
Close
Back to top button